শুক্রবার, ১৭ জুন, ২০১৬

বাংলাদেশের সুদূর প্রসারী দুরন্ত পথচলা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা'র লক্ষ্যটা স্পষ্ট

বাংলাদেশের সুদূর প্রসারী দুরন্ত পথচলা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্যটা স্পষ্ট। উন্নয়ন ছেলাখেলা নয়। শক্ত ভিত দরকার। দেদার ছাড় দিয়ে রাজকোষ খালি করে হাততালি কুড়োন নয়। আপসে মন ভোলানো খুশি নয়। দূরের যাত্রায় দুরন্তর গতিতে এগিয়ে যাওয়া।

রাজধানী অদূরে পূর্বাচল ও এর নিকটস্থ এলাকা নিয়ে যে স্বতন্ত্র মহানগর গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, সেখানে ১৪২ তলা বিশিষ্ট আইকন টাওয়ার স্থাপন করা হবে। শিগগিরই প্রকল্প আকারে কাজটি শুরু করবে বাংলাদেশ। আগামী ২০১৮ অর্থ বছরের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরের প্রায় সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাবকালে এ চাঞ্চল্যকর তথ্যটি জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

সুসংবাদটি ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যম গুলোতে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের প্রভাবশালী গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার "দ'বছরের মধ্যে বাংলাদেশে ১৪২ তলা অট্টালিকা, পাকিস্তান 'জ্বলছে' " শিরোনামে খবরটি প্রকাশ করে বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন, বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক মণ্ডলে নতুন সম্মানিত করেছেন। সংবাদটি আমার ব্লগে রেখেদিলাম:-
______________আনন্দবাজার
গোলাভরা ধান, গোয়ালে দুধের গাই, পুকুর ভর্তি মাছেই ছন্দে ফিরতেন গ্রামবাসীরা। স্বচ্ছলতার সুখ পৌছত কৃষকের ঘরেও। আকাল এলে গোলমাল বাঁধত। হাহাকারের অন্ধকার। সে দিন গেছে। গ্রাম বাঁধা পড়েছে শহরে। মান্ধাতার আমলের অর্থনীতি উন্নয়নের প্রশস্ত রাজপথ খুঁজছে। উন্নততর জীবনের হাতছানী। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লক্ষ্যটা স্পষ্ট। বাজেটে তার ছাপ।
দেদার ছাড় দিয়ে রাজকোষ খালিকরে হাততালি কুড়োন নয়। আপসে মন ভোলানো খুশি নয়। দূরের যাত্রায় দুরন্ত গতিতে এগিয়ে যাওয়া। প্রতি বছরেই তার ফল ফলবে। মুগ্ধ দেশবাসী নিজেদেরই চিনতে পারবে না। ভাববে এটা সেই বাংলাদেশ, না অন্য কোন আনন্দলোক।
মধ্যম আয়ের দেশে উন্নিত হওয়াটা শুধু সময়ের অপেক্ষা। এর পরে ধাপে ধাপে উন্নত দেশের শরিক হওয়া। তার প্রতীকী আচড় এবারের বাজেট। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের ঘোষণা, দু'বছরেই বাংলাদেশে মাথা তুলবে আকাশ ছোঁয়া ১৪২ তলা অট্টালিকা। যা সার্কের অন্য কোথাও নেই। সুখবর ছড়াতে সময় লাগেনা। পৌছেছে ইসলামাবাদে। পাকিস্তান বিশ্বাস করতে পারছে কই! দুশ্চিন্তা দানা বাঁধছে। ভাবছে, তাহলে সত্যিই কী বাংলাদেশকে আর দমিয়ে রাখা যাবেনা।

শুধু ঢাকায় কুলোচ্ছেনা। দরকার আরও একটা মহাসাগরের। পূর্বাঞ্চলে হবে সেটা। পরিকল্পনা তৈরির কাজ শুরু আর শেষ সময় ধরে। হচ্ছে, হবে বলে কোন প্রকল্পই ফেলে রাখা যাবে না। আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারের সঙ্গে আধুনিক স্পোর্টস কমপ্লেক্স নির্মানের ব্রুপ্রিন্ট পাকা। কনভেনশন সেন্টারে পাঁচ হাজার লোকের বসার ব্যবস্থা হবে। এসব লোক দেখানো নয়। কর্মসংস্থান, ব্যবসাবাণিজ্য প্রসারের খাতিরে। খেলাধুলোর সব খাতেই যাতে শিশু, কিশোর যুবারা ছড়িয়ে পড়ে সে দিকে নজর। ক্রিকেট অনেকটা এগিয়েছে। এখন বিশ্বের প্রথম সারিতে। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার যোগ্যতাও অর্জন করেছে। তুলনায় অন্যান্য খেলাতেও আগ্রহ বাড়াতে হবে। বাঙালির প্রিয় খেলা ফুটবল। সেখানে পিছিয়ে থাকলে চলে কি করে।

উন্নয়ন ছেলেখেলা নয়। শক্ত ভিত দরকার। ৬৪ জেলা, ৪৮৫ উপজেলা ঘিরে নিখুঁত ডিজিটাল যোগাযোগ। অনলাইন কার্যক্রম এখন সব জায়গায়। অনলাইনে ছ'মাসে লেনদেন ২,৫৭৩ কোটি। মোবাইল গ্রাহক ১৩.০২ কোটি। ইন্টারনেট ব্যবহার ৫,৪৭০ কোটি।

টেলিডেনসিটি ৮৩.০৯ শতাংশ। ইন্টারনেট ডেনসিটি ৩৪.৪০ শতাংশ। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে জাতীয় পরিচয় পত্র যাচাই। সিম-রিম রেজিস্ট্রেশনের কাজ পুরোদমে। রাজস্ব আদায়ের দায়িত্ব নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিকম রেগুলেটরি কমিশন। ১৩৭৯.৩৫ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছে। ডাক বিভাগ মোবাইল মানি-অর্ডার সার্ভিস, ক্যাশ কার্ড চালু করেছে। ৩,৫০০ ডাক ঘরে পোস্টাল-ই-সেন্টার চালু। বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের ঢাকা শহরে ১ লাখ ডিজিটাল লাইন। নতুন হয়েছে আরও ১ লাখ ৩৯ হাজার। ৯৮ টি উপজেলার ১০০৬টি ইউনিয়নে ৪,৫০০ কিলোমিটার অপটিক্যাল ফাইবার বসানো গেছে। ৩০০টি ইউনিয়নকে অপটিক্যাল নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়েছে। টেলিটক ৩-জি প্রকল্পের আওতায় দেশের ৭ টি বিভাগ। ৬৪ জেলা শহরে ৩-জি চালু দ্রুতলয়ে। এর কৃতিত্ব অনেকটাই হসিনা তনয় সজীব ওয়াজেদ জয়ের।

বাংলাদেশ সী-মী-উই-৫ সাবমেরিন ক্যাবল কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে প্রতিস্থাপন-সংরক্ষণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ব্যান্ডউইথের সর্বনিম্ন মূল্য এখন ৬২৫ টাকা মেগাওয়াট। তার পরেও কি গ্রাম শহর থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতে পারে। উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হওয়ার আর কোনও সম্ভাবনা থাকে।

সূত্র:-
bd24live.com
আনন্দবাজার (অনলাইন পোর্টাল)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন