মঙ্গলবার, ২৭ জুন, ২০১৭

স্কুলে যাই রোজ সকালে

রোজ সকালে আম্মু বলে,
সোনামণি খুব ভালো ছেলে;
আদর সোহাগ নিয়া শেষে,
মুখ-ধুই দাঁত ব্রাশ করে।

আব্বু বলে গোছল দিতে,
ব্যাগ গুছিয়ে মা ভাত বেড়ে;
পাঙ্খা হাতে ডাকবে খেতে,
না-শুনিলে ভীষণ ক্ষ্যাপে!

ধমক শুনে জলদি খেয়ে,
মুখহাত মুছে মা- আচলে;
কাঁধে ব্যাগ সাইকেল চড়ে,
স্কুলে যাই রোজ সকালে।

ক্লাশে পড়া শিখেই তবে,
বিকাল চারটে আট্টা থেকে;
টিফিন খেয়ে-ও ক্ষুধা পেটে,
দেখে আব্বুর মায়া ঝরে।

দেখি-মা খুব ব্যস্ত হয়ে,
কি খাওয়াবে কোনটা রেখে;
আব্বু বলবে কাছে ডেকে,
আসবে সুখ কষ্ট সয়ে।

তৃপ্তি আশা'র হাসি ঝরে,
রাখলে মাথা বাবার বুকে;
হাসি মাখা মুখ মা'র সুখে,
দেখলে আমার মন ভরে।

বন্ধু তুমি নদীর মতো

মনটা তোমার পাবো বন্ধু কেমনে করবো আশা,
হইল না-তো নিজের সাথেই আমার আত্মীয়তা!
ফল পাবো তাই মনের ভূমে লাগাই গাছের চারা,
গাছের সব ডাল শুকাই গেলো রস যতন ছাড়া।

আমিই নিজের চিরশত্রু তাল-হারাই হই-বেতাল,
জীবন সাগরে ব্যর্থ'ই সদাই ধরতে নিজের হাল।
বান্ধিয়া মন ভুল মানুষে বারে-বারেই হই অঙ্গার,
এগিয়ে যেতেই পিছাই দিগুণ চলাই হয়না আর!

কতো আশা-য় ঘর বাঁধিলাম করবো বসত সুখে,
চাল উঁড়াইয়া ভাঙল সে-ঘর নিদারুণ কাল-ঝড়ে!
না-পারলাম চিনতে বুঝতে নিজের কি-সুখ ভালে,
ভেঙে-ই পড়ি বিশ্বাসে ভরি যখন ধরি যে ডালে!

আত্মার পরমাত্মীয়া জানলাম যারে-ই মনলাম,
মন ভেঙে তুষেরআগুন জ্বালিয়ে গেল পুড়লাম।
বন্ধু শোকে অতৃপ্ত আজ হইয়া দুঃখের গোলাম,
ভাঙাগড়ার নিত্য খেলায় নিজেই আমি হারলাম।

মায়া-র টানেই ফিরবে পাখি নিবেই ঘরের খবর,
আসবেনা আর মনের মানুষ ভাঙলে মনের ঘর।
বন্ধু তুমি নদীর মতো দুকূল ভাঙি গড় নতুন চর,
সাহস কি আর ভাবতে আপন হবেই জানি পর। 

শুক্রবার, ২৩ জুন, ২০১৭

অধিকার ক্ষত কবিতা মহিমা খুঁজে নেবে

অধিকার 



মিষ্টি কথার ভাষণ চাই না---
চাই, সাধারণ মানুষের অধিকার;
খাদ্য শিক্ষা চিকিৎসা বাসস্থান
আইনের সু-শাসন, প্রতিটা নাগরিক
যে অধিকারের দাবীদার।।

কোনো প্রয়োজন দেখিনা ওয়াদা 
প্রাপ্ত দায়িত্বই পালন কর তোমার; 

প্রাণে প্রাণে ভাসাও মানবতর সাম্পান 

ভালোবাসো মানুষকে, তবেই নিশ্চিত 

তোমাকে খুঁজে নিবে বারবার।।

ওয়াদা-ভাষণ আর খুঁজি না, 
শুনতে শুনতে হয়ে গেছে কান ভার!

পিতামাতা হারা ক্ষুধার্ত ভাসমান,
নীতিবাক্য, মিষ্টি কথায় তালি বাড়ে ঠিক 
পেটে ক্ষুধা-থাকে ঘর অন্ধকার।।


ক্ষত-

ভালোবাসা বলতে এখন 

নাইতো আর কিছু।
কষ্টে ভরে সুখের জীবন
ঘুরছে টাকার পিছু।।

চোখে পানি দেখে কারো 
শিহরিত হয়না বুক।
প্রেমে তৃপ্তি যতই দেখো
টাকার কাছেই চুপ!!

কষ্ট যতো রাখছি বুকে
তা হবার নয় শেষ,
যখন ভাবি সুখে আছে
আমার সুখও বেশ।।

এই মোর চাওয়া ছিল 
রাখব তাকে সুখে। 
তার আনন্দ খুঁজে নিল 
রইলাম আমি দুখে!! 

কষ্টেসৃষ্ট এ-মনের ঘরে 
প্রেম ভালোবাসা'য়।
ভাঙা বাড়িত রইল পরে
মরণ গন্ধই ছড়া'য়!! 

অন্তর পুড়া গন্ধ কি আর
স্বার্থান্ধ কভু বুঝে?
মিষ্টভাষী এ-ছলনা তার
আভিজাত্য খোঁজে।। 

কান্নার পর্ব শেষ করেছি
অনে-ক বছর গত।
স্মৃতি গুলো পুঁড়ায় বেশি
হৃদয়ে করছে ক্ষত।। 


কবিতা

কবিতা আর আমি-
নির্বাক নিঃশব্দ আর 

নিঃস্বতা'র পৃথিবী।
শূন্যতায় ডুবে থাকি- 
ধ্যান-জ্ঞান আমার 

স্বপ্নের রাজ্যেশ্বরী।।
প্রীতম সঙ্গমে ডুবি- 
খুঁজি তৃপ্তির সমাহার 

হয় স্বপ্নরা জয়ী।
সহস্রাব্দের ভরা ঝুড়ি- 
স্বপ্ন সুখিত কল্পনার 

সে অমর সঙ্গিনী।। 


খুঁজে নেবে 


অনুক্ষণে বৃন্দাবনে নীরব কথন,

ভুলতে নাহি পারি হয় গো স্মরণ।

প্রেমালাপে হয়ে মত্ত কতশত ক্ষণ,

ভেসেছি স্বপ্নলোকে ঘুরেছি গগন।।


ভুলে যেও মোর স্মৃতি করোনা স্মরণ,

ভাবনা যত অহর্নিশি প্রেম আশা স্বপন।

তব হৃদয়ে জমানো স-যতনে মধু-ক্ষণ,

ছড়িও বাতাসে খুঁজে নেবে এই মন।। 


মহিমা

নীরব স্তব্ধ রাতের জড়তা ভেঙে,
আকাশের দিকে চেয়ে থাকি 
প্রেম ভরা মুগ্ধনয়নে;
দেখি জোছনা মাখা চন্দ্র।

কি মহিমা মিশে আছে তাতে!! 

বৃহস্পতিবার, ২২ জুন, ২০১৭

বর্ষপূর্তি'র কৃতজ্ঞতা জনপ্রতি সামহোয়্যার-ইন-ব্লগে

আহ! কি আন্তরিক সামহোয়্যার-ইন-ব্লগ আর ব্লগার,
বিরাজমান সদাই সুসম্পর্ক আসল কারণ মন বাঁধার।
বিনয় ভরা প্রেরণাদানে-মন্তব্যে সবাই এখানে সবার,
ঘুরেফিরে-ব্লগ দেখে-পড়ে আলোয় হারে মন-আঁধার।

পাঠক হতেই প্রথম যেদিন ঢুকেছিলাম এ-ই ব্লগে,
মুগ্ধ হয়ে তৃপ্তি-কথা লিখেছিলাম-সে লেখক-তরে।
লিখতে পারি বলছে দেখি প্রথম লগইন হতে হবে!
গুগল-তথ্য ভুল দেখিয়ে শর্ত পাঠান সহজ করে।

ই-মেইল নাম লিখে সেদিন সেইযে হল ব্লগিং শুরু,
স্নেহাস্পর্শী শ্রদ্ধাভাজন সাহস বাড়ায় তাঁরাই গুরু।
মন-মহতী শুভেচ্ছান্তেও নিজের ব্লগ দেখায় কুঁড়ো,
লিখতে গেলেই ভুলের ভয়ে বুকটা কাঁপে দুরুদুরু।

শ্রদ্ধেয় সব ভাই বোনদের কাব্য রসিক গল্প পড়ে,
চেষ্টা-বাড়ে লিখে কখন রাখবো জমা ব্লগের ঘরে।
মান-বিচারে নিম্নে সবার তবুও সদা লেখার-ঝড়ে,
চলছে আজো অবিরত কাটুক সময় মনের ডরে।

জ্ঞানীগুণী'র মিলন-স্রোতে অজ্ঞ আমি ভাঙা তরী,
ভ্রান্ত-ত্রুটি প্রতিনিয়ত'ই মন-অজান্তে কতই করি।
স্নেহাশীর্বাদ আন্তরিক-ফল শ্রদ্ধানন্দে সকল পূঁজি,
শুদ্ধত্বে-সব বুদ্ধিদীপ্ত শ্রদ্ধাভাজন মুগ্ধ তাঁদের স্মরি।

নিরন্তর দিলেন সবাই অনেক প্রেম আর ভালবাসা,
যেটুকু শিখি ব্লগ'টি ঘুরে নাইরে কোথাও এ-তুলনা।
উদার সবাই ব্লগ-প্রকৃতির করতে জড়ো সব প্রতিভা,
তানা-হলে পেতাম'না ঠাই আমার মতো অ-কবি'রা।

বর্ষপূর্তি'র কৃতজ্ঞতা জনপ্রতি সামহোয়্যার-ইন-ব্লগে,
বোকাসোকা মানুষ আমি প্যাচ বুঝি-না যাই-না ভুলে।
অজান্তে কোনো মনের ভুলেই শব্দ-কটু বাক্য স্বরে,
কষ্ট পেলে ভাইজান-আপু দিবেন ক্ষমা নিজের-গুণে।
_________

সামুর সকল লেখকই একটু বেশিই উদার প্রকৃতির, সহজেই একজন নতুন লেখককে উৎসাহিত করতে পারে লেখায়। এখানে সবার আন্তরিকতায় মুগ্ধ হয়ে অনেকেই আমার মতো সামুকেই উপযুক্ত মনে করেন নিজের লেখালেখি চালিয়ে যেতে। সামুর সকল সদস্যের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা সবসময় থাকবে এটা আমি নিশ্চিত হয়েই বলি।

আমি অতন্ত সাধারণ একজন মানুষ। লেখালেখির কোন অভ্যাস আমার ছিল না কখনো। তবে মাঝেমধ্যেই দুএক লাইন লেখার চেষ্টা করেছি সবসময়। সেই লেখা দু এক লাইনেই সীমাবদ্ধ থাকতো, এগুতে পারতো না। ঢাকাতে থাকতে যখন বাহিরে থাকতাম কোথাও বসে, পাশে পড়ে থাকা টুকরো কাগজে লিখতা দু এক লাইন। এরকম অনেক লিখেছি সিগারেটের কাগজে বা পড়ে থাকা টুকরো কোন কাগজে। কিন্তু কখনওই সম্পূর্ণ কিছু লিখতে পারতাম না। আসলে আর পারতামই না বেশি লেখতে, সাথে একটু অধৈর্য কাজ করতো। টুকরো কাগজগুলো কিছুদিন সংগ্রহে থাকতো মানিব্যাগের ভিতর, তারপর হারিয়ে যেতো।

আমি নেটের সাথে পরিচিত হয়েছি সাত সালে। কিন্তু সেটা ভিডিও ছবি দেখাতেই সীমাবদ্ধ থাকতো। তারপর প্রথম ফেসবুক আইডি খুলতে পারি এগারো সালে দুইশ টাকা খরচ করে। গানের সাথে খুব একটা ভালো সম্পর্ক আমার সেই ছোট থেকেই ছিল। কিন্তু সেটা গান শুনা ও মুখস্থ করে নিজে গাওয়া পর্যন্তই। তাল লয় কিছু বোঝতাম না কখনো। তো ফেসবুক একাউন্ট পেয়ে নিজের মুখস্থ গান গুলি লিখে রাখতে লাগলাম। কিন্তু দুই মাসের মধ্যেই সেই আইডি গায়েব, আর খুঁজে পাইনি। এরপর অনেক ফেসবুক আইডি আমার গায়েব হয়েছে, সাথে অনেক লেখাও। দুঃখ একটু সেই সব লেখার জন্য হলেও কিছু করার ছিল না। সর্বশেষ চৌদ্দ পনেরো সাল থেকে তিনটি ফেসবুক আইডি এখনো আছে। ব্যবহার করছি একটি। বাকি গুলি পরের চিন্তার জন্য রেখে দিয়েছি। প্রথম প্রথম শুধু ছবি পোষ্ট করলেও পরে কিছু লেখতে শুরু। তো, লিখতে গেলে কিছু পড়তে হবে। তাই, মাঝেমধ্যে কথা সার্চ দিয়ে পড়তাম। অনেকসময় লেখাটা খাতায় লিখে পরে ফেসবুকে লিখতাম। এই সার্চ দিয়েই পাওয়া সামুর একটা লেখা পড়ে নিজের কিছু মন্তব্য রেখে যাওয়ার চিন্তায় লেখি, কিন্তু হল না, দেখানো হল প্রথমে লগইন হতে হবে আমাকে। তারও পরে একদিন সামুতে একটা একাউন্ট খুলতে সক্ষম হই বেনামে। লিখতে থাকি বিভিন্ন লেখকের কবিতা পোষ্ট পড়ার পাশাপাশি। কিন্তু কেমন যেন অতৃপ্তি লাগে বেনামে লেখালেখি। তাই পাশাপাশি সেই মাসেই নিজের পুরো নাম দিয়ে এই নিকটা খুলে রাখি। কিন্তু তিন দিনের পর্যবেক্ষণের ঝামেলায় পড়ে একটা পোষ্ট দেওয়ার পর আর এই নিকে ঢোকা হয়নি। অন্য নিকে লেখা চলে। সবার আন্তরিকতা আমার লেখার আগ্রহটা বাড়তেই থাকে। হোক না হোক লিখে ব্লগে রাখতাম। অনেকের উৎসাহ আমাকে সারাজীবন মনে রাখতেই হবে। তাঁদের আন্তরিক উৎসাহের জন্যই আমার লেখার আগ্রহটা এখন বেশিই। ভালো হোক না হয় মন্দ হোক আমার লিখতে ভালো লাগে। প্রতিটি লেখা শেষ করার পর সৃষ্টিসুখের উল্লাসে মেতে উঠে মন।

এবছরের জানুআরিতে আমার এই নিকের কথা মনে হয়। সার্চ দেই নিজের পুরো নাম, এবং পাই এই নিকটি। তারপর পাসোয়ার্ড চেঞ্জ করার মাধ্যমে ঢোকে দেখি আমাকে প্রথম পাতার সুবিধা দেওয়া হয়েছে। খুব খুশি তখন। সেদিনই আনন্দটা সবার সাথে শেয়ার করি। সেই থেকে সবার আন্তরিক উৎসাহ আমার আগ্রহটাকে অনেক বাড়িয়ে লেখতে প্রেরণা যোগায়। মানসম্মত কিছু লিখতে আমি পারিনা, সেটা আমি নিজেও বুঝি। তবে যেটুকু লেখছি এই সবই সামুর জন্য সামুর সকল উদার প্রকৃতির লেখকদের জন্যই সম্ভব হয়েছে। আমি যতদিন লেখার জগতে থাকবো সামু আর সামুর সকল ভাইদের প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা থাকবে। থাকবে সবার জন্য আমার আন্তরিক ভালোবাসা।

সিনিয়র কিছু ব্লগার আছেন, এই যেমন চাঁদগাজী, আহমেদ জী এস, সুমন কর, জুন, সচেতনহ্যাপী, সামু পাগলা ০০৭, আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম, রূপক বিধৌত সাধু; এদের অনুসরণ করলে অনেককিছুই শিখতে পারবেন যে কেউ, চিন্তা-ভাবনাও প্রসারিত হবে অনেক। এটি নিঃসন্দেহে একটি ভালো পরামর্শ হতে পারে আমিসহ সবার জন্য, বিশেষ করে যারা আমার মতো নতুন তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ বলতেই পারি। কৃতজ্ঞতা সাধু ভাইয়ের প্রতি। সবাইকে আমি শ্রদ্ধা-চোখে অনুসরণ করি।

আরও আছেন যাদের কাছ থেকে আমি আলোচনা ও আন্তরিক প্রেরণা পাই সবসময়। তাঁদের আমি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি ও ভালোবাসি, যেমন ড. এম এ আলী, আমি যেদিনই বিষাদিত মনে ব্লগ থেকে দূরে থাকবো ভেবেছি নিরাশায়, ঠিক তখনই প্রিয় ভাইটি আমাকে তাঁর স্নেহগুণে ভরসা দিয়ে গেছেন ঢেলে, যা আমাকে নতুন উদ্যোমে জাগিয়েছে। কাজী ফাতেমা ছবি আপু আমার অনলাইনের প্রথম অনুসারিত(গুগলে) কবি। ধ্রুবক আলো ভাই খুবই আন্তরিক ও উদার প্রকৃতির মানুষ, তার কাছ থেকে সবসময় উৎসাহ ও সুপরামর্শ পাই। মানবী আপুকে সাত্যি মানবিক গুণসম্পন্না মনের অধিকারী মনে হয় আমার কাছে। শায়মা আপু'তো মাঝেমধ্যে বিখ্যাত করে দিয়ে যান আন্তরিক সব কথায়। কল্লোল পথিক ভাই, সাইফুল্লাহ্ শামীম ভাই ছিলেন। বিজন রয়' দাদা আমার ব্লগের প্রথম পোষ্ট করার খুব অল্প সময়ের মধ্যেই প্রথম প্রেরণা রেখেছিলেন আন্তরিক সব আশা জাগানিয়া কথামালায়, আমার আগ্রহটাই বাড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি, এখনো সবসময় অনেক সহযোগিতা করেন, করেই চলেছেন নিজগুণে। পলাশ মিঞা ভাই ছিলেন পরামর্শ দিতেন। মোস্তফা সোহেল ভাই আছেন অনেক পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেন সবসময়। নীল পরী আপু'র আন্তরিক সব ভরসাদান করে যাওয়া আমার কাছে মাথার উপর ছাঁদের মতো মনে হয়, আমি শ্রদ্ধা ভরে প্রেরণা গ্রহণ করি। ইপ্সিতা চৌধুরী আপুও অনেক আন্তরিক উৎসাহ দিয়ে যান, ওমেরা আপু, উম্মে সায়মা, মৌমুমু আপুরা সবসময় আন্তরিক মন্তব্যে উৎসাহিত করে গেছেন, কৃতজ্ঞতা রাখি সবার প্রতি সবসময়।কালনি নদী ভাই ছিলেন আমার এই ব্লগের প্রথম প্রেরণা উৎসাহ, তাঁকে মিস করি, স্মরণ করি মাঝেমধ্যেই, তিনি প্রথম থেকেই আমাকে অনেকভাবে সাহস যোগিয়েছেন লিখতে। দ্বিতীয় প্রেরণা হয়ে সস্নেহে উৎসাহ-পরামর্শ কখনো ভুল শুধরে দিয়ে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ করে গেছেন শ্রদ্ধেয় খায়রুল আহসান স্যার, ইনি যেমন সুন্দর করে নিজের মন্তব্য রেখে যান তেমনি সুন্দর কথামালায় মুগ্ধ করেন প্রতিউত্তরে।

ছিলেন দরবেশমোছাফির ভাই, ভ্রমরের ডানা ভাইও দারুণ পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেন মাঝেমধ্যেই, সাদা মনের মানুষ ভাই তো আছেনই, ইদানিং ব্লগে সময় খুব কম সময় দিচ্ছেন হয়তো ব্যস্তার কারণ। মাহমুদুর রহমান সুজন ভাইকে মিস করছি খুব, এই ভাইটি আমাকে সবসময় আন্তরিক কথামালায় প্রেরণার আকাশ হয়ে এসেছেন, সাহসী করে গেছেন। বিলিয়ার রহমান ভাই অনেকভাবে আমাকে সহযোগিতা করেছেন, ইদানিং খুব মিস করি প্রিয় ভাইটিকে আমি!
নাগরিক কবি ভাই মাঝেমধ্যে অসাধারণ সহযোগিতা করেন সুন্দর পরামর্শে, গেম চেঞ্জার ভাই মাঝেমধ্যে অনেক উদার মন্তব্যে উৎসাহিত করে যান। সোনাবীজ না হয় ধুলোবালি ছাই ভাইয়ের পোষ্ট থেকে অনেক শিখেছি আমি, সেজন্য সবসময় কৃতজ্ঞতা রাখি মহান মানুষটিকে।

সামু পাগলা ০০৭ তো বিনয়ী হতে সাহায্য করেন সবসময় আন্তরিক মন্তব্যে প্রতি উত্তরে, আমি এই আপুকে বিনয়ের অবতার ভাবি। ফরিদ আহমদ চৌধুরী ভাই তো আছেনই সবসময় আন্তরিক উৎসাহে আমাকে আরো ভালো করার পরামর্শ দিয়ে একটু ভালো করার আশায় সবসময় আন্তরিক প্রেরণা দিয়ে থাকেন। সুসাহিত্যিক লিটন ভাই আছেন মাঝেমধ্যে আন্তরিক উৎসাহ প্রেরণা দিয়ে যান আমাকে। এই মুহূর্তে নাম মনে না আসা আরো অনেক শ্রদ্ধেয় প্রিয় ভাই আপু'রা আন্তরিক উৎসা পরামর্শ দিয়ে অনেকভাবে সহযোগিতা করে যান। তাঁদের কারো প্রতিই আমার কৃতজ্ঞতার শেষ হবার নয় কোনদিন।

দুই চার লাইন মিলাইতে পারতাম না, এখন কয়েক ঘন্টায় পুরো কবিতার মতো লিখে ফেলি এর সবই সামু ব্লগ আর সকল উদার প্রকৃতির শ্রদ্ধেয় প্রিয় ব্লগার ভাইদের আপুদের জন্যই সম্ভব হচ্ছে। উপরোক্ত ও বাকী আরো অনেক ভাই আপু আছেন যাদের আন্তরিক উৎসাহ মন্তব্য পরামর্শ, তাঁদের প্রতিউত্তর দেয়ার ধরণ সবই আমি মনোযোগ দিয়ে গ্রহণ করি শ্রদ্ধার সাথে। আমি লিখতে চাই, আমার মনের না বলা, অপ্রকাশিত অনেক কথা অনেক কিছু। তাই সবাইকে শ্রদ্ধার সাথে অনুসরণ করি, আমি শিখতে চাই, চেষ্টা করে যেতে চাই, সবার কাছে দোআ চাই, যেন একটু ভালো লেখতে পারি।

অনেক কথা বলে গেলাম বিরক্তিকর মনে করবেন না প্লীজ। আরো লিখতে ইচ্ছে করছিল এখন, যদি খারাপভাবে দেখেন তাই শর্ট করে কিছু কথা শুনিয়ে গেলাম মন থেকে। দোআ করবেন, আপনাদের অাশীর্বাদ যেন না হারাই কখনো এমনটাই প্রত্যাশা।

আমি সর্বপ্রথম সবাইকে বিনয়ের সাথে মন্তব্য প্রতিমন্তব্য করে থাকি, এটিও উপরোক্ত শ্রদ্ধেয় সবার মন্তব্য প্রতিউত্তর দেখেই শিখেছি এবং এই ব্যাপারটি সর্বোত্তম মনে করি আমি।

সামুতে আমার কাছে বেশি যে দিকটা পছন্দ, তা হলো- এখানে একটা লেখা শেয়ার করলে সেই লেখার ভুলগুলো শুধরে নেয়া যায় বড় ভাইদের কাছ থেকে। অনেক বড় ভাই আছেন আমাকে আমার ভুল গুলো ধরিয়ে দিয়ে শুধরানোর সুযোগ করে দেন, সাথে দিয়ে যান অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শও। এরচেয়ে বেশি একজন নতুন লেখকের পাওয়া আর কি হতে পারে! আমি সেই সব আন্তরিক মন্তব্যে সবসময় কৃতজ্ঞতা জানাই। আমার শ্রদ্ধা বেড়ে যায় তাঁদের প্রতি। এই তো সামুর ভালোবাসা, আন্তরিকতার প্রয়াস।

এভাবেই আন্তরিকতায় এগিয়ে যাক সামু ব্লগ অনন্তকাল- বাংলাকে সাথে করে।
শুভ হোক আগামীর দিনক্ষণ প্রত্যাশা সবার জন্য।
সামান্য দোআ আমার জন্য রাখার অনুরোধকারী রইলাম।

বুধবার, ২১ জুন, ২০১৭

আমার লিখা সনেট গুলো-৫টি

গন্তব্য

কত শত পথ ঘুরে দেখা তব স-নে,
বিচলিত যত গুণে মিলে-তা বিরলে;
এ-পূর্ণিমা রূপ যেন দেখি-গো নয়নে!
মুগ্ধ হিয়া, দ্বীন ক্ষণ যায়-গো গড়লে। 
মানবী না পরী তুমি, চেনে জনে জনে,
চন্দ্রসূর্য ধ্রুব তারা, অাছো চোখ মেলে;
মমতা পরশ যতো দিলে তুমি ঢেলে,
কাঙ্ক্ষিত রূপ-পাগল মিশে সব মনে।

ভুলিব না এজীবনে, তব রূপ গাবে,
কামনা রাত দুপুর সন্ধ্যা কিবা প্রাতে;
ভুবনজয়ী রূপ কে দেখেছো, কিভাবে!
স্মরি-ব পূঁজি সৃজি-ব বসন্ত-ভূ-প্রান্তে।
সঁপেছি এ-দেহ ইচ্ছে ডুবেছি স্বভাবে, 
বুঝেছি আজ আমার গন্তব্য তোমাতে।

গন্তব্য  - ২

সেদিন তোমার চোখে থাকবে মিনতি,
স্বজনে স্বজনে তুমি খুঁজবে আশ্রয়,
ব্যথাহত কান্না বুকে চোখ খরা চৈতি ;
সে- নিষ্প্রাণ আর্তনাদ মৃত্যু-র বিজয়।
ভয়ে কম্পিত স্ব-বুকে বিলীন সম্প্রীতি,
জীবনের বাঁকে বাঁকে দ্বীন শুধু ক্ষয়,
ব্যর্থতা-র গ্লানি মেখে যেতে যদি হয় ;
কি-করে মিলবে বল খোঁদার মহতী।

এসো-ভালোবাসা খুঁজি স্রষ্টা'র সৃষ্টি'তে,
আপনে আপন ভাবী, রাখি মন তুষ্টি;
ভুলে জাতিভেদ প্রাণে প্রাণ বাঁধি, চিত্তে
খুশি দরশন জনে, পূঁজি নিজ কৃষ্টি।
মনে রেখো, সে গন্তব্য পথে হ-বে যেতে
আসিবেনা কভু ফিরে, সৃজি স্রষ্টা-সৃষ্টি।

মনের মানুষ আসবে ফিরে

কি আশায় উদাস দুচোখ, ভরা গাঙ্গে
কার প্রতীক্ষা, ঢেউ গুনিয়া মন ভাঙে-
রৌদ্র দুপুর শান্ত বিকেল সন্ধ্যা সাজে?
গোধূলি রাঙা হৃদয় কোণে সুর বাজে-
যার মায়ায়, নৃত্যে হিয়া কোন'সে গানে
ক্লান্ত বদন, ভাসো সদা'য় প্রেমো-বানে?
শ্রাবণ ভারী নয়ন ঝরে নদী-পাঁড়ে, 
বাঁধবে নাকি ভালোবাসা'য়, স্বপ্ন বাড়ে?

আকাশ জোড়া চন্দ্রসূর্য নিয়ম করে-
জোছনা রোদে মুগ্ধ মানুষ প্রয়োজনে। 
গোলাপ বকুল গন্ধে সদা মুগ্ধ করে;
কাষ্ঠ দেখো পরোপকার করছে পুড়ে।
ভালোবাসা রইবে না কভু অবিশ্বাসে,
বিশ্বাসে মনের মানুষ আসবে ফিরে।।

লগ্ন

নদী-ঘাটে ভর দুপুরে কলসি কাঁখে, 
জল আনিতে যাও কন্যা সখির সনে।
হাস্য-উজ্জল মুখটি যেনো ঝর্ণা ঝরে,
মিষ্টি মধুর কথায় যেনো মুক্তা পড়ে ; 
মৌন-নদে বইছে পানি কল কলিয়ে। 
অঙ্গ ভরা যৌবন যেন-দোলে বাতাসে,
প্রেমো হাওয়া লাগলো বুঝি এ-বসন্তে;
বিস্ময়েতে উদাস দেখা, দুচোখ মোহে। 

প্রিয় মুখ দেখে আমার হৃদয় নাচে, 
বন্ধু ছাড়া কাঙ্ক্ষিত এই সুখ-বসন্তে;
হিজল ডালে কোকিল ডাকে দূর-বনে,
বিরহে দাহ প্রহর গুলো, মন ফাগুনে।
হৃদয় পোড়া কভু কি আর থামে জলে,
লগ্ন বুঝি মন ভাসাতে প্রেমের বানে। 

হে ফরিদ আহমদ চৌধুরী

হে- ফরিদ আহমদ চৌধুরী, স্ব-গুণে
দিচ্ছেন প্রেরণা, সব জনে প্রীত, ঢেলে
জ্ঞান ভাণ্ডার-উজাড় মুক্ত, সু-যতনে
সাহিত্য খুঁজে ফেরেন সনেট তা বলে। 
নিরহঙ্কার সদা-এ কবি প্রীত জনে,
নতুনে মুগ্ধ হৃদয়, চেষ্টা মনোবলে-
অনুপ্রেরণা-র আলো রেখেছেন জ্বেলে।
ভালোবাসা প্রেম বায়ু সদা বা-য় মনে। 

মনে-র আকাশ জুড়ে যতো দি-ন যাবে-
শ্রদ্ধা ভালবাসা প্রেম দেবো আপনা-তে,
জ্যোতির্ময় এ-প্রতিভা থাকুক স্ব-ভাবে,
মুগ্ধতা-যে পুরোপুরি পারিনা বোঝাতে!
গুরু প্রেমে শিষ্য সদা, নয়ন জোড়াবে
পৃথ্বী'র, থাকুন স্বর্গে মো-র কামানা-তে। 

মার লেখা সনেট গুলো আমি সনেট দাবী করতে সাহস পাই না। কারণ, আমি জানি, সনেট হল কবিতা জগতের সবচেয়ে কঠিন ফরমেট।  এর কিছু নিয়ম কানুন ও আলাদা বৈশিষ্ট্য আছে। আমার কবিতা গুলো কতটা সনেট বৈশিষ্ট্য হয়েছে তাও বিচার করার অভিজ্ঞতা আমার নেই। লিখতে মন চায়, তাই লিখি। তবে যাই হোক, সনেট লিখতে চেষ্টা করেছি এবং চতুর্দশপদী লিখেছি। সেই দিক থেকে সনেট। তাই সনেট বলছি।