সোমবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১৭

নিভে না দুই সাগরের জলেও

আমার প্রহর গুলো সব আজ
বেদনার স্রোতে ভেসে ভেসে বড্ড ক্লান্ত।
আহ! কি যে কষ্ট এই বুকটার ভিতর....!
নয়ন সাগর দুটিতে যেন সুনামির বাঁধভাঙা ঢেউ,
বারবার তীর ছাপিয়ে হৃদয়ের চারণভূমি করছে প্লাবিত।
স্থির দৃষ্টি আকাশের নীল ভেদ করে প্রিয় মুখপানে,
যেন থমকে দাঁড়িয়ে আছে সময়....
দিক্বিদিক ছোটাছুটি করছে অশান্ত এই মন-
স্বজন হারিয়ে আজ গভীর শোকগ্রস্ত।

হায়রে স্বজন হারানো কষ্ট.....!
কোন সুনামি তোকে আর নিতে পারেনা ভাসিয়ে,
তোর ভার যেন বেশি পৃথিবী থেকেউ....!

মৃদু বাতাসে দোলে হৃদয়ে জমে থাকা দুঃখ গুলো।
প্রিয়জন হারানোর ব্যথা-
কেবল, বাতাসের মতো করে গতির পরিবর্তন,
এক জীবনে আর বুঝি হয় না শেষ কখনো।

বুকের ভিতর জ্বলতে থাকা আগুন-
বাতাসের তালে তালে বাড়ে আবার কমে,
কখনোবা দাবানল হয়ে-
জ্বালিয়ে দিয়ে যায় অবশিষ্ট সুখ টুকুনও...!
মনের এই আগুনজ্বলা হায়...
নিভে না দুই সাগরের জলেও।।

বুধবার, ৩০ আগস্ট, ২০১৭

পিরিত আমার হইল নারে

অলস দুপুর গাছের ডালে ডাকছে কোকিল মধুর সুরে,
পায়রী দেখে টিনের চালে বাক-বাকুম পায়রা ডাকে।
শর্ষে দানা পানির বাটি খুব যতনে সাজিয়ে আমি,
ডাকছি কতই হাত বাড়িয়ে ভালোবাসার মায়া ছড়িয়ে।
দুষ্টু পায়রা কিছুনা বুঝে দূরেই থাকে আসেনা ঘরে!

পুকুর ভরা মিষ্টি পানি হংসী মত্ত হাসের প্রেমে,
শামুক কুড়া দিলাম মাখি এক নজর দেখে'না ফিরে!
উদাস দুচোখ মন শ্রাবণে, পিরিত আমার হইল নারে।

ভাসা পানি খালে বিলে করছো খেলা মন আনন্দে,
ঝাঁপা-ঝাঁপি সুখ আবেসে ক্লান্ত হবে ডুব সাতারে। 
গভীর পুকুর অথৈ নদী উঠবে ডানা ব্যথায় ভরি,
করবে যতই আসন সুখে অস্থির হবে খরস্রোতে।
হঠাৎ করে জল তরঙ্গে পরবে ভীষণ বরিষণে।

তুমুল খরা তৃপ্তি জানি পাখির সঙ্গ ভাবের কালে,
ভাবুক কথা প্রেমের দাবী ভুলল পাখি রইল দূরে! 
কষ্টে হৃদয় যাচ্ছে পুঁড়ে, পিরিত আমার হইল নারে।

স্বচ্ছ আকাশ মেঘের ফাঁকে মন খুশিতে রোদ বৃষ্টিতে,
বনজঙ্গল আর উঁচু ডালে ঘুরতে বসতে ক্লান্ত হবে। 
ভাঙবে ডানা কাঁদবে জানি ভাসবে তোমার হৃদয় ভূমি,
পড়বে যেদিন হঠাৎ ঝড়ে সঙ্গী তোমার কেউনা রবে। 
খসবে পালক ভিজবে জলে আমায় ভীষণ পড়বে মনে।

তুখোড় চলা মিষ্টি ভাষী আঁকি চিত্র মনের ফ্রেমে, 
বুঝবে সেদিন ভালোবাসি আমায় যেদিন মরণ ছোঁবে! 
তোমায় সৃজি মন মন্দিরে পিরিত আমার হইল নারে!

ইচ্ছে জাগে

চল'না ভাসি আজকে দুজন মন পবনের স্রোতে,
ভালোবেসে থাকনা তুই আজ আমার বুকে মিশে।
মেঘের উপর গড়বো আসর চাঁদের আলো মেখে,
জোছনা ভরা অঙ্গরূপ তোর দেখবো নয়ন ভরে।

দূরবনে চল হারিয়ে যাই আজ খোঁজে নির্জনতা,
তোর বুকে আজ মাথা রেখে বলবো মনের কথা।
সুখের নেশায় যখন আমার বুজবে চোখের পাতা,
আদর সোহাগ মেখে ওঠোঁটে দিসরে একটি চুমা।

আয়'না সখী আজকে দেবো অথৈ সাগর পাড়ি,
ডুবসাঁতারে ক্লান্ত হলে এই বুকের আসন পাবি।
স্বপ্ন চোখে প্রেমের খেলায় থাকবো দুজন মাতি,
চুপিচাপি করবো প্রেম আজ জানবে না পৃথিবী।

তুই'যে আমার মনের জ্যোতি দুনিয়ার যত সুখ,
তোর বিরহে চোখের জলে নিত্য ভাসে এই বুক।
বল'না কিছু এই ভাবে তুই থাকিস না আর চুপ, 
পাগল হয়ে যাই তোর ছোঁয়াতে ইচ্ছে জাগে খুব।

ঘাসের উপর শুয়েই দুজন দেখবো আকাশ চল,
নীলাভ মেখে ডানা মেলে আজ উঁড়বি নাকি বল। 
যৌবন ভরা অঙ্গে যেনো তোর রসের মিষ্টি ফল, 
বুকে আমার দারুণ প্রেম আজ মনে প্রেমের ঢল।

মনের যতো ইচ্ছে আমার করবো তোতেই শেষ,
আয়'না দুজন গড়বো বাসর সেই'তো হবে বেশ। 
দেখলে তোকে এই মনের ঘরে লাগে সুখের রেশ, 
সোহাগ ভরে সারাদিন আজ নাড়বো তোর কেশ।

বুজবে দুচোখ মনের সুখে জাগবে প্রেমের ঢেউ,
অমিত সুখে ভরাবো মন জানবে না আর কেউ।
সাজের বেলায় মুগ্ধ হয়েই তোমার ঘরে ফিরো, 
মন যদি চায় নিঝুম রাতে স্বপ্নে একবার ডেকো।

মনে যদি গো সোহাগ দিতে ইচ্ছে জাগে আবার,
ভাসবো দুজন প্রেম জোয়ারে দেবো ডুব সাঁতার।
নতুন সুখে রঙিন মনের ঘুচে যাবে সব আঁধার,
ইচ্ছে জাগে তোমার বুকেই কাটাবো যুগ হাজার।

শনিবার, ২৬ আগস্ট, ২০১৭

আমি গর্বিত আমি আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী

আমি গর্বিত আমি মুসলমান, আমি গর্বিত আমি বাঙালি, আমি গর্ববোধ করি আমি বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী।

আমার হৃদয়ের বিনম্র শ্রদ্ধা-ভক্তি দিয়ে স্বরণ করি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান'কে, যিনি আমাকে মুক্ত স্বাধীনভাবে চলার যোগ্যতা অর্জন করে দিয়ে গেছেন, যার জন্ম হয়েছিল বলেই বাঙালি জাতি পেয়েছিল শোষনের হাত থেকে মুক্তি, যিনি উপহার দিয়ে গেছেন মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশ। ইতিহাসের মহানায়ক, মুক্তি স্বাধীনতা যুদ্ধের অবিসংবাদিত নেতা মহান শেখ মুজিবুর রহমান, এই অভিনব ইস্পাত সমান দৃঢ চিত্তের মানুষটি আমাকে সদাই ভাবিয়েছে- তার আদর্শ আমাকে শিখিয়েছে দেশ প্রেম, নেতৃত্ব ও বাঙ্গালীর চেতনা। তাকে তো মৃত্যুর আগ পর্যন্ত রেখে যাবো আমার হৃদয়ের জায়নামাজে।

১৭৫৭ সালের ২৩ জুন বাংলার আকাশ থেকে স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিল। সেই সূর্য উদিত করতে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়মী লীগের জন্ম। স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসের সাথে আওয়ামী লীগ ও শেখ মুজিবের ইতিহাস ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আওয়ামী লীগ বাঙালি জাতির ও দেশের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে বলিষ্ঠতার সহিত নেতৃত্ব দিয়ে এসেছে।

'৪৯ সালে জন্মের পর আওয়ামী লীগের শত শত নেতাকর্মীরা কারনে-অকারনে কারাবরণ করেছে, অত্যাচার নির্যাতনে অনেকে পরপারের বাসিন্দা হয়েছেন। ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সকল মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনায় জাতি গঠনে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কাজ করে আসছেন। বঙ্গবন্ধু তথা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন-সার্বোভৌমত্বের দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।

৫২ এর ভাষা আন্দোলন, '৫৪ তে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, '৬৬-এর ছয় দফাসহ প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে আওয়ামী লীগ অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছে। আওয়ামী লীগের ইতিহাস বাঙালি জাতির অর্জনের ইতিহাস, ত্যাগ-তিতিক্ষার ইতিহাস।

যে মহান নেতার জন্য আমরা বাঙালি জাতি এত কিছু পেয়েছি, যেই মানুষটি দেশের মানুষকে ভালবেসে সারাটি জীবন সবকিছু বিসর্জন দিলেন তাকে আমরা বাঙালি জাতি হিসেবে, বাংলাদেশি হিসেবে কি দিতে পেরেছি? শুধুই লাঞ্ছনা। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে শেখ মুজিব হয়ে যায় রাজাকার আর বাঙালি জাতির কলঙ্ক বাংলাদেশের জাতীয় বেঈমান জিয়াউর রহমান হয়ে যায় স্বাধীনতার ঘোষক, শেখ মুজিবের ছবির জায়গাতে উঠে আসে জিয়ার ছবি। এই কি তাহলে আমাদের প্রতিদান?

আওয়ামী লীগ উপমহাদেশের প্রাচীনতম দল গুলোর মধ্যে একটি। জাতির পিতাকে হত্যার পর ইয়াহিয়া ইস্টাইলে আওয়ামী লীগ নিধন শুরু করেছিল মেজর জিয়া! শত প্রতিকূলতার মাঝেও আওয়ামী লীগ টিকে আছে, থাকবে। কোন জঙ্গি নেত্রীর জঙ্গিবাদকে আওয়ামী লীগ ভয় করে না। বঙ্গবন্ধুর মত মহান ব্যক্তিত্বের আদর্শের উপর ভিত্তি করে যে দল প্রতিষ্ঠিত সে দলকে কেউ ধ্বংস করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।

শত প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাছ্ছেন গণতন্ত্রের মানসকন্যা দেশপ্রেমী নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা গ্রহনের পর থেকে দেশের উন্নয়নে আদর্শ, নীতি, অসাম্প্রদায়িকতা, ভবিষ্যৎ দৃষ্টি, দেশ ও জনগণের প্রতি মমত্ববোধ, গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতি অঙ্গীকার, সার্বোভৌমত্বের প্রশ্নে অটল অবস্থান এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া ও নিম্নআয়ের বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নিত করার জন্য নিরন্তর কাজ করে যাছ্ছেন। আজ বাংলাদেশ সর্বক্ষেত্রে সয়ংসম্পন্ন, বিশ্বের দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল। জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ও তার আইটি উপদেষ্টা সুপুত্র দেশের ভবিষ্যৎ সুযোগ্য রাষ্ট্রনায়ক সজীব ওয়াজেদ জয়'এর হাত ধরে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে মাথা উচু করে দাড়াতে সক্ষম হয়েছে।

তাই উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে, জননেত্রী শেখ হাসিনা'র হাতকে আরও শক্তিশালী করতে 'বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ'-এর সাথেই থাকুন।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। জয় হোক এদেশের গরীব-দুঃখী মেহনতি মানুষের। পরিবর্তনের অগ্রদূত ডিজিটাল ও স্বাবলম্বী বাংলাদেশের রূপকার দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা'র হাত ধরেই বিশ্ব-দরবারে বাঙালি মাথা উঁচু করে দাঁড়াক।

মোস্তফা সোহেল ভাইয়ের সমুদ্র

আমার বুকের ভেতর আছে একটা সমূদ্র
তুই দেখবি কি তার বিশালতা আয়.....

ইচ্ছে হলেই আসবি কাছে
বাসবি আমায় ভাল 
বুকের সমূদ্রটা আমার ছড়ায় ভিষন আলো।

থৈ থৈ থৈ অথৈ জলে
নাও ভাসাইয়া দে 
তোকে ভাল বাসতে বাসতে 
আমার জীবন গেল যে।।
ভিষন মেঘে আকাশ কাল 
মনটা কি তোর আছে ভাল
চলনা ভাসি এই ক্ষনেতে মনের সমূদ্রে।

বৃহস্পতিবার, ২৪ আগস্ট, ২০১৭

হৃদয় গভীরে ভাবনার ধূম্র

গভীর বর্ষা রাত-ছন্দময় বর্ষণ-জলে নৃত্য,
ভেজা বাতাসের স্রোত-প্রিয়া বক্ষ উষ্ণ অধীর।
অনুভবে-ই জাগে শিহরণ-নাচে হিয়া চিত্ত,
ভুলে যাই ব্যবধান-বাড়ে প্রেম, তৃষ্ণার্ত অস্থির!

শূন্যতা চারিদিক-সুনসান, নিঝুম রাত্রির
গায়ে লেগে থাকা কলঙ্কের কালি। প্রিয়জন
অবহেলিত হৃদয়ে মেঘ-গর্জন বিজুলির,
নয়নে কষ্ট'স্রোত-আঁধারের বুকচেরা বরিষণ।

এভাবেই যাচ্ছে কেটে দিনরাত! কত সময়
করছি পার বোবা প্রশ্নের জাল বুনে, নীরবতা
ঘেরা রাতের আকাশে ভেসে ভেসে! নির্দয়
স্মৃতিগুলো বারবার দিয়ে যায় অসহ্য যন্ত্রণা।

বৃষ্টির রিনিঝিনি শব্দ'রা বাঁধছে সুর, হায়!
কত ভালো লাগার মুহূর্তগুলো যাচ্ছে এভাবে!
আজ আর কোন গান গাইতে মন না-চায়,
হৃদয় গহীনে ভাবনার ধূম্র-তা বুঝবে কিভাবে!

হয়তো গভীর ঘুমে মগ্ন, কোন নতুন স্বপন
বেঁধেছে বাসা ও'হৃদয়ে, ভরে উঠেছে সুখশয্যা!
নয়তো বিরহে মোর- নীরবে করছে ক্রন্দন
খুলে দক্ষিণা জানালা, চোখে বৃষ্টিস্নাত প্রতীক্ষা।

সোমবার, ৭ আগস্ট, ২০১৭

পাখি

সকাল দুপুর সন্ধ্যা রাতে
আমার পাখি মধুর সুরে, করতো ডাকাডাকি।
মনের সুখে আমি তখন
করছি কত প্রেমের কথন, চলতো মাখামাখি।।
কি করে তা যাবো ভুলে
হৃদয় আজো ব্যথায় পুড়ে, যখন তারে ভাবি।
নিত্য কাজে চলন বলন
সব কিছুতে তার বিচরণ, কেমনে একা থাকি!!

রাত্রি জাগি একলা ঘরে
বন্ধুরে খুব মনে পড়ে, পূর্ণিমা-চাঁদ দেখি।
বন্ধু যদি কাছে আসতো
ভালোবাসার কথা বলতো, বসতো পাশাপাশি।।
চাঁদ দেখিতাম মিলে দুজন
ভরতো আমার অন্তর মন, মধুর কথা শুনি।
প্রেমের খেলায় হয়ে মত্ত
ভুলতাম মনের ব্যথা যতো, ভাব-সাগরে ভাসি।।

পূবাল হাওয়া মিষ্টি সুরে
দোল লাগিত আমার মনে, মুক্ত ঝরা হাসি।
লজ্জা পেতো পূর্ণিমা চাঁদ
ভুলে যেতাম সব অপবাদ, বুকের সাথে চাপি।।
দুঃখ সুখের সকল কথা
রাখছি যতো মনে জমা, বলতাম তারে সবি।
উচ্ছ্বসিত মন আনন্দে
জড়িয়ে ধরে বাহুডোরে, বলতো ভালোবাসি।।

শুক্রবার, ৪ আগস্ট, ২০১৭

ও সাথী জীবন নামে ডাকতে আমার

ও সাথী.....
জীবন নামে ডাকতে আমায়- কত মধুর সুরে,
ব্যাকুল প্রেমে অবুঝ হৃদয়- চোখ রাখিত চোখে।।
স্বর্গ সুখের দুচোখ তোমার,
সাধ জাগে'গো আজো দেখার!!
এই বেদনা বুঝবে কে আর- দহন জ্বালা বুকে!
ও সাথী.......

কান্দে আমার হৃদয় তবু- বাসে তোমায় ভালো,
তুমি ছিলে দুটি চোখে- চাঁদ সুরুজের আলো।।
কত দুঃখের কপাল আমার
চোখ থাকিতেও দেখি আঁধার।।
তোমার জন্য অনন্তকাল- পুড়বো প্রেমের বিষে।
ও সাথী.....

কতো সাধের স্বপ্ন ছিলো আমার দুটি চোখে,
ভেঙে দিলে যা ছিল সব মরছি ধুকে ধুকে।।
কতই সুখে করছো সংসার,
জানতে বড়ই ইচ্ছে আমার।।
পুড়া বুকে ব্যথার পাহাড় আমি তো নেই সুখে।
ও সাথী.......

এই জীবনে পেলাম না'তো তোমার ভালোবাসা,
আরেক জনম পাবো তোমায় মনের বড় আশা।।
তুমি ছিলে জীবন আমার,
আর কিছুনা ছিল চাওয়ার।।
খোদার পরে আসন তোমার নয়নের এই বুকে।
ও সাথী........।।

মঙ্গলবার, ১ আগস্ট, ২০১৭

মিনতি

শুধুই তোমার জন্য- লক্ষ কোটি বছর ধরে
অনন্ত কষ্টের প্রতিযোগিতায় পারি টিকতে।
বিষণ্ণ শূন্যতায় স্তব্ধ, তবুও রক্ত-কণিকা জুড়ে
এক নাম-ভালোবাসা প্রবাহিত, তুমি অস্তিত্বে।

দুনিয়াময় যতো সুন্দর -সুখ তোমাতে-ই ভাবী-
আমার আনন্দ-বিশ্বাস মসজিদ মন্দির গির্জা।
চাঁদমুখ আর হাসি জেনো জীবনের চেয়ে দামি,
ভুলে যেতে পারি অনন্ত-দহন পৃথ্বী'র, তুমি ছাড়া।

কতো স্বপ্ন! তিল তিল করে সাজান প্রেম, ঘর
বাঁধিবার অপ্রতিরোধ্য সাধ-বিশ্বাস এ'বুকে ছিল!
আভিজাত্যের অহমিকায় মাড়িবে, করবে পর
ভাবিনি! কি আমার অপরাধ, কতটুকু দোষ বল!

বুকের ভিতর নিত্য জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরির দহন,
কারণ-অকারণে অতৃপ্ত মন-চোখে লাভা নিঃসৃত।
দেখতে পায়'না কেউ-নেই'তো বুঝবে কষ্ট-বেদন,
সেইদিন থেকে নীরব-পুড়ন অনুভূতিহীন-অর্ধমৃত।

কতভাবে কতদিন করেছি ভালোবাসার মিনতি,
বোঝতে চাওনি হৃদয় চিরে বেরিয়ে আসা সেকথা!
বেঁচেই তো আছি! তুমিহীনা মরুময় মনের ভূমি
নয়ন জুড়ে অবাধ্য শ্রাবণ, অনুভবে দুঃসহ যন্ত্রণা।

সোমবার, ৩১ জুলাই, ২০১৭

সাধের সময় যায় বিফলে

আষাঢ় মাসের ভরা নদী, নয়া গাঙ্গের পানি,
বন্ধু তুমি থাকতে যদি খেলতাম নাউ দৌড়ানি।
পূবাল হাওয়ায় মনের সুখে,
গান ধরিয়া পাল উঁড়িয়ে।
জল-তরঙ্গে নাচত হিয়া আসতো যৌবন গতি,
ডুব-সাঁতারে ক্লান্ত হইতাম মন চাইতো যখনি।

পূবাল বাতাস গাঙে তুলে উতাল-পাতাল ঢেউ,
যৌবন সুখে নাচছে পানি একবার দেখে যেও।
তোমার তরে মনটা অবুঝ,
হৃদয় জুড়ে প্রতীক্ষা সুখ।
কষ্ট-প্রহর মনের ব্যথা বুঝল না হায় সে-ও,
বসন্ত দিন যায় ফুরিয়ে নেয় না খবর কেউ!

কত সাধের এই দুনিয়া! মনের মানুষ ছাড়া,
স্বপ্ন শোকে নির্ঘুম রাত, চোখে শ্রাবণ ধারা!
ঝাপসা লাগে পূর্ণিমা চাঁদ,
গাঁয়ের লোকে দেয় অপবাদ!
অহংকারী আমি নাকি! কারো সাথে মিশি'না,
বোকা-নির্বোধ অনেকে বলে সেতো তার ছেড়া!

কল্প আশায় স্বপ্ন বুনি করবো বসত সুখে
রাখছি কতই ভালোবাসা এই হৃদয়ে পুষে।
দুজন মিলে বাঁধিব ঘর,
ওই পরাণে রাখি অন্তর।
নিত্য-প্রহর তারই ছবি আমার দুটি চোখে,
সাধ মিটে'না একলা ঘরে মরছি প্রেম বিষে।

ঢেউয়ের মত বারে বারে মনে পড়ে বন্ধুরে,
সুখস্মৃতিতে কষ্ট বাড়ে বসলে নদীর পাড়ে।
নাইরে কোথাও সুখের দেখা,
প্রাণের বন্ধু সে-ও বোঝে না!
সাধের সময় যায় বিফলে বন্ধু অনেক দূরে,
মরব যেদিন কাঁদবে সেদিন আসবে তুমি ফিরে।

রবিবার, ৩০ জুলাই, ২০১৭

এইতো জীবন!!

বাজান, গত দুপুরবেলা অল্প কিছু ভাত খেয়েছিলাম দক্ষিণ পাড়ার সোলায়মানদের ঘরে। রাতে বাড়িতে গিয়ে দেখি আমার কুড়ে ঘরের মেজে পানি, চুলা পানির নিচে। রাতে আর পাক করে খাওয়া হয়নি। বাড়ি ফেরার সময় পথে পাওয়া একটা পানির বোতলে কলিমদের টিউবয়েল থেকে পানি নিয়ে গিয়েছিলাম। তাই পেটপুরে খেয়ে রাত কাটিয়েছি। কতবাড়ি পার হয়ে এলাম, কারো কাছে দু মুঠো ভাত চাইতে সাহস করিনি। এখন বড্ড অসহ্য লাগছে, তাই এখানে বসতে চেয়ে পড়ে যাই, উঠতে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে শুয়েছিলাম এখানেই। চলে যাচ্ছি বাবা। এই বলে সত্তর ঊর্ধ্ব শীর্ণকায় শরীরের বৃদ্ধটি পাশে থাকা লাঠিতে ভর দিয়ে দাঁড়াতে চেষ্টা করতেই আবারো পড়ে যায়। জীবন হাত বাড়িয়ে চেষ্টা করেও বৃদ্ধ ভিক্ষুকটিকে পড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করতে পারলো না। পড়ে যাওয়া বৃদ্ধের হাত আর পাজর ধরে কোনরকম তুলে বসায় তার চেয়ারে।

আপনে বসেন বাবা, আমি দেখি আপনাকে কিছু খাওয়ার ব্যবস্থা করতে পারি কিনা। ক্ষুধার্ত ছলিমউদ্দিনের মুখে সামান্য হাসি অনুভূত হল জীবনের কথা শুনে। জীবন বাড়ির ভিতর গিয়ে তার বউকে বলে কোনরকম একথাল ভাত আর তাদের খেয়েদেয়ে বেশি হওয়া তরকারি নিয়ে বাহিরে এল। জীবনের পিছুপিছু তার মেজো ছেলে একটা বস্তা নিয়ে দাঁড়ায়। জীবন ছেলের কাজে খুশি হয়ে ছেলেকে চুমা দিয়ে বস্তাটি মাটিতে পেতে ভিক্ষুক চাচাকে ধরে সেখানে বসিয়ে বলে, চাচা, আমারা কিছুক্ষণ আগেই খেয়েদেয়ে যা ছিল তাই আপনার জন্য এনেছি। আপনি একটু কষ্ট করে খান চাচা। বৃদ্ধার মুখে হাসি ফোটে উঠে। হ্যা বাবা, খাবো, মন ভরে খাবো, আল্লাহ্ তোমার ভালো করুক। বৃদ্ধ ছলিমউদ্দিন ভাত খাচ্ছে। জীবন আর তার ছেলে পাশে বসে দেখছে। কি ক্ষুধার্ত! মুহুর্তেই একথাল ভাত খেয়ে ফেললো! চাচা, আপনার ছেলে মেয়ে নাই? জীবনের প্রশ্নে ছলিমউদ্দিনের চোখে হতাশার ছাপ, দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলে, বাবারে, ছেলেমেয়ে ছিল, এখন নেই!
তারা কোথায় চাচা?
তারা এখন বড় হইছে, শহরে থাকে। একটামাত্র ছেলে আমার। খুব কষ্টকরে ছেলেকে লেখাপড়া করিয়েছিলাম। মানুষের বাড়িতে কাজ করে, ভিক্ষে করে ছেলেকে উচ্চশিক্ষিত করার চেষ্টা করেছিলাম। ছেলে, খুউব শিক্ষিত হয়েছে। বড় চাকরি করে, শহরে থাকে, গাড়িতে চড়ে। কিন্তু বাবা...! কথাটুকু বলে বৃদ্ধের কেমন যেন উদাসী অবস্থা। চোখে মুখে হতাশার ছাপ, অতৃপ্ত মনের ক্ষোভ দুঃখ যেন চোখবেয়ে নামতে চাইছে। কোনরকম নিজের চোখ মুছে ছলিম উদ্দিন বলে, আর মেয়ে মাশাল্লাহ্ ভালো ঘরে বিয়ে হয়েছে। তার জামাই বিদেশে চাকরি করে। মেয়েকেও সাথে নিয়ে গেছে বিদেশে। তোমার চাচী মারা যাবার পর ওই হাওড়ে একজনের পতিত জমিতে কোনরকম একটা শুয়ে থাকার ব্যবস্থা হয়েছে।
বৃদ্ধের কথা শুনে জীবন স্তব্ধ হয়ে গেল। ছেলে উচ্চশিক্ষিত, মেয়ে বড়বাড়িতে বিয়ে হয়েছে, সে আবার অন্যের বাড়িতে মাথাগোঁজার ঠাই পাইছে! জীবনের মাথায় কিছু ঢুকছে না। তাই আবারো প্রশ্ন করে, চাচা, ছেলের বাড়ি যেতে পারেননা?
গিয়েছিলাম বাবা! দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললো।
তয়, আপনার এমন পরিস্থিতি কেন? একটু বিস্ময়ের সাথেই প্রশ্ন করে জীবন।
বাবারে, ভাবছিলাম ছেলের চাকরি হলে আমাদের বুড়াবুড়ির কপালে সুখ হইবো, কিন্তু হয় নাই বাবা! আমরা গ্রামের মুর্খ মানুষ, বয়স হয়ে গেছে। আমরা বাসায় থাকলে ছেলের বউয়ের সাথে ছেলের রোজই ঝগড়া বাঁধে। অনেক কটুকথা শুনেও ছিলাম। কিন্তু, যখন আমাদের বৃদ্ধাশ্রমে রাখার ব্যবস্থা করলো ছেলে, তখন আর থাকতে পারিনি। বৃদ্ধাশ্রম না গিয়ে ওই গাঁয়ে এসে দুইজনে পুরনো দিনের মতো জীবন কাটাতে থাকি। রোগে শোকে বুড়িটিও আমাকে ছেড়ে চলে গেল গতবছর। আমি আর এখন আগের মতো হাটতে পারিনা বাবা। কেমন যেন অসহ্য লাগে, খুব হাফিয়ে উঠি। সারাদিন মানুষের বাড়ি বাড়ি ঘুরে যা পাই, তা কোনরকম পাকিয়ে খেয়ে শুয়ে থাকি। এখন আর পাকও করতে পারিনা ঠিকমতো। তাই মাঝেমধ্যে না খেয়েই থাকতে হয়। কত মানুষ মরে যাচ্ছে, আমার মরণ আল্লাহ্ কেন দিচ্ছে না বুঝি না! কথাগুলো বলতে বলতে বৃদ্ধের চোখ জলে ভরে উঠেছে। চোখ মুছে জীবনের মাথায় হাত বুলিয়ে 'বেঁচে থাকো বাবা, আল্লাহ্ তোমার ভালা করবেন' বলে লাঠিতে ভর দিয়ে চলে যাচ্ছে বৃদ্ধ ছলিমউদ্দিন। বয়স্ক লোকের এমন করুণ কাহিনী শুনে কখন যে নিজের চোখেও জল গড়িয়ে পড়ছে তা টেরই পায়নি, জীবন নীরবে বৃদ্ধের চলে যাওয়া দেখছে, আর মনে মনে ভাবছে.... এইতো জীবন!!

বৃহস্পতিবার, ২৭ জুলাই, ২০১৭

মিষ্ট মুখের মুচকি হাসি

মিষ্টি মুখের মুচকি হাসি আমি বড় ভালোবাসি।।
এজীবন ছাড়তে পারি ছাড়বো না যে তোকে।
এই অন্তরে-
রাখবো তোকে খুব যতনে থাকবি জনম ধরে।।

হাসলে তোর দুই-গালে পড়ে সুন্দর দুটি টোল,
তাইনা দেখে হারাই আমার মনের যতো বোল।।
অবাক চোখে মুগ্ধ মনে।। শুধুই চেয়ে থাকিরে।
এই অন্তরে-
রাখবো তোকে খুব যতনে থাকবি জনম ধরে।।

তুই-যে আমার সন্ধ্যা বাতি পূর্ণিমার ওই চাঁদ,
আপন করে পাইলে মানবো হাজার অপবাদ।।
দেখতে হাসি তোর মুখে।। জীবনটা দিবো লিখে।
এই অন্তরে-
রাখবো তোকে খুব যতনে থাকবি জনম ধরে।।

বুধবার, ২৬ জুলাই, ২০১৭

আমাকে নিয়ে সনেট লিখেছেন

সনেট কবি বলেছেন: 

কবি নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন

প্রেমপথে আছে কত কন্টক বিস্তর
সে সকল পায়ে দলে প্রেমের উত্থান
ঘটে সব প্রেমিকের অন্তর সাম্রাজে,
তা’বিভাবে? জানা যায় কবির কথায়।
কালে কালে কত প্রেম দেখেছে জগত
হে নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন হে কবি
কবিতার ক্যানভাসে অনিন্দ সুন্দর
এঁকেছেন আপনি সে প্রেমর ভূবন।

প্রেমিকায় পড়ে দৃষ্টি প্রেমিক মনের
কি বেহাল উন্মাদনা কি চিত্র উদ্ভব
হয়ে থাকে, ফুটে সেটা কবিতা বৈচিত্রে।
দক্ষহাতে সে চিত্রের হয়েছে ধারক
দক্ষ এক কারিগর এ কবি নয়ন,
পাঠকের অন্তরেতে সুপ্রিয় সবার।

আমাকে নিয়ে অনেক সুন্দর সনেট লিখেছেন প্রিয় সনেট কবি ফরিদ আহমদ চৌধুরী। কৃতজ্ঞতা প্রশংসায় এই আন্তরিক প্রাপ্তির প্রকাশ সম্ভব নয়। অন্তরে থাকবেন তিনি প্রেরণার জ্যোতি হয়ে। আকাশ ছোঁয়া উৎসাহ আর প্রেরণা দিয়েছেন কবি, আমি উচ্ছ্বসিত, আনন্দের শিখরে।

আপনার এই স্নেহ ভালোবাসা আশীর্বাদ যেন কভু না হারাই এমন প্রত্যাশা সৃষ্টিকর্তায়।

এর উত্তর আমি কিভাবে বলবো প্রিয় কবি! পুড়তে পুড়তে যে নিঃশেষ সবি! এ আমি, আমি নই তারই প্রতিচ্ছবি। সাত বছরের জমানো প্রেম ভেঙেছিল একদিনে! স্তব্ধ হই তখনি, যখন দুচোখে ভেসে উঠে তার মুখোচ্ছবি।

শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা জানবেন সবসময়।

মঙ্গলবার, ২৫ জুলাই, ২০১৭

ভাবনায়

কর্ম ব্যস্ত দিনটি শেষে রাত্রি যখন বাড়ে,
মনের ঘরে অস্থিরতা স্মৃতির পাতা নাড়ে।
দুচোখ বুজে হারান সুখ সময় গুলো ভাবি,
হৃদয় জুড়ে তোমারি নাম চন্দ্র মুখের ছবি।

জানিনা তো কোথায় তুমি কিবা এখন কর,
তুমিও কি আমার মতো এমনি ভাবে পুড়ো।
চৈত্র খরা মন ভূমিতে চোখ ভাসে শ্রাবণে,
কেমনে থাকো বন্ধু তুমি হয়না কিরে মনে!

মুক্ত আকাশ মিষ্টি বিকেল তোমার কূলে মাথা,
অনেক সুখে ব্যস্ত দুজন বলতে মনের কথা।
মিষ্টি ও'মুখ দেখে আজো জীবন পাবে প্রাণ,
মিলবে ছন্দ সব কবিতায় ভরবে সুরে গান।

রাত্রি জেগে পূর্ণিমা চাঁদ দেখবো মনে আশা,
ভ্রমর হয়ে খুঁজবো মধু তোমার ভালোবাসা।
দুনিয়া জুড়ে তুমিই প্রিয় সুন্দর গোলাপ ফুল,
মাতাল রবো তোমার প্রেমে করবো কত ভুল।

কতো গভীর ভালোবাসা তোমার জন্য ছিল,
স্বপ্ন সুখের দিনগুলো সব ব্যথায় ভরে গেল।
যেদিন থেকে সব ভুলিয়া তুমিও গেলে দূরে,
ঘুম হারাল সেদিন থেকে আর আসেনা চোখে।

মিষ্টি সুখের ভালোবাসায় ভরবে আমার ঘর,
অনেক দিনের স্বপ্ন চাওয়া এই বুকের ভিতর।
করলে বিফল আশার স্বপন পর হলে পাষাণী,
প্রতি রাতের ভাবনায় তবু মিশেই আছো তুমি।