ধানমন্ডির ৩২ নম্বর- কেবল এইটুকু বলে আর কিছু না বললেও অনেক কথা বলা হয়ে যায়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অনেক আগে থেকেই ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী সাদা রঙের দুতলা বাড়িটি। আবার ইতিহাসের বর্বরতম হত্যাকাণ্ডের দুঃসহ স্মৃতি নিয়েও দাঁড়িয়ে আছে সেটি। যেন তা বাঙালি জাতির হৃদয়ের রক্তক্ষরণ....!
১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ঘাতকরা স্বপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডকে যতোটা মানবিক ভাবেই ব্যাখ্যা করা হোক না কেন তা নৃশংস। তবে ১৫ আগষ্টের হত্যাকাণ্ডটি বোধহয় বর্বরতার সব ধরণের দৃষ্টান্তকেও ছাড়িয়ে যাবে!
ত্রিশ লক্ষ মানুষের রক্তে যখন প্লবমান আমাদের স্মৃতি- দশ লক্ষ ধর্ষিতার আর্তনাদে যখন নষ্টমান আমাদের শ্রুতি- তিন কোটি মানুষের ঘৃহত্যাগে যখন বিলিয়মান আমাদের সভ্যতা- এমনই এক অনির্ভর সময়ে ধ্বংস স্তুপের উপর দাঁড়িয়েও পদ্ম ফোঁটার স্বপ্ন দেখান যিনি- তিনিই শেখ মুজিব।
সীমান্তে আজ আমি প্রহরী- অনেক রক্তাক্ত পথ অতিক্রম করে আজ এখানে এসে থমকে দাঁড়িয়েছি স্বদেশের সীমানায়....! প্রশ্ন কর যদি- এতো যুদ্ধ করে পেলাম কি...? উত্তর তার সব পেয়েছি- গ্রীক পূরাণের প্রেথেডির নাস্করের মতো নিজের পিতাকেও হত্যা করেছি...! আর কি চাই- বল...!
রেসকোর্স পার হয়ে যেতেই সেইসব গোলাপের একটি গোলাপ
গতকাল আমাকে বলেছে- আমি যেন কবিতায় শেখ মুজিবের কথা বলি।
আমি তাঁর কথা বলতে এসেছি....।
শহীদ মিনার থেকে খসে পড়া একটি রক্তাক্ত ইট
গতকাল আমাকে বলেছে- আমি যেন কবিতায় শেখ মুজিবের কথা বলি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান- যাঁর নামের উপর উচ্চারিত হয় স্বাধীনতা....!
[ ভিডিওটি নেট থেকে সংগ্রহ করা, ছবিও। কথাগুলো ভিডিও থেকে নেয়া ]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন