১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বিদেশে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা। বর্বরোচিত ঐ হত্যাকাণ্ডের পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে বাংলাদেশে ফিরে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন শেখ হাসিনা।
দেশে ফেরার পর তিঁনিও বারবার ষড়যন্ত্রকারীদের বুলেট বোমার টার্গেট হয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা হয় ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট। এদিন বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে শক্তিশালী গ্রেনেড হামলা ও শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে সরাসরি গাড়িতেও গুলিকরা হয়। দলের নারী নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতাকর্মী প্রাণ হারান এই হামলায়।
এর আগে শেখ হাসিনাকে টার্গেট করে বড় ধরণের হামলা হয়েছিল ৮০ দশকের শেষ দিকে চট্টগ্রামে। ১৯৮৮ সালের ২৪ শে জানুআরি লালদিগির জনসভায় যাওয়ার পথে গাড়ি বহরে পুলিশ গুলি চালালে শেখ হাসিনা প্রাণে বাঁচলেও মারা যান ২৪ জন।
তবে ১৯৮১ সালে দেশে ফেরার পর শেখ হাসিনাকে টার্গেট করে প্রথম হামলা হয় ১৯৮৭ সালের ১০ই নবেম্বর। স্বৈরাচারবিরোধী অবরোধ চলা কালে সচিবালয়ের সামনে তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি করা হয়।
শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ১৯৮৯ সালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি লক্ষ্য করে ফ্রিডম পার্টির অস্ত্রধারীরা গুলি চালায় এবং গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী চতুর্থদফায় হামলার শিকার হন ১৯৯১ সালের সেপ্টেম্বরে। সংসদ উপনির্বাচনে গ্রীনরোডের ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়া হয়।
এর পর ১৯৯৪ সালের তত্বাবধায়ক সরকারের দাবীতে ট্রেনমার্চে গেলে ইশ্বরদী রেলস্টেশনে গুলি চালানো হয় শেখ হাসিনাকে বহনকারী ট্রেনের বগী লক্ষ্য করে।
১৯৯৫ সালে পান্থপথের এক জনসভায় শেখ হাসিনাকে লক্ষ্যকরে চালানো হয় বোমা হামলা।
এরপর ১৯৯৬ সালের কার্জন হলের গুলি এবং ২০০৩ সালের ৩০শে আগষ্ট সাতক্ষিরার কলারোয়ায় শেখ হসিনার গাড়ি বহর লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করা হয়।
এছাড়া শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২০০০ সালের ২০ জুলাই কোটালী পাড়ার বিশাল জনসভায় বোমা পুতে রাখা হয়। ৭৬ কেজি এই বোমা উদ্ধার হওয়ায় প্রাণে বেঁচে যান শেখ হাসিনা।
এছাড়া ২০০১ সালের মে মাসে খুলনায় রূপসা সেতুর কাজ উদ্ভোদন করতে যাওয়ার কর্মসূচি ছিল তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। সেখানেও পুতে রাখা শক্তিশালী বোমা উদ্ধার করেছিলেন গোয়েন্দারা।
আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও সাধারণ জনগণ মনে করে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষের শক্তিকে চিরতরে নিশ্চিহ্ন করতেই বারবার শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে এবং এই ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত রয়েছে।
(দেখুন ভিডিও সংবাদ)
সংগ্রহ:- প্রতিবেদন, সময় সংবাদ। আবুল কালাম আজাদ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন