লেখক বলেছেন: একটা উদাহরণ এখানে দিচ্ছি, তাহলে অন্ত্যমিলের বৈচিত্র্য বুঝবেন সহজেই। মাইকেল মধুসূদন দত্তের 'কপোতাক্ষ নদ' দেখুন :
সতত, হে নদ তুমি পড় মোর মনে-----ক
সতত তোমার কথা ভাবি এ বিরলে।---খ
সতত যেমনি লোক নিশার স্বপনে-----ক
শোনে মায়া যন্ত্র ধ্বনি তব কলকলে----খ
জুড়াই এ কান আমি ভ্রান্তির ছলনে।----ক
বহু দেশ দেখিয়াছি বহু নদ দলে--------খ
কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মেটে কার জলে---খ
দুগ্ধস্রোতরূপি তুমি মাতৃভূমি স্তনে।-----ক
আর কি হে হবে দেখা যত দিন যাবে----গ
প্রজারূপে রাজরূপ সাগরেরে দিতে------ঘ
বারি রূপ কর তুমি এ মিনতি গাবে------গ
বঙ্গজ জনের কানে সখে-সখারিতে।-----ঘ
নাম তার এ প্রবাসে মজি প্রেমভাবে-----গ
লইছে যে নাম তব বঙ্গের সঙ্গীতে। -----ঘ
প্রথম পঙ্ক্তির শেষ শব্দ 'মনে'র সাথে ৩য় পঙ্ক্তির শেষ শব্দ 'স্বপনে'র মিল রয়েছে, তাই না? আবার ২য় পঙ্ক্তির শেষ শব্দ 'বিরলে'র সাথে ৪র্থ পঙ্ক্তির শেষ শব্দ 'কলকলে'র মিল রয়েছে। এভাবে বাকিগুলো পরীক্ষা করে দেখুন।
সোনাবিজ অথবা ধুলোবালিছাই/সামহোয়্যারইনব্লগ
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন