গন্তব্য
কত শত পথ ঘুরে দেখা তব স-নে,
বিচলিত যত গুণে মিলে-তা বিরলে;
এ-পূর্ণিমা রূপ যেন দেখি-গো নয়নে!
মুগ্ধ হিয়া, দ্বীন ক্ষণ যায়-গো গড়লে।
মানবী না পরী তুমি, চেনে জনে জনে,
চন্দ্রসূর্য ধ্রুব তারা, অাছো চোখ মেলে;
মমতা পরশ যতো দিলে তুমি ঢেলে,
কাঙ্ক্ষিত রূপ-পাগল মিশে সব মনে।
ভুলিব না এজীবনে, তব রূপ গাবে,
কামনা রাত দুপুর সন্ধ্যা কিবা প্রাতে;
ভুবনজয়ী রূপ কে দেখেছো, কিভাবে!
স্মরি-ব পূঁজি সৃজি-ব বসন্ত-ভূ-প্রান্তে।
সঁপেছি এ-দেহ ইচ্ছে ডুবেছি স্বভাবে,
বুঝেছি আজ আমার গন্তব্য তোমাতে।
গন্তব্য - ২
সেদিন তোমার চোখে থাকবে মিনতি,
স্বজনে স্বজনে তুমি খুঁজবে আশ্রয়,
ব্যথাহত কান্না বুকে চোখ খরা চৈতি ;
সে- নিষ্প্রাণ আর্তনাদ মৃত্যু-র বিজয়।
ভয়ে কম্পিত স্ব-বুকে বিলীন সম্প্রীতি,
জীবনের বাঁকে বাঁকে দ্বীন শুধু ক্ষয়,
ব্যর্থতা-র গ্লানি মেখে যেতে যদি হয় ;
কি-করে মিলবে বল খোঁদার মহতী।
এসো-ভালোবাসা খুঁজি স্রষ্টা'র সৃষ্টি'তে,
আপনে আপন ভাবী, রাখি মন তুষ্টি;
ভুলে জাতিভেদ প্রাণে প্রাণ বাঁধি, চিত্তে
খুশি দরশন জনে, পূঁজি নিজ কৃষ্টি।
মনে রেখো, সে গন্তব্য পথে হ-বে যেতে
আসিবেনা কভু ফিরে, সৃজি স্রষ্টা-সৃষ্টি।
মনের মানুষ আসবে ফিরে
কি আশায় উদাস দুচোখ, ভরা গাঙ্গে
কার প্রতীক্ষা, ঢেউ গুনিয়া মন ভাঙে-
রৌদ্র দুপুর শান্ত বিকেল সন্ধ্যা সাজে?
গোধূলি রাঙা হৃদয় কোণে সুর বাজে-
যার মায়ায়, নৃত্যে হিয়া কোন'সে গানে
ক্লান্ত বদন, ভাসো সদা'য় প্রেমো-বানে?
শ্রাবণ ভারী নয়ন ঝরে নদী-পাঁড়ে,
বাঁধবে নাকি ভালোবাসা'য়, স্বপ্ন বাড়ে?
আকাশ জোড়া চন্দ্রসূর্য নিয়ম করে-
জোছনা রোদে মুগ্ধ মানুষ প্রয়োজনে।
গোলাপ বকুল গন্ধে সদা মুগ্ধ করে;
কাষ্ঠ দেখো পরোপকার করছে পুড়ে।
ভালোবাসা রইবে না কভু অবিশ্বাসে,
বিশ্বাসে মনের মানুষ আসবে ফিরে।।
লগ্ন
নদী-ঘাটে ভর দুপুরে কলসি কাঁখে,
জল আনিতে যাও কন্যা সখির সনে।
হাস্য-উজ্জল মুখটি যেনো ঝর্ণা ঝরে,
মিষ্টি মধুর কথায় যেনো মুক্তা পড়ে ;
মৌন-নদে বইছে পানি কল কলিয়ে।
অঙ্গ ভরা যৌবন যেন-দোলে বাতাসে,
প্রেমো হাওয়া লাগলো বুঝি এ-বসন্তে;
বিস্ময়েতে উদাস দেখা, দুচোখ মোহে।
প্রিয় মুখ দেখে আমার হৃদয় নাচে,
বন্ধু ছাড়া কাঙ্ক্ষিত এই সুখ-বসন্তে;
হিজল ডালে কোকিল ডাকে দূর-বনে,
বিরহে দাহ প্রহর গুলো, মন ফাগুনে।
হৃদয় পোড়া কভু কি আর থামে জলে,
লগ্ন বুঝি মন ভাসাতে প্রেমের বানে।
হে ফরিদ আহমদ চৌধুরী
হে- ফরিদ আহমদ চৌধুরী, স্ব-গুণে
দিচ্ছেন প্রেরণা, সব জনে প্রীত, ঢেলে
জ্ঞান ভাণ্ডার-উজাড় মুক্ত, সু-যতনে
সাহিত্য খুঁজে ফেরেন সনেট তা বলে।
নিরহঙ্কার সদা-এ কবি প্রীত জনে,
নতুনে মুগ্ধ হৃদয়, চেষ্টা মনোবলে-
অনুপ্রেরণা-র আলো রেখেছেন জ্বেলে।
ভালোবাসা প্রেম বায়ু সদা বা-য় মনে।
মনে-র আকাশ জুড়ে যতো দি-ন যাবে-
শ্রদ্ধা ভালবাসা প্রেম দেবো আপনা-তে,
জ্যোতির্ময় এ-প্রতিভা থাকুক স্ব-ভাবে,
মুগ্ধতা-যে পুরোপুরি পারিনা বোঝাতে!
গুরু প্রেমে শিষ্য সদা, নয়ন জোড়াবে
পৃথ্বী'র, থাকুন স্বর্গে মো-র কামানা-তে।
আমার লেখা সনেট গুলো আমি সনেট দাবী করতে সাহস পাই না। কারণ, আমি জানি, সনেট হল কবিতা জগতের সবচেয়ে কঠিন ফরমেট। এর কিছু নিয়ম কানুন ও আলাদা বৈশিষ্ট্য আছে। আমার কবিতা গুলো কতটা সনেট বৈশিষ্ট্য হয়েছে তাও বিচার করার অভিজ্ঞতা আমার নেই। লিখতে মন চায়, তাই লিখি। তবে যাই হোক, সনেট লিখতে চেষ্টা করেছি এবং চতুর্দশপদী লিখেছি। সেই দিক থেকে সনেট। তাই সনেট বলছি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন