বুধবার, ২৯ জুন, ২০১৬

অন্তর আগ্নেগিরি

আমার- বুকটা যেন ইটের বাটা
অন্তর আগ্নেগিরি---!!
দু'চোখ দু'টি সাগর যেন---!!
বইছে লোনা পানি---!
আমার- অন্তর আগ্নেগিরি---

আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা
ছিল এ অন্তরে---
পাহাড় সমান বিশ্বাস আমি
দিয়েছিলাম তারে---।।
আমার আকাশ মেঘে ঢাকা ---!!
হৃদয় মরুভূমি -
 আমার- অন্তর আগ্নেগিরি---

স্বপ্ন হারা দু'চোখ আমার
আজও তোমায় খুঁজে---
কতই সুখে সাজাইছো ঘর
তুমি অন্য বুকে---!!
শূন্য এ বুক তুমি ছাড়া---!!
পুড়ছে দিবানিশি---
আমার- অন্তর আগ্নেগিরি---

সোমবার, ২৭ জুন, ২০১৬

নায়িকা নুসরাতের আকর্ষনীয় একটি গান

শরীরের প্রতিটি অঙ্গের নাচ দেখেন, অসাধারণ!

পাগল তোর জন্যরে - পাগল এমন- পাগল -

আমার যা হারাবার গেছে হারিয়ে-

আমার বন্ধুরে কই পাবো সখি গো-আশিক

রবিবার, ২৬ জুন, ২০১৬

নির্বোধ প্রেম

লিখবো বলেও হয়নি লিখা
আমার জীবনের গল্প-
শুধু ভালোবাসাতেই ব্যর্থ হয়ে
সফলতার ভাগ অল্প !

নির্ঘুম রাত হারিয়েছি কত
কার কাছে তা বলবো-
জীবনের চেয়েও ভালোবাসিলাম
সে'তো ভেবেছে তুচ্ছ !

তাকেই চেয়েছি আপন করে
সে চেয়েছে অর্থবিত্ত-
হারিয়ে বুঝেছি- ভুল মানুষের প্রেমে
জীবন আমার নিঃস্ব !

সে'কি প্রেম! পাড়ার লোক সমাজে
কতো না চাঞ্চল্য -
মুগ্ধ সবাই, শুভাকাঙ্ক্ষীরা বলতো
নয়ন তুমি ধন্য !

কিন্তু হায়! এতো বছরের প্রেম
সাজানো যতো স্বপ্ন -
মাড়িল সে নিজের'ই পায়ে
করলো সবি পণ্ড !

গরিবের যতো প্রেম যেন আজ
গরিবে'ই সীমাবদ্ধ -
অর্থের কাছে কি 'নির্বোধ প্রেম'
চিরকাল থাকে অন্ধ !?

[ লিখেছি:- নির্বোধ প্রেম - সামওয়্যারইনব্লগ ]

হয়নি পাওয়া

চোখ বুঝিলেই তোমায় দেখি
স্বপ্নে চলে প্রেমের খেলা-
ঘুম ভাঙিলেই শুধু ভাবি
এভাবেই কি যাবে বেলা !

মায়ায় বেঁধে সারা জীবন
থাকবে পাশে দিলে কথা-
আকাশ ছোঁয়া ভালোবাসা
হারিয়ে সব বুকে ব্যথা !

বদলে ছিল এই ছেলেটি
প্রথম তোমার পেয়ে দেখা-
মনের রাজ্যের আকাশ জুড়ে
এঁকে ছিল স্বপ্ন রেখা ।

বদলে গেছি অনেক আগেই
বদলেছে তাই জীবন ধারা-
সফলতার সব পেয়েছি
এই জীবনে তুমি ছাড়া !

ইট বালির এই দেয়াল গড়ে
লাভ কি রেখে হৃদয় কালা-?
তোমার মাঝেই ছিলাম আমি
তাই বুঝি আর হয়নি পাওয়া !

[ লিখেছি:- 'হয়নি পাওয়া' - সামওয়্যারইনব্লগ.কম
'হয়নি পাওয়া' -  ইস্টিশন.কম ]

রবিবার, ১৯ জুন, ২০১৬

আজ বড় একা মনে হচ্ছে নিজেকে

ও ভাই! যাইসনা তুই এত দূরে। আমি যে বড্ড একা যাবরে ভাই....!
মনের এই আকুতি আমি প্রকাশ করতে পারিনি। বলতে পারিনি আমার বড় ভাইকে আমার হৃদয়ে শ্রাবণ ধারা বইছে তার এত দূরে বাড়ি বানানোর কথা শুনে। অামি শুধু বলেছিলাম, কি দরকার এত দূরে বাসা করার। এছাড়া আর কিইবা বলতে পারি আমি। তার ভবিষ্যৎ চিন্তা, সুখ তৃপ্তি জড়িত তার চাওয়ায়। আমি সেখানে বাঁধা দিবো কেন। আর বাঁধা দিলেই কি আমার কথা শুনবে ? শুনবেইবা কেন?

আমার কোন ক্ষোভ নিয়ে লিখছি না। লিখছি আমার মনে বিষণ ঝড় বইছে। ভাবছি অনেক কিছুই। বার বার নিজেকে খুব বেশি একা মনে হচ্ছে। আর হবেইনা কেন। আমিতো কোন দিন ভাবিইনি এত দূরে থাকবো ভাইদের থেকে।

কত সুন্দর, সুখের সংসার ছিল আমাদের। ঝড়ের মত সব এলোমেলো হয়ে গেল। হয়েছে অবশ্য আরও অনেক আগেই। কিন্তু এতোটা অনুভব করিনি। সেভাবে ভাবিওনি কোন দিন। আজ ভাবতে হচ্ছে। ভাবতে হচ্ছে এই বুঝি একা হয়ে গেলাম। চোখের পাতা বারবার ভিজে উঠছে। মনভরে কাঁদতেও পারছি না। ভাই আমার বড় লোক হয়েগেছে ময়মনসিংহ ফ্লাট কিনবে। আমার ভাতিজিরা সুখে সাচ্ছন্দে বড় হবে। আমার তো খুশি হওয়ার কথা। হয়েছি তো! খুব খুশি হয়েছি আমি।

ভাই তুমি সুখে থেকো.....  মন থেকেই বলছি সুখি হইয়ো তুমি।

অনেক কিছু লেখবো বলেই ঢোকেছিলাম ব্লগে। আর পারছিনা.......


শুক্রবার, ১৭ জুন, ২০১৬

বাংলাদেশের সুদূর প্রসারী দুরন্ত পথচলা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা'র লক্ষ্যটা স্পষ্ট

বাংলাদেশের সুদূর প্রসারী দুরন্ত পথচলা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্যটা স্পষ্ট। উন্নয়ন ছেলাখেলা নয়। শক্ত ভিত দরকার। দেদার ছাড় দিয়ে রাজকোষ খালি করে হাততালি কুড়োন নয়। আপসে মন ভোলানো খুশি নয়। দূরের যাত্রায় দুরন্তর গতিতে এগিয়ে যাওয়া।

রাজধানী অদূরে পূর্বাচল ও এর নিকটস্থ এলাকা নিয়ে যে স্বতন্ত্র মহানগর গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, সেখানে ১৪২ তলা বিশিষ্ট আইকন টাওয়ার স্থাপন করা হবে। শিগগিরই প্রকল্প আকারে কাজটি শুরু করবে বাংলাদেশ। আগামী ২০১৮ অর্থ বছরের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের প্রায় সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাবকালে এ চাঞ্চল্যকর তথ্যটি জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

সুসংবাদটি ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যম গুলোতে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের প্রভাবশালী গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার "দ'বছরের মধ্যে বাংলাদেশে ১৪২ তলা অট্টালিকা, পাকিস্তান 'জ্বলছে' " শিরোনামে খবরটি প্রকাশ করে বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন, বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক মণ্ডলে নতুন সম্মানিত করেছেন। সংবাদটি আমার ব্লগে রেখেদিলাম:-
______________আনন্দবাজার
গোলাভরা ধান, গোয়ালে দুধের গাই, পুকুর ভর্তি মাছেই ছন্দে ফিরতেন গ্রামবাসীরা। স্বচ্ছলতার সুখ পৌছত কৃষকের ঘরেও। আকাল এলে গোলমাল বাঁধত। হাহাকারের অন্ধকার। সে দিন গেছে। গ্রাম বাঁধা পড়েছে শহরে। মান্ধাতার আমলের অর্থনীতি উন্নয়নের প্রশস্ত রাজপথ খুঁজছে। উন্নততর জীবনের হাতছানী। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্যটা স্পষ্ট। বাজেটে তার ছাপ।
দেদার ছাড় দিয়ে রাজকোষ খালিকরে হাততালি কুড়োন নয়। আপসে মন ভোলানো খুশি নয়। দূরের যাত্রায় দুরন্ত গতিতে এগিয়ে যাওয়া। প্রতি বছরেই তার ফল ফলবে। মুগ্ধ দেশবাসী নিজেদেরই চিনতে পারবে না। ভাববে এটা সেই বাংলাদেশ, না অন্য কোন আনন্দলোক।
মধ্যম আয়ের দেশে উন্নিত হওয়াটা শুধু সময়ের অপেক্ষা। এর পরে ধাপে ধাপে উন্নত দেশের শরিক হওয়া। তার প্রতীকী আচড় এবারের বাজেট। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের ঘোষণা, দু'বছরেই বাংলাদেশে মাথা তুলবে আকাশ ছোঁয়া ১৪২ তলা অট্টালিকা। যা সার্কের অন্য কোথাও নেই। সুখবর ছড়াতে সময় লাগেনা। পৌছেছে ইসলামাবাদে। পাকিস্তান বিশ্বাস করতে পারছে কই! দুশ্চিন্তা দানা বাঁধছে। ভাবছে, তাহলে সত্যিই কী বাংলাদেশকে আর দমিয়ে রাখা যাবেনা।

শুধু ঢাকায় কুলোচ্ছেনা। দরকার আরও একটা মহাসাগরের। পূর্বাঞ্চলে হবে সেটা। পরিকল্পনা তৈরির কাজ শুরু আর শেষ সময় ধরে। হচ্ছে, হবে বলে কোন প্রকল্পই ফেলে রাখা যাবে না। আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারের সঙ্গে আধুনিক স্পোর্টস কমপ্লেক্স নির্মানের ব্রুপ্রিন্ট পাকা। কনভেনশন সেন্টারে পাঁচ হাজার লোকের বসার ব্যবস্থা হবে। এসব লোক দেখানো নয়। কর্মসংস্থান, ব্যবসাবাণিজ্য প্রসারের খাতিরে। খেলাধুলোর সব খাতেই যাতে শিশু, কিশোর যুবারা ছড়িয়ে পড়ে সে দিকে নজর। ক্রিকেট অনেকটা এগিয়েছে। এখন বিশ্বের প্রথম সারিতে। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার যোগ্যতাও অর্জন করেছে। তুলনায় অন্যান্য খেলাতেও আগ্রহ বাড়াতে হবে। বাঙালির প্রিয় খেলা ফুটবল। সেখানে পিছিয়ে থাকলে চলে কি করে।

উন্নয়ন ছেলেখেলা নয়। শক্ত ভিত দরকার। ৬৪ জেলা, ৪৮৫ উপজেলা ঘিরে নিখুঁত ডিজিটাল যোগাযোগ। অনলাইন কার্যক্রম এখন সব জায়গায়। অনলাইনে ছ'মাসে লেনদেন ২,৫৭৩ কোটি। মোবাইল গ্রাহক ১৩.০২ কোটি। ইন্টারনেট ব্যবহার ৫,৪৭০ কোটি।

টেলিডেনসিটি ৮৩.০৯ শতাংশ। ইন্টারনেট ডেনসিটি ৩৪.৪০ শতাংশ। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাই। সিম-রিম রেজিস্ট্রেশনের কাজ পুরোদমে। রাজস্ব আদায়ের দায়িত্ব নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিকম রেগুলেটরি কমিশন। ১৩৭৯.৩৫ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। ডাক বিভাগ মোবাইল মানি-অর্ডার সার্ভিস, ক্যাশ কার্ড চালু করেছে। ৩,৫০০ ডাক ঘরে পোস্টাল-ই-সেন্টার চালু। বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের ঢাকা শহরে ১ লাখ ডিজিটাল লাইন। নতুন হয়েছে আরও ১ লাখ ৩৯ হাজার। ৯৮ টি উপজেলার ১০০৬টি ইউনিয়নে ৪,৫০০ কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবার বসানো গেছে। ৩০০টি ইউনিয়নকে অপটিক্যাল নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়েছে। টেলিটক ৩-জি প্রকল্পের আওতায় দেশের ৭ টি বিভাগ। ৬৪ জেলা শহরে ৩-জি চালু দ্রুতলয়ে। এর কৃতিত্ব অনেকটাই হসিনা তনয় সজীব ওয়াজেদ জয়ের।

বাংলাদেশ সী-মী-উই-৫ সাবমেরিন ক্যাবল কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে প্রতিস্থাপন-সংরক্ষণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ব্যান্ডউইথের সর্বনিম্ন মূল্য এখন ৬২৫ টাকা মেগাওয়াট। তার পরেও কি গ্রাম শহর থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতে পারে। উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হওয়ার আর কোনও সম্ভাবনা থাকে।

সূত্র:-
bd24live.com
আনন্দবাজার (অনলাইন পোর্টাল)