শুক্রবার, ১৪ জুলাই, ২০১৭

যেমনি ছিলাম আগে

যখন নীরব, নিঝুম রাত্রির
গভীরতা বাড়ে ধীরেধীরে, 
নিকষকালো আঁধারের চাদরে ঢাকা
আমার চারিদিক; 
অন্ধকার ছাপিয়ে
একটা দুটি তারা জ্বলে ঐ আকাশে,
ঝলসান হৃদয়ের গন্ধে মাতাল
ছোটে চলি দিক্বিদিক।

মাটির বুকচেরা রোদ্দুর,
ডাহুকীর চিৎকারে কাঁপে বুক,
বিরহতাপে পাথর অন্তর 
ধূপের ধোঁয়ার মত উঁড়ছে মন;
ঘুরেছি দ্বারেদ্বারে সন্ধ্যা সাজে
কোথাও মিলেনি আশ্রয়,
মিলেনি শান্তি,
পারিনি হতে ল্যাম্পপোষ্টের মতো স্থির! 

অশাসনীয় হৃদয়ের অস্বস্তিকর সময়
যাচ্ছে কেটে দিনযামিনী, 
মহাপ্রলয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়ানো
আমার ভবঘুরে  জীবনব্যাপী;
নিঃসঙ্গতা আর একাকীত্বে গড়া
আমি ধূমকেতু-নক্ষত্রপতি,
জ্বলছি শূন্যময় রাতের আকাশে
সহস্রাধিক বছর নীরবচারী। 

কত আকুতি, মিনতি ভরা নয়নে
তৃষ্ণার্ত নিবেদন কতজনে,
কেউ বোঝেনি, বলেনি পথিক
এসো স্বপ্নে মোর ঘুমো-ঘরে;
যুগের পথে চলেছি একাই
তবুও দিন যায় রাত্রি আসে-ফিরে, 
নির্ঘুম সকাল, হইনা অবাক নিজ দেখে
যেমনি ছিলাম আগে। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন