শুক্রবার, ১৬ জুন, ২০১৭

দুই শিশু সন্তানের সামনে মা কমলাকে নির্যাতন করে মেরেই ফেললো স্বামীগৃহে

জুলহাস ও তার ছেলে মানিক কতৃক অমানষিক হত্যাকান্ডের শিকার দুই সন্তানের জননী  কমলা!!!কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার পোড়াদহর সেন্টারপাড়া।।

রোজা থাকা কমলাকে প্রথমে গালে ঘুষি  মারা হয়েছে, এতে মেঝেতে পড়ে গেলে তার ঘাড়ে কষে লাথি মারা হয়েছে, তবুও হতচ্ছাড়া মেয়েটি মরতে চায়নি! কারন ওর তো ছয় বছর বয়সী ছেলে আর আড়াই বছর বয়সী মেয়ে আছে, ওর মরলে চলে?

যাহোক, তারপর ওকে নিয়ে স্বামী, শাশুড়ী, শ্বশুরেরা মিলে ফুটবল খেলেছে। এ লাথি মেরে ওর কাছে পাঠিয়েছে, ও আবার আরেকজনের কাছে।

নাছোড়বান্দা কমলা তবুও মরতে চায়নি, দুধের শিশু মেয়েটির মুখ মনে পড়ে গেছিলো বলে বোধহয়। 'নিরুপায়' স্বামী-শাশুড়ীর আর কিই বা করার ছিলো! বাধ্য হয়ে রড হাতে তুলে নিয়েছিলো তারা, তারপর মেঝেতে ফেলে বেধড়ক পিটুনি....

ঘটনা শেষ হতে যেয়েও হলো না। কারন এত কিছুর পরেও কমলার বেঁচে থাকার সাধ হলো!!! উপায়ন্তর না পেয়ে 'অসহায়' স্বামীকূল মারপিট বাদ দিয়ে সবাই মিলে মৃতপ্রায় কমলার মুখে এবার গ্লাসে করে বিষ ঢেলে দিলো। কি জানি, অর্ধচেতন কমলা হয়তো পানি মনে করে বিষটুকু খুব তৃপ্তি সহকারে খেয়েছে। সবশেষে পেশাদারী তৃপ্তি পেতে গলা টিপে সমাপ্ত করা হয়েছে এই মারণযজ্ঞ। এই সব কিছু হয়েছে কমলার দুই শিশু সন্তানের সামনে। হতবাক হলেও অবাক লাগেনি যখন শুনি লোকাল পুলিশ কমলার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন খুঁজে পায়নি, সিনা চওড়া করে হেঁটে বেড়াচ্ছে স্বামী-শ্বশুর, কেউ গ্রেফতার হয়নি। এতে নিশ্চয় সবাই বুঝতে পেরেছেন কমলার বাবা এক নিরীহ কৃষকগোছেরই কেউ হবে। কমলার পিতার নাম সেকেন্দার আলী, গ্রাম বুরাপাড়া।

সংগ্রহ : আবন্দুল্লাহ্ আল মামুন এর ফেসবুক পোষ্ট।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন