মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

তুমি কত দূরে

তুমি কত দূরে - আমায় একা করে
সীমানা ছাড়িয়ে গেলে যে হারিয়ে
আছো কতই সুখে তুমি আজ,
বড় বেশি মনে পড়ে তোমায় প্রিয়া।।
তুমি কত দূরে - আমায় একা করে....

নীরব দুপুরবেলায় আজও তোমায় ভেবে
চোখের জলে কেন আমার এবুক ভিজে...।।
তুমি জানো না বোঝ না কত দুঃখে,
মন মাঝে আমার আজও আগুন জ্বলে।।
তুমি কত দূরে - আমার একা করে...

পূবাল হাওয়া কোন বিকেল বেলায়
চেয়ে দূর দিগন্তে তোমারি প্রতীক্ষায়...।।
বসে থাকি আশায় দেখো মন ভাসে,
তুমি ছিলে শোভা আমার এই হৃদয়ে।।
তুমি কত দূরে - আমায় একা করে...

আমি গরীব ছিলাম তাই দুঃখ পেলাম
মহৎ প্রেমের দামে কষ্ট কিনে নিলাম...।।
যেনো আর কিছু নেই ভালোবাসা বলে,
সবই ব্যর্থ এখন এখন শুধু অর্থের কাছে
তুমি কত দূরে - আমায় একা করে....
......

সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

দহন

সেই জন্ম থেকেই চলছে জ্বলতে থাকা,
এখনও হলো না শেষ এই দুঃসহ দহন;
পোড়া মন নিয়ে আরও কত হবে চলা,
খোদা জানেন আমারও হয় ইচ্ছে বিষণ।

মুক্তি চাই, সমাপ্ত হোক নিদারুণ যন্ত্রণা,
ঘুচে যাক সীমাবদ্ধতা মুক্ত হোক বচন;
সেখানেই লুকায়িত সকল ভালো লাগা,
আমার সুখ মন-ভাবের বিশ্লেষিত কথন।

মানুষ বিদ্বেষানলে ধ্বংসিত যে মানবতা,
বিবেকহীনতার উল্লাসে বিবেকের ক্রন্দন;
অসত্যের বেড়াজালে আটকানো সত্যতা,
সভ্যতার দমবন্ধ যেন স্তম্ভিত হৃদস্পন্দন।

ঊর্ধ গগনে তুলে হাত বলতে চাই- স্রস্টা,
আকাশ রূপেই রাখতে করলে সৃষ্টি যখন;
বুঝাতে পারতাম ভেদাভেদহীন উদারতা,
বৈষম্যবিহীন সমাজ কেমনে করবে গঠন।

আজন্ম জ্বলতে থাকা সূর্য করতে যদিবা,
দেখাতে পারতাম ভালোবাসা হয় কেমন;
আমার এই জ্বলন দহন পেতো সার্থকতা,
মানুষে মানুষে রাখতো আত্ম-সেতু বন্ধন।

শনিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

তুমি কি সেই...

একদিন না দেখে, বলতে না পারলে কথা-
আকাশ যেন পড়তো ভেঙে মাথায়,
হন্নে হয়ে খুঁজতে আমাকে, করতে দেখা
চোখের সামনে যাকেই পেতে পরিচিত,
তাকেই আকুতি ভরা চোখে বলতে,
তোমরা কি দেখেছো আমার নয়ন'কে...?
চোখের চাহনিতে থাকতো কালো মেঘেরঘটা,
যেন অল্প বাতাসেই ঝরবে বৃষ্টি, অবিরত।
বড় উদাসী হয়ে ঘুরতে, হয়তো কাঁদতে,
হারিয়ে যেতো তোমার মনের স্থিরতা।
একদিন পর দেখা হতেই ছলছল চোখে বলতে
কোথায় ছিলে এতদিন...বলো'তো...!
কার সাথে ঘুরেছো-
কেন পুড়িয়েছো আমাকে বিরহানলে...?
কত যে কষ্ট...কত যন্ত্রণা আর
কত যে ব্যাকুলতা তোমাকে দেখার!
তা'কি তুমি বুঝো না....!
আমাকে না দেখে কেমনে ছিলে তুমি...!

আজও চোখে ভাসে তোমার সেই ব্যাকুলতা,
ভালোবাসায় সেই মগ্নচৈতন্য চাহনি...
মায়ায় ভরা ও চোখে থাকতো প্রেমের শূন্যতা।
ভিজে ওঠে আজও দু'চোখের কোণা অনুভবে,
তখন একবুক দীর্ঘশ্বাসের সাথে বেরিয়ে আসে
মনের সকল ঝঞ্ঝা, একটাই যেন প্রশ্ন-জিজ্ঞাসা,
তুমি কি সেই মিনতি....?
যে আমার পথচেয়ে প্রতীক্ষার প্রহর গুনতো,
একদিন না দেখেই যেন হয়ে যেতো পাগলি!
প্রতিক্ষণ মনের ঘরে আমারি ছবি আঁকতো,
যার অমিত-প্রেমে সারাক্ষণ এই মন ভাসতো।
তুমি কি সেই মিনতি...?

নাহ! তমি সে নও...!
সেই মিনতি মরে গেছে...!
সে অন্যের বুকে মাথা রাখতে পারেনা কখনো!
এরচেয়ে যে তার মরণ ভালো, সে বলেছিলো।
সে আছে আমার অনুভূতিশীল ইন্দ্রীয়তে মিশে,
আমার মনের ঘরে বড়ই যতনে তার বসবাস!!
এতটা বেঈমান নয়- যে মিনতি আমার ছিলো,
আমি রোজ তাকে দেখি...
কথা বলি রোজ তার সাথে....।
সে যে বড্ড বেশি ভালোবাসে আজও এই আমাকে...!!

আজ সকালে

আজ সকালে হবে কি সেই সূর্য দেখা
অনেক আশা স্বপ্ন সে যে মন বাসনা।
ইচ্ছে সকল হচ্ছে জড়ো তাকে ঘিরেই
আসবে কি সে আলোর মতো সুনয়না।

চন্দ্র হয়ে মনের ঘরে যে রইছে গাঁথা
সূর্যের মতো তাপ ছড়ায় সে অপরূপা।
আমার যতো গল্প কথা তাকে নিয়েই
মনের রাজ্যে রাণী সে যে আমি রাজা।

দেখে তারে অন্ধকারেও পাই যে দিশা
স্বর্গ যেন আমার কাছে তার ভালোবাসা।
অমৃত সুখ লাগে যেনো তার ছোঁয়াতেই
বিষাদে ভরে সুখের ভুবন তাকে ছাড়া।

নিশিত জেগে স্বপ্ন সাজাই ঘরেই একা
প্রভাত সুরুজ দেখবো নিয়ে প্রিয়তমা।
শিশির ভেজা ঘাস পাড়িব খালি পায়েই
স্বপন কথা বলবো তারে ঘুচবে নীরবতা।

শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

বিরহবিধুর

সময় যেনো স্থির ঠায় দাঁড়িয়ে,
কিছু নেই নিশ্বসিত শব্দ ছাড়া,
চারিদিকে শূন্যতল, নীরবতা
উম্মুক্ত বাতায়ন, বিরহবিধুর।
স্তম্ভিত দৃষ্টি দূর আকাশে-
বিরহিত হৃদয়ের প্রতিচ্ছবি
ভাসছে চোখে প্রতিক্ষণ,
দূর দিগন্তরেখা ছাপিয়ে আজ
মেঘ গুলো মেখেছে শুভ্রতা,
কোন জল নেই, সুদৃষ্ট সুদূর।
তোমা বিরহে চৈত্রিক মনোভূমি,
ফাগুন শুষ্কতায় শ্রাবণ প্রতীক্ষিত
এচোখে কোনো জল নেই, বিস্মিত
দুঃসহ শূন্যতায় ঘেরা উদাস দুপুর।

ছাপিয়ে দিগ ঘন বরিষণ ভাসিত শ্রাবণ,
দুঃসহ বিরহ কষ্টেসৃষ্ট ঝঞ্ঝাট হিয়া;
বাসনাপূরণে তরবারি বিদ্রোহানল,
বৈষম্যহীন ভৈরবীরাগ সমাহরণ।
উম্মুক্ত মম হৃদয় স্মরণে বিষ্ণুপ্রিয়া,
এ'প্রেমের তৃষিত বান খর অবিচল;
প্লাবিত মনোভূমি দেখো গো সুনয়না,
ঘোর অন্ধকার মহাপ্রলয়ের পূর্বক্ষণ।

তোমার প্রেম স্পর্শ, সুখপূর্ণ লগন
সুনীল আকাশ স্বপ্নিল রাত্রিদিন
এ'মনে সুখোদয় প্রেমময় শিহরণ।।

বিরহবিধুর

সময় যেনো স্থির ঠায় দাঁড়িয়ে,
কিছু নেই নিশ্বসিত শব্দ ছাড়া,
চারিদিকে শূন্যতল, নীরবতা
উম্মুক্ত বাতায়ন, বিরহবিধুর।
স্তম্ভিত দৃষ্টি দূর আকাশে-
বিরহিত হৃদয়ের প্রতিচ্ছবি
ভাসছে চোখে প্রতিক্ষণ,
দূর দিগন্তরেখা ছাপিয়ে আজ
মেঘ গুলো মেখেছে শুভ্রতা,
কোন জল নেই, সুদৃষ্ট সুদূর।
তোমা বিরহে চৈত্রিক মনোভূমি,
শ্রাবণ প্রতীক্ষিত ফাল্গুনী শুষ্কতায়,
এচোখে কোনো জল নেই, বিস্মিত
দুঃসহ শূন্যতায় ঘেরা উদাস দুপুর।

ছাপিয়ে দিগ ঘন বরিষণ ভাসিত শ্রাবণ,
দুঃসহ বিরহ কষ্টেসৃষ্ট ঝঞ্ঝাট হিয়া;
বাসনাপূরণে তরবারি বিদ্রোহানল,
বৈষম্যহীন ভৈরবীরাগ সমাহরণ।
উম্মুক্ত মম হৃদয় স্মরণে বিষ্ণুপ্রিয়া,
এ'প্রেমের তৃষিত বান খর অবিচল;
প্লাবিত মনোভূমি দেখো গো সুনয়না,
ঘোর অন্ধকার মহাপ্রলয়ের পূর্বক্ষণ।

তোমার প্রেম স্পর্শ, সুখপূর্ণ লগন
সুনীল আকাশ স্বপ্নিল রাত্রিদিন
এ'মনে সুখোদয় প্রেমময় শিহরণ।।

বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

বাল্যবন্ধু

সকাল বেলায় ঠাণ্ডা ভাতে,
দিনটি শুরু মন আনন্দে- কিশোরচিত্তে; 
চিন্তাভাবনার-নাইতো বালাই।
সকাল দুপুর সন্ধ্যা রাতে,
খেলাই বেড়াই পাড়াগাঁয়ে- মন-আনন্দে;
নতুন মাঝেই-সুখ খুঁজে পাই।
পাশের বাড়ি বন্ধুর সনে,
সুযোগ খুঁজি খেলার ছলে-ভর-দুপুরে;
কোনভাবে যদি-তার দেখা পাই।

কতো খেলাই ওঠতো জমে,

মনের সুখে দুজন মিলে- একলা ঘরে;

আর যেনো-গল্পের অভাব নাই। 

 দৌড়ঝাঁপ আর মারামারি,
সুযোগ পেলেই রোজ খেলি- পাশের গ্রামে;
সকল খেলায়-দল বেঁধে যাই।
ঝগড়াঝাঁটি সকল ভুলি,
এক হয়েই যে খেলে আসি- রোজ বিকেলে;
মোদের চেয়ে-জুট কোথাও নাই।
খুশির খবর যদি জানি,
মনের মতো বন্ধুরে খুঁজি- সবার আগে;
তার কাছেই-নির্দ্বিধায় জানাই।
ভুলে দ্বন্দ্ব-দুঃখ বন্ধু ডাকি,
জিগাই তারে জানিস নাকি- আমার মনে;
তুই ছাড়া আর-সুখ কোথা পাই! 

পুকুরপাড়ে ঝড়ের রাতে,
যেতাম ছোটে দুজন মিলে- আম কুড়াতে;
সবার আগে-চাই যাওয়া চাই।
সঙ্গের সাথী সবাই মিলে,
পাশের বাড়ির গাছ থেকে- আঁধার ঠেলে;
নারিকেল ডাব-কত পেড়ে খাই।
সুযোগ মতো পাশের বনে,
শিয়াল মামার দেখা পেলে- সবার সাথে;
মারতে তারে-যাই ছোটে যাই।
বাল্য কালের বন্ধুর সনে,
কতো কথাই যে মিশে আছে- গোপন হয়ে;
হাসি আজও-মনে হলে একাই।

বাবার কাছে খেয়েই বকা,
কখনো ঘরে রইছি একা- দোয়ার মেরে;
চোখের জলে-এই বুক ভাসাই। 
বন্ধু আমার আসতো একা,
হাইরে কতই স্বপ্ন দেখা- রাগ ভাঙিলে;
হাসতে হাসতে-গড়া গড়ি যাই। 
হাসি খেলায় যাইতো বেলা,
সুখের গাঙে রঙিন ভেলা- হৃদয় ফ্রেমে;
এঁকেছি কত ছবি-তুলি ছাড়াই।
হায়রে আমার ছেলে বেলা,
হয়'না যেন আজও ভুলা- মনের ঘরে;
রাখছি তারে-খব যতনে তাই।

গোলাপ গাছে ফুলের রেণু,
সেথায় গেলে জুটবে মধু- ভ্রমর জানে;
 যেথায় ঘুরুক-ফিরে আসে তাই।
হারিয়ে যাওয়া দিন গুলো,
যদিও জানি পাবো'না তবু- স্মরণ করে;
কিছুটা হলেও-সুখ খুঁজে পাই। 
ছেলেবেলা আর বাল্যবন্ধু,
কতকিছু পাইলাম তবু- এই জীবনে;
কিছুর সাথে-তার তুলনা নাই।
নতুন গাছে প্রেমের কদু,
চাক- ভাঙিয়া সুখের মধু- পাইছি খুঁজে;
বাল্যকাল আর-বন্ধু ভুলিনাই।

মঙ্গলবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

কবিতা

নীরব স্থিত উদাস চোখ-
তাতে যেন লেগে আছে অনন্তকালের শূন্যতা!
তুমি কি দেখতে পারছো...?
তুমি কি পড়তে পারছো-
তৃষাতুর সে চোখের ডায়েরিতে লিখে রাখা কাব্য ?
তুমি কি বুঝতে পারছো সেই কাব্যের মর্মকথা ?
বাস্তব জীবনের নির্মমতা কতটা পুড়ায়
তার কিছুই কি বুঝছো না
ডায়েরির পোড়া পাতাগুলো দেখে...?
তোমার আছে কি- কোন অবিজ্ঞতা, কতটা কষ্টে পুড়ে
একটা হৃদয় ছাই হয়ে বাতাসে ভেসে বেড়ায়...?
খুঁজে বেড়ায় স্থিরতা...?

জানি, তুমি কিছুই বুঝনি...!
তোমার হৃদয়ের কোনো চ্যাপ্টারেই
লিখা নেই শূন্যতার ইতিহাস! তুমি অহংকারী।
তোমার মনের হৃদপিণ্ডে সেই যন্ত্রটি নেই
যে যন্ত্রটি ভালোবাসতে শিখায়,
তার নামই তো 'মানবতা'।

তুমি কি জানো স্রষ্টাতত্ত্ব,
তুমি বিশ্বাস করো কি সৃষ্টির স্রষ্টাকে?
বুঝো কি প্রতিটি সৃষ্টি
স্রষ্টার কতটা ভালোবাসার উপমা...?
যদি স্রষ্টকে ভালোবাসো তবে সৃষ্টিকে কেন নয়!
তবে তো তুমি স্রষ্টাকেই করছো অবজ্ঞা!
তোমাকে তো এই অবজ্ঞার শাস্তি পেতেই হবে।
নাহ! পাবেনা এই অবজ্ঞার ক্ষমা।
তোমার জন্য সেই শাস্তি প্রস্তুত হচ্ছে।
সেই শাস্তি থেকে মুক্তি পাবে
হয়েছো কি সেই বীর-যুদ্ধা?

তুমি মানবিক দিক থেকে যখন হেরে যাও,
আমাকে তখন শোনাতে থাকো জ্ঞান কথা।
তোমার মনের অহংকার নামক পর্বতগুহা থেকে
খুঁজে খুঁজে বের করতে থাকো পুঁথিগতবিদ্যা,
আমাকে আটকাবে বলে।
তোমার অহংবুদ্ধি আমি সহজেই বোঝে যাই, এক কথায় বলে দেইে, আমি বুঝি না।
তোমার বদ্ধচিত্ত, জ্ঞানেন্দ্রিয়ের সীমিতকরণ রূপ
আমাকে আকৃষ্ট করতে পারেনা।
তোমাতে প্রকৃত জ্ঞানকোষ নেই, যার নাম মানবতা।
তুমি মানুষকে মানুষ ভাবতে শিখে এসো, তোমাকে করবো ভুবনজয়ী সম্মান, শ্রদ্ধা।

তুমি যখন ভালোবাসায় হেরে যাও, তখন শোনাতে থাকো অর্থবিত্ত প্রাচুর্যতার কথা।
আমি বোঝে যাই খুব সহজেই-
তোমার এই প্রাচুর্যপূর্ণ সম্পদের স্তরে স্তরে
লেগে আছে, না জানি কত মানুষের কষ্ট,
কতো হৃদয় ভাঙার বেদনা।
তখন আর আমাকে কোনোভাবেই,
তোমার প্রচুর অর্থ-প্রাচুর্যতা বিমোহিত করতে পারেনা।
মনের গহীনে বাড়তে থাকে
তোমার জন্য শুধই ঘৃণা।
ভালোবাসার কোনো উপদানই আর
খুঁজে পাই না তোমার মাঝে,
মনে হয় তুমি আমার অপরিচিত, চির অচেনা।

তুমি ভুলে যাও অহংকার,
খোঁজনা মানুষের মাঝে আছে ভেদাভেদ।
মানুষকে ভালোবাসতে শিখে এসো,
আমার মনের দোয়ার তোমার জন্য থাকবে খোলা
তোমাকে পরম শ্রদ্ধায় দেবো- ভালোবাসা।।

তোমার হৃদয় কখনওই কাঁদে না দেখে
মানুষের দুঃখ, কষ্ট, বেদনা।
তুমি মানুষকে কাঁদিতে দেখে হাস মন গহীনে,
অসহায়ত্বের সুযোগ খোঁজ, সহায় হতে পারো না।
তোমার অহংকারী  জ্ঞানদে ভেসে যাবে সকল অর্জন
মনুষ্যত্ববর্জিত মন কভু ভালোবাসা পায় না।
তুমি সুখী হবে না কোনোদিন,
তুমি অভিনেতা হয়ে অভিনয় করে যাবে
নিজের জীবনের সাথে, সুখ খুঁজে পাবেনা।
অর্থ আর প্রাচুর্য দিয়ে হয়তো
দারিদ্র্যকে কিনতে পারবে, মন, সেতো থাকবে অধরা।
তোমার মন প্রাসাদ শূন্যতায় ভরে থাকবে
কখনওই ভাবতে পারবেনা-পেয়েছো পূর্ণতা।

এ আমার অভিশাপ নয়, দিচ্ছি ভালোবাসা।
এই ভালোবাসা তুমি অর্থ-অহংকারে খুঁজে পাবেনা,
বুঝতে পারবেনা এর মহত্তত্ত্ব,
তখনই বুঝবে, যখন তুমি বুঝবে 'মানবতা'।

এসো হে ভাই.....
স্রষ্টার সৃষ্টিকে ভালোবাসি
ভুলে যাই সকল ভেদাভেদ, বৈষম্য
হয় তো তাতেই পাবো স্রষ্টার দেখা
পাবো স্রষ্টার ভালোবাসা, পাবো মুক্তি।

সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

Forgive Morrow


Where do ... went 
behind a cloud in the sky the moon taraya. 
The light of day, dark of night purnimaya .. 

How do you explain it love, 
all my faith, my existence sattbaya. 
You meditation, devotion, saying that udarataya everywhere .. 

The sky went underground, 
heaven, hell, unbearable thirst yantranaya manusyatbe 
sleep or turn-by-turn jaganaya life. 

There is nowhere you, 
are, tears bhabanaya smile across my Swapan. 
Are in that mix, I've never seen haya excited !! 

You're beautiful, pumjari in mind, 
the vision of the face sahasaya forget everything. 
I got you, fortune-parikramaya anuksane .. 

Temple excited srji mind, 
the folds folds, pumjaya smari excited. 
Love renaissance, mohanaya side of life .. 

Not excited, forget yourself, 
dubechi have to hide their worldly basanaya. 
Khumjini own culture, to dharaya the affair .. 

So I am guilty, repentant, 
so love thy barely tomaya harayechi. 
Found himself in the wrong kamanaya forgive .. Morrow

রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

Twenty-one of my

Bengali Language brother love, my brother died in February in the mix. Bengali sari under her, the scent of flowers like the purity of the Bengali language ..

Bengalis hero in the eyes of the dream, to win the cheer was built, and the value of vernacular poetry. Determination towards the goal, what is possible and could prevent hundreds of thousands of people bun ..

All the pain in the chest, when the hit-and if you know the language. Gusthira drying without bathing in the blood of the poison will protect the honor of the mother tongue ..

So I understand the crowds brother, the slogan of the street to shake with fear. Drying ruler shakes, tongue bring guns to carry out the shotgun ..

The wind tries to make up heavy sky, floats in the blood of the highway between the city tries to make up the village. Shahid is the language of love, Rafiq, Shafiq, blessed, Shafi, Jabbar, Salam ..

Brutally killed, for every movement ahiullaha, Awal. He brought an independent language, we can say to them that we bangali heroes ..

Twenty-one I'm in love with her chest kuthare seito the song. For song in Bengali, Bengali tune juraina bharai heart, my soul ..

Twenty-one of my pride, my national flag on February twenty-first. They honor and respect those who are killed janye space jayanamaye heart ..

Collected -Naim Jahangir Noyon

শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

একুশ আমার

|| একুশ আমার ||
                   -নাঈম জাহঙ্গীর নয়ন

বাংলা ভাষা ভাই ভালোবেসে, একুশের মাঝে মিশে থাকা মোর ভাইয়ের প্রাণ। বাংলা মায়ের আঁচল তলে, ফুলের মতোই বিশুদ্ধতায় বাংলা ভাষার এ ঘ্রাণ।।

বীর বাঙালির স্বপ্ন চোখে, মাতৃভাষার কাব্য গাঁথা জয় উল্লাস আর মান। দৃঢ় প্রতিজ্ঞা লক্ষ্যের পথে, সাধ্য কি আর রুখতে পারে লাখো জনতার বান।।

একই ব্যথা সবার বুকে, ভাষার উপর আঘাত এলে যায়-ও যদি জান। শোষক গুষ্ঠীর বিষ রক্তে স্নান করেও রক্ষা করবো মাতৃভাষার সম্মান।।

তাই বুঝি ভাই দলে দলে, রাজপথের ভীত কাঁপিয়ে দেয় বাংলার স্লোগান। শোষক শাসক কেঁপে ওঠে, মুখের ভাষা কাড়তে চালায় বন্দুক শটগান।।

বাতাস ভারী আকাশ কান্দে, রক্তের মাঝে রাজপথ ভাসে কান্দে শহর গ্রাম। শহীদ হলো ভাষার প্রেমে, রফিক, শফিক, বরকত, শফি, জব্বার, সালাম।।

নির্মম ভাবে শহীদ হয়ে, ভাষার জন্য আন্দোলনে অহিউল্লাহ, আউয়াল। স্বাধীন ভাষা দিলেন এনে, তাঁদের জন্য বলতে পারি আমরা বীর বাঙাল।।

একুশ আমার, ভালোবেসে বুক কুঠরে রাখছি তারে সেই'তো বাংলার গান। বাংলা ভাষায় গানটি ধরে, হৃদয় ভরাই বাংলা সুরে জুড়াই আমার প্রাণ।।

একুশ আমার অহংকারে, ফেব্রুয়ারির একুশ যে আমার জাতীয় নিশান। শহীদ যাঁরা তাঁদের জন্যে- স্থান হৃদয় জায়নামাযে জানাই শ্রদ্ধা সম্মান।।

একুশ আমার -নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন

( আজকের সারাদিনের চিন্তাভাবনার ফসল কবিতা 'একুশ আমার' কারো ভালো লাগলে সফলতা। কপি হতে সাবধান থাকুন। সম্ভব হলে লেখকের নাম সংযুক্ত করে কপি করুন। ভালোবাসা সবার জন্য।)

শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

অনুভবে তাই ভালোবেসে যাই

সৃজেছি তোমায় হৃদয় গহীনে,
চন্দ্রসূর্য আর গ্রহ-তারা দিয়ে।
রশ্মি হয়ে থাকবে মন আকাশে
হারান ভয় নাই কভু আঁধারে।

দিবস কাজের ফাঁকে যদি পাই,
ক্লান্ত প্রহর-ব্যস্ততা ভুলে যাই।
জাগি পূর্ণিমা রাত, স্বপ্ন সাজাই;
ভোরের স্নিগ্ধ হাওয়া তুমি তাই।

দূর আকাশের নীল দেবো তোকে,
রঙিন সাত রঙে দেবো সাজিয়ে।
সাদা মেঘের শুভ্রতা গায়ে মেখে,
হারিয়ে যাবো দুজন অজানাতে।

অমানিশা রাত, তুমি কাছে নাই;
বুকে শূন্যতা, আঁধারে ডুবে যাই।
ধ্রুবতারা হয়ে তুমি আছো তাই,
স্বপ্নের ভুবনে মিশে যেতে চাই।

স্বর্গ-নরকে মত তোমায় নিয়ে,
পাপপুণ্য সবই তোমাকে ঘিরে।
ইহকাল পরকাল ভালোবেসে,
মরতে চাইগো প্রিয় তব কুলে।

তৃষ্ণাতুর চোখে আকাশে তাকাই,
মন বাসনাতে যে স্বপ্ন সাজাই।
খুঁজি হৃদয় মাঝে, বাঁশি বাজাই,
আসো না তুমি, তবু মন পুড়াই।

পুড়লে হয় কি প্রেম খাঁটি ভবে,
জ্বালো আগুন আরও পুড়ো তবে।
দগ্ধ মনে যাবো তোমা নাম জপে,
সেজে মুনিঋষি সাধু বনে জনে।

তোমার ভাবনাতে সাজি গোসাই,
ভক্তি ধ্যানে কভু সেজেছি নিমাই।
আমি সাজবো ঘুড়ি তুমি নাটাই,
জানো তো, যেই কৃষ্ণ সেই কানাই।

তুমি আছো আমার হৃদয় জুড়ে;
রোদ বৃষ্টি শীত গ্রীষ্ম খর তাপে।
হয়ে মেঘ ছায়া থাকবে আকাশে,
তুমি বাস্তবতা, রয়েছো অস্তিত্বে।

অনুভবে তাই ভালোবেসে যাই,
থাকবো তোমাতে পাই'বা না'পাই।
তুমি ছাড়া আর কেহ মনে নাই,
আশায় বেঁধে বুক তোমাকে চাই।

বৃহস্পতিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭

মুক্তিযুদ্ধ, গণহত্যা অস্বীকার করার সাহস তারা কোথায় পেল

ইত্তেফাক রিপোর্ট১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭ ইং ২৩:১৯ মিঃ

একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যাকে অস্বীকারের পাশাপাশি গণহত্যার জন্য উল্টো মুক্তিবাহিনীর উপর দোষ চাপানোর মতো বিকৃত তথ্য-চিত্র সম্বলিত ‘ক্রিয়েশন অব বাংলাদেশ: মিথস এক্সপ্লোডেড’ নামে একটি বই লিখে প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের জনৈক জুনায়েদ আহমদ। বাংলাদেশের সৃষ্টি নিয়ে লেখা বিভ্রান্তিমূলক বইটি পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা-আইএসআই পাকিস্তানে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে পাঠিয়ে এটি ‘মূল্যবান দলিল’ হিসাবে সংরক্ষণের জন্য রীতিমতো চিঠি লিখে অনুরোধ জানিয়েছে। এই অনুরোধ করেছেন পাকিস্তানের ডিরেক্টর জেনারেল অব ইন্টেলিজেন্স আমজাদ ইকবাল বাদল। এই ঘটনায় বিষ্ময় প্রকাশ ও তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘লাখো শহীদের রক্ত ও মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত এই বাংলাদেশ নিয়ে এই ধরনের অপপ্রচার অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের।       এই স্পর্ধা ও সাহস ওরা পেল কোথায়? পাকিস্তানের কাছে আমরা জোরালো প্রতিবাদ জানাবো।’ গতকাল বুধবার সংসদে দেওয়া অনির্ধারিত বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

বিকাল পৌণে পাঁচটার দিকে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হওয়ার পর বইটির বিষয়ে সংসদকে অবহিত করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ম্ললীর সদস্য ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ। এসময় তিনি ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব করেন।

পরে এ ব্যাপারে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে ঘোষণার জন্য আমাদের উদ্যোগ নিতে হবে। এ ব্যাপারে পাঠ্যপুস্তকেও বিস্তারিত তথ্য থাকতে হবে- যেন নতুন প্রজন্ম সঠিক ইতিহাস জানতে পারে। সংসদেও প্রস্তাব আসতে পারে। এ ব্যাপারে আইনিভাবে কিছু করার থাকলে সেটিও ভেবে দেখা হবে। পাশাপাশি তথ্য-প্রমাণ পাঠিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের কাছেও আমরা দিনটিকে গণহত্যা দিবস হিসাবে পালনের জোর দাবি জানাব।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শেষে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসাবে ঘোষণার প্রস্তাব রেখে অন্য একজন সংসদ সদস্য ইতোমধ্যে নোটিশ দিয়েছেন। আজ মাননীয় মন্ত্রীও (বাণিজ্যমন্ত্রী) প্রস্তাব দিলেন। প্রস্তাব দুটো নিয়ে আমরা অগ্নিঝরা মার্চের কোনো একটি দিনে সংসদে আলোচনা করব।’

শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে একাত্তরের পরাজিত শক্তি ফের অপপ্রচার শুরু করেছে। পাকিস্তানিরা বই লিখে উল্টো মুক্তিবাহিনীর উপর দোষ চাপিয়ে নিজেদের কৃতকর্ম ও গণহত্যা ঢাকা দেয়ার অপচেষ্টা করছে। গণহত্যার জন্য ওদেরই লজ্জা হওয়া উচিত। গণহত্যার দায় মুক্তিবাহিনীর উপর চাপানোর এই অপচেষ্টা গ্রহণযোগ্য নয়। একাত্তরের গণহত্যা, নির্মমতা, নির্যাতন, ধর্ষন ও মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য আমরা তাদেরকে মাফ চাইতে বলেছি। ওরা মাফ চায়নি। উল্টো এখন আমাদের উপর দোষ চাপানোর ধৃষ্টতা মেনে নেব না। আমি এই ঘটনার ধিক্কার জানাই। এই ধরনের বই লেখার ক্ষেত্রে এখান (বাংলাদেশ) থেকে কারা মদদ দিয়েছে সেটাও খুঁজে বের করা দরকার। যারা বিদেশি প্রভুদের মদদ দেয়, তাদেরও খুঁজে বের করা হবে।

 প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইয়াহিয়া কিভাবে সারাদেশে গণহত্য চালায়, মানুষকে হত্যা করে-তা নিজ চোখে দেখেছি। ঢাকার ধানমন্ডি, মিরপুর, পিলখানা, সাতমসজিদ রোডসহ বিভিন্ন স্থানে আমি নিজে লাশ পড়ে থাকতে দেখেছি। আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন দেশটাকে শত্রুমুক্ত করার ঘোষণা দিলেন তখন আমাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। শুধু গণহত্যা নয়, কলাবাগান, ধানম্লিসহ বিভিন্ন স্থান থেকে ১৩/১৪ বছরের বাচ্চা মেয়েদের তুলে নিয়ে ধর্ষন করেছে, তাদের চিত্কার শোনা যেত। এ কাজে তাদের সহায়তা করেছিল রাজাকাররা। এদেশের সবাই নাকি হিন্দু হয়ে গেছে, এরকম কথা বলে তারা সেদিন আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। তারা মানুষ নয়, শুধু মাটিটা চেয়েছিল।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ৩০ লাখ শহীদ হয়েছে-সবাই যখন মেনে নিল তখন বিএনপি নেত্রী কেন এনিয়ে প্রশ্ন তুললেন? গণহত্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলে উনি বিদেশি প্রভুদের সুযোগ করে দিয়েছেন। সেটিরই প্রতিফলন এই বইটি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ (গতকাল) ১৫ ফেব্রুয়ারি, দিনটা নানা কারণেই উল্লেখযোগ্য। ’৬৯ এর এদিনে সার্জেন্ট জহুরুল হককে হত্যা করা হয়। পরবর্তীতে যে গণআন্দোলন-গণঅভ্যুত্থান গড়ে ওঠে, তাতে পাকিস্তান ও তাদের দোষররা পরাজিত হয়। আমাদের বিজয়ের প্রতিশোধ নিতেই তারা ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট ঘটায়। ২১ বছর পর আমরা ক্ষমতায় আসার পর মানুষ সঠিক ইতিহাস জানতে শুরু করে। জিয়াউর রহমানও গণহত্যাকে ধামাচাপা দিতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধু যেসব যুদ্ধাপরাধীর বিচার শুরু করেছিলেন-জিয়া তাদের মুক্তি দেন।  

তিনি বলেন, ’৯৬ এর ১৫ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া ভোটারবিহীন নির্বাচন করে। আমরা সব দল তা বয়কট করি। কেউ ভোট দিতে আসেনি। আমাদের আন্দোলনের ফলে ৩০ মার্চ খালেদা জিয়া পদত্যাগে বাধ্য হন। ১৫ ফেব্রুয়ারির ওই নির্বাচনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর খুনি রশীদ ও হুদাকে সংসদে নিয়ে আসেন খালেদা জিয়া। হুদার ফাঁসি হয়েছে, ফাঁসির দ্ল নিয়ে রশীদ এখনও পলাতক। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিরোধী দলের চেয়ারে বসানোর কারণেই মনে হয় মাত্র দেড় মাসের মাথায় খালেদা জিয়া পদত্যাগে বাধ্য হন।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, একদিন আগে ছিল ১৪ ফেব্রুয়ারি। ’৮৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি এরশাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সেনা পাঠিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের উপর আক্রমণ চালায়, আমাদের সবাইকে সেদিন গ্রেপ্তার করে। নির্যাতিতদের কয়েকজন এখন এই সংসদেও আছেন। আমাদের তিনজনকে পরদিন নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ডিজিএফআই অফিসে।

প্রধানমন্ত্রীর আগে বিষয়টির অবতারণা করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, আমি আজ একটি আলোচনা অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম। সেখানে বাংলাদেশে গণহত্যার জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি নিয়ে কথা হয়। এই অনুষ্ঠানেই বইটি পাই। মিথ্যা তথ্য দিয়ে বইটিতে মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ ও ৫ লাখ মা-বোনের ইজ্জত হারানো সবকিছ অস্বীকার করা হয়। বইটিতে কিছু ঐতিহাসিক ছবি আছে। একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে- পাকিস্তানি আর্মির সামনে রিক্সাওয়ালার লাশ পড়ে আছে। সেখানে ক্যাপশন দেয়া হয়েছে- মুক্তিবাহিনী তাকে হত্যা করে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করব-তিনি যেন ব্যবস্থা নেন। তোফায়েল বলেন, মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে খালেদা জিয়া যে মন্তব্য করেছিলেন-বইটিতে তার বক্তব্যের হুবহু মিল রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর তোফায়েল আহমেদ বইটি তার কাছে হস্তান্তর করেন। এসময় প্রধানমন্ত্রীকে মনোযোগ দিয়ে বইটির বিভিন্ন পৃষ্ঠা উল্টে দেখতে দেখা যায়। বিশেষ করে বইটিতে ব্যবহূত ছবিগুলো গভীরভাবে দেখছিলেন শেখ হাসিনা।

  ৭ জনকে আর্থিক সহায়তা

 দিলেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি-জামায়াত চক্রের ২০১৪ ও ২০১৫ সালের হরতাল ও অবরোধের সময় তাদের অগ্নিসন্ত্রাস ও বোমা হামলার শিকার ৭ জনকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। এর মধ্যে হামলায় গুরুতর আহত ফেনীর এসএসসি পরীক্ষার্থী মিনহাজুল ইসলাম অনিক ও শাহরিয়ার হূদয় রয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রী তার কার্যালয়ে অনিকের মা আমেনা আকতার জেসমীন ও হূদয়ের বাবা আবুল খায়েরের হাতে প্রত্যেককে ১০ লাখ করে টাকার চেক তুলে দেন।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম একথা জানান। তিনি বলেন, এছাড়া প্রধানমন্ত্রী ঢাকার তেজগাঁও সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবদুল কাদের মিয়া, গাজীপুরের শেরপুরের গিয়াস উদ্দিন আহমেদ ও ঝিনাইদহের শৈলকুপার মো. লিটন মিয়া প্রত্যেককে ১০ লাখ করে টাকা এবং ঢাকার মিরপুরের মধ্য পাইকপাড়ার সৈয়দ মো. আবদুল মতিন ও ঢাকার বংশালের মো. সেলিম হোসেন সেলিম প্রত্যেককে ৫ লাখ করে টাকার চেক প্রদান করেন।

রাজশাহীতে নির্মিতব্য বঙ্গবন্ধু নভো থিয়েটারের

নকশা অনুমোদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহীতে নির্মিতব্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভো থিয়েটারের স্থাপত্য নকশা ও মডেলের অনুমোদন দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানান, গতকাল সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই অনুমোদন দেয়া হয়। রাজশাহীতে এই নভো থিয়েটার নির্মাণের অনুমোদন দেয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর নকশার বিষয়ে কিছু পরামর্শ দেন।