আমি গর্বিত আমি মুসলমান, আমি গর্বিত আমি বাঙালি, আমি গর্ববোধ করি আমি বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী।
আমার হৃদয়ের বিনম্র শ্রদ্ধা-ভক্তি দিয়ে স্বরণ করি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান'কে, যিনি আমাকে মুক্ত স্বাধীনভাবে চলার যোগ্যতা অর্জন করে দিয়ে গেছেন, যার জন্ম হয়েছিল বলেই বাঙালি জাতি পেয়েছিল শোষনের হাত থেকে মুক্তি, যিনি উপহার দিয়ে গেছেন মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশ। ইতিহাসের মহানায়ক, মুক্তি স্বাধীনতা যুদ্ধের অবিসংবাদিত নেতা মহান শেখ মুজিবুর রহমান, এই অভিনব ইস্পাত সমান দৃঢ চিত্তের মানুষটি আমাকে সদাই ভাবিয়েছে- তার আদর্শ আমাকে শিখিয়েছে দেশ প্রেম, নেতৃত্ব ও বাঙ্গালীর চেতনা। তাকে তো মৃত্যুর আগ পর্যন্ত রেখে যাবো আমার হৃদয়ের জায়নামাজে।
১৭৫৭ সালের ২৩ জুন বাংলার আকাশ থেকে স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিল। সেই সূর্য উদিত করতে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়মী লীগের জন্ম। স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসের সাথে আওয়ামী লীগ ও শেখ মুজিবের ইতিহাস ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আওয়ামী লীগ বাঙালি জাতির ও দেশের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে বলিষ্ঠতার সহিত নেতৃত্ব দিয়ে এসেছে।
'৪৯ সালে জন্মের পর আওয়ামী লীগের শত শত নেতাকর্মীরা কারনে-অকারনে কারাবরণ করেছে, অত্যাচার নির্যাতনে অনেকে পরপারের বাসিন্দা হয়েছেন। ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সকল মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনায় জাতি গঠনে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কাজ করে আসছেন। বঙ্গবন্ধু তথা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন-সার্বোভৌমত্বের দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।
৫২ এর ভাষা আন্দোলন, '৫৪ তে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, '৬৬-এর ছয় দফাসহ প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে আওয়ামী লীগ অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছে। আওয়ামী লীগের ইতিহাস বাঙালি জাতির অর্জনের ইতিহাস, ত্যাগ-তিতিক্ষার ইতিহাস।
যে মহান নেতার জন্য আমরা বাঙালি জাতি এত কিছু পেয়েছি, যেই মানুষটি দেশের মানুষকে ভালবেসে সারাটি জীবন সবকিছু বিসর্জন দিলেন তাকে আমরা বাঙালি জাতি হিসেবে, বাংলাদেশি হিসেবে কি দিতে পেরেছি? শুধুই লাঞ্ছনা। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে শেখ মুজিব হয়ে যায় রাজাকার আর বাঙালি জাতির কলঙ্ক বাংলাদেশের জাতীয় বেঈমান জিয়াউর রহমান হয়ে যায় স্বাধীনতার ঘোষক, শেখ মুজিবের ছবির জায়গাতে উঠে আসে জিয়ার ছবি। এই কি তাহলে আমাদের প্রতিদান?
আওয়ামী লীগ উপমহাদেশের প্রাচীনতম দল গুলোর মধ্যে একটি। জাতির পিতাকে হত্যার পর ইয়াহিয়া ইস্টাইলে আওয়ামী লীগ নিধন শুরু করেছিল মেজর জিয়া! শত প্রতিকূলতার মাঝেও আওয়ামী লীগ টিকে আছে, থাকবে। কোন জঙ্গি নেত্রীর জঙ্গিবাদকে আওয়ামী লীগ ভয় করে না। বঙ্গবন্ধুর মত মহান ব্যক্তিত্বের আদর্শের উপর ভিত্তি করে যে দল প্রতিষ্ঠিত সে দলকে কেউ ধ্বংস করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।
শত প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাছ্ছেন গণতন্ত্রের মানসকন্যা দেশপ্রেমী নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা গ্রহনের পর থেকে দেশের উন্নয়নে আদর্শ, নীতি, অসাম্প্রদায়িকতা, ভবিষ্যৎ দৃষ্টি, দেশ ও জনগণের প্রতি মমত্ববোধ, গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতি অঙ্গীকার, সার্বোভৌমত্বের প্রশ্নে অটল অবস্থান এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া ও নিম্নআয়ের বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নিত করার জন্য নিরন্তর কাজ করে যাছ্ছেন। আজ বাংলাদেশ সর্বক্ষেত্রে সয়ংসম্পন্ন, বিশ্বের দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল। জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ও তার আইটি উপদেষ্টা সুপুত্র দেশের ভবিষ্যৎ সুযোগ্য রাষ্ট্রনায়ক সজীব ওয়াজেদ জয়'এর হাত ধরে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে মাথা উচু করে দাড়াতে সক্ষম হয়েছে।
তাই উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে, জননেত্রী শেখ হাসিনা'র হাতকে আরও শক্তিশালী করতে 'বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ'-এর সাথেই থাকুন।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। জয় হোক এদেশের গরীব-দুঃখী মেহনতি মানুষের। পরিবর্তনের অগ্রদূত ডিজিটাল ও স্বাবলম্বী বাংলাদেশের রূপকার দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা'র হাত ধরেই বিশ্ব-দরবারে বাঙালি মাথা উঁচু করে দাঁড়াক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন