সোমবার, ৩০ জুলাই, ২০১৮

মুজিবনগর সরকার ও বঙ্গবন্ধু সরকারের সাফল্য

বাংলােদের প্রথম সরকার- মুজিবনগর সরকার

১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করে পাক-হানাদার বাহিনীর মোকাবিলায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে জনগণকে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করার নির্দেশ দেন।

তারই পরিপ্রেক্ষিতে ১০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সরকার গঠিত হয়।

বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে তাকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা করে উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি নিযুক্ত হন। প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন তাজউদ্দিন আহমদ।

মন্ত্রিসভায় আরও ছিলেন ক্যাপ্টেন (অব.) মনসুর আলী, এএইচএম কামারুজ্জামান ও খন্দকার মোশতাক আহমেদ। সরকার শপথ গ্রহণ করেন ১৭ এপ্রিল।

আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য (এমএনএ) কর্নেল (পরে জেনারেল) এমএজি ওসমানীকে মুক্তিবাহিনীর প্রধান নিযুক্ত করা হয়।

প্রবাসী সরকার লক্ষাধিক মুক্তিযোদ্ধার সামরিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে। ১১টি রণাঙ্গনে ভাগ করে সাফল্যের সাথে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে। সেই সাথে দলীয় সংসদ সদস্যদের মাধ্যমে যুবকদের সংগঠিত করে ও জনগণের মনোবল অক্ষুণ্ণ রাখার ব্যাপারে সহায়তা করে। মুক্ত অঞ্চলে বেসামরিক প্রশাসন পরিচালনাও ছিল মুজিবনগর সরকারের অন্যতম কৃতিত্ব।

মুজিবনগর আওয়ামী লীগ সরকার বেসামরিক সচিবালয় স্থাপন করে। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র স্থাপন করে দেশের ভেতরে ও বাইরে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে লাগাতার প্রচার চালিয়ে যায়। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জনমত গঠনের জন্য বহির্বিশ্বে ব্যাপক প্রচারণারও সফল আয়োজন করা হয়।

চলচ্চিত্র নির্মাণ, পুস্তিকা প্রকাশ এবং পোস্টার ও হ্যান্ডবিল-লিফলেট বিলি, সংবাদপত্র প্রকাশ ইত্যাদি কর্মকা- জোরেশোরে পরিচালিত হয়। জাতিসংঘে ও পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রতিনিধি প্রেরিত হয়। যেসব কূটনীতিক বাংলাদেশের প্রতি আনুগত্য ও আস্থা প্রকাশ করেন তাদেরও কর্মপরিধি পরিচালিত হয় মুজিবনগর সরকারের নির্দেশে। শরণার্থীদের ত্রাণ তৎপরতায়ও মুজিবনগর সরকার অত্যন্ত তৎপরতার পরিচয় দেয়।

       বঙ্গবন্ধু সরকারের সাফল্য

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন সরকার তাদের অর্থনৈতিক কর্মকা- পরিচালিত করেছিলেন, দুটি ভাগেÑ প্রথমত; পুনর্বাসন ও পুনর্গঠন এবং দ্বিতীয়ত; উন্নয়ন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বপ্ন দেখতেন সুখী, সমৃদ্ধ, বৈষম্যহীন বাংলাদেশের। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্য ও বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে। দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয়-অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু শুরু করেন দ্বিতীয় বিপ্লব ‘অর্থনৈতিক মুক্তি’র সংগ্রাম।

৩ কোটি ছিন্নমূল মানুষ, দেড় কোটি অগ্নিদগ্ধ ঘরবাড়ি, ১ কোটি শরণার্থীর প্রত্যাবর্তন ও পুনর্বাসন সমস্যা, শূন্য খাদ্য গুদাম, অনাবাদি জমি, অচল বন্দর, ডুবন্ত নৌযান, যোগাযোগ পরিবহন এবং অভ্যন্তরীণ নৌ ও সমুদ্র বন্দরের অচলাবস্থা, ধ্বংসপ্রাপ্ত অবকাঠামো, মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধজনিত কারণে তেলের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধি, স্বাধীনতা-বিরোধীদের অন্তর্ঘাত ও নাশকতামূলক তৎপরতায় বিপর্যস্ত জনজীবন এমন চরম বিরূপ ও সংকটাকুল পরিস্থিতি মোকাবিলা এবং সকল প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে জাতিসংঘের স্বীকৃতি অর্জনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন সরকার যে সফলতা দেখিয়েছে বিশ্বের ইতিহাসে তা বিরাল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

তখন বিভিন্ন দেশ ও সাহায্য সংস্থা যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশের বাস্তব অবস্থা জরিপ করে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল যে, যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে খাদ্যাভাবে ২ কোটি লোক মৃত্যুবরণ করবে। বঙ্গবন্ধুর সরকার দেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে ৪ কোটি ৭৫ লাখ মণ খাদ্যসামগ্রী বিনামূল্যে ও স্বল্পমূল্যে বিতরণ করে অবশ্যম্ভাবী মৃত্যু ঠেকাতে সমর্থ হয়েছিলেন; বঙ্গবন্ধুর সময়োচিত পদক্ষেপে এই ভয়াবহ সংকট মোকাবিলা বিশ্ববাসীকে অভিভূত করেছিল।

বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও ভৈরব সেতুসহ ৫৬৭টি সেতু নির্মাণ ও মেরামত, ৭টি নতুন ফেরি, ১ হাজার ৮৫১টি রেলওয়ে ওয়াগন ও যাত্রীবাহী বগী, ৪৬টি বাস, ৬০৫টি নৌযান ও ৩টি পুরাতন বিমান চালু করে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং মাইন উদ্ধার করে অচল বন্দরসমূহ সচল করা হয়।

সম্পূর্ণরূপে দেউলিয়া ও প্রায় ধ্বংসপ্রাপ্ত পাকিস্তানিদের পরিত্যক্ত ব্যাংক, বীমা ও ৫৮০টি শিল্প ইউনিট জাতীয়করণ ও উৎপাদনক্ষম করে লক্ষ লক্ষ শ্রমিক-কর্মচারীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা এবং ঘোড়াশাল সার কারখানা, আশুগঞ্জ কমপ্লেক্সের প্রাথমিক কাজ ও অন্যান্য নতুন নতুন শিল্প কল-কারখানা গড়ে তোলার ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

‘জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস’ ঘোষণা করে মাত্র ৯ মাসের মধ্যে একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়ন করা হয়। বিশ্বের ইতিহাসে যা একটি বিরল দৃষ্টান্ত।

তিন মাসের মধ্যে ভারতীয় সৈন্যদের ফেরত পাঠানো, পাকিস্তানে আটক প্রায় ৪ লাখ বাঙালিকে দেশে ফিরিয়ে এনে পুনর্বাসিত করা, ৭ লাখ পাকিস্তানিকে ফেরত পাঠানো, মুক্তিযোদ্ধাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ফিরিয়ে নেওয়া, মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদ পরিবারকে আর্থিক সাহায্য ও ২ লাখ নির্যাতিত মা-বোনের দায়িত্ব গ্রহণ, চিকিৎসার জন্য পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধাদের বিদেশ প্রেরণ, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট ও নারী পুনর্বাসন বোর্ড গঠন, প্রতি থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় ও হাসপাতাল নির্মাণ, ১১ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন, ৫৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগসহ স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা নির্মাণ, সেনা, বিমান ও নৌবাহিনীসহ প্রতিরক্ষা বাহিনীকে জাতীয় মর্যাদায় পুনর্গঠন, সামরিক একাডেমি স্থাপন, পুলিশ, বিডিআর, আনসার ও বেসামরিক প্রশাসনের অবকাঠামো গড়ে তোলা, প্রতিবেশী দেশের সাথে সীমান্ত ও ফারাক্কার পানি চুক্তি, জাতিসংঘের সদস্যপদ লাভ ও ১৪০টি দেশের স্বীকৃতি লাভের ন্যায় কারিসম্যাটিক সফলতা অর্জন, সবকিছু বাংলার জনগণের প্রতি বঙ্গবন্ধুর অকৃত্রিম ভালোবাসা ও অপরিসীম ত্যাগের মানসিকতার ফলে সম্ভব হয়েছিল।

মাত্র সাড়ে তিন বছরে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন সরকার রক্তাক্ত ধ্বংসস্তূপের মধ্যে শূন্য হাতে একটি সদ্য স্বাধীনতাপ্রাপ্ত দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে যে সফলতা অর্জন করেছিল তা ছিল বিস্ময়কর ব্যাপার।

বিশ্বব্যাংকের হিসাব মতে, ১৯৭২-৭৫ সালে বাংলাদেশের জাতীয় আয় বৃদ্ধির বার্ষিক হার ছিল গড়ে ৫ শতাংশ। বাংলাদেশ সরকারের পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে এ সময়ে আয় বৃদ্ধির বার্ষিক হার ছিল ৭ শতাংশ।

মদ, জুয়া, হাউজি, ঘোড়দৌড়সহ সব ইসলামবিরোধী কর্মকা- কার্যকরভাবে নিষিদ্ধকরণ, ইসলামী ফাউন্ডেশন গঠন ও মাদ্রাসা বোর্ড প্রতিষ্ঠা, পবিত্র হজব্রত পালনে সরকারি অনুদান প্রদান, ইসলামি সম্মেলন সংস্থার সদস্যপদ লাভ ইত্যাদি ছিল উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ।

শান্তির স্বপক্ষে বলিষ্ঠ ও দৃঢ় পদক্ষেপ কার্যকর করার অভিযাত্রায় বিশ্ব শান্তি পরিষদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সর্বোচ্চ খেতাব ‘জুলিও কুরি’ পদকে ভূষিত করে সারাদেশবাসীকে মহিমান্বিত করেছিল।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে স্বাধীনতা-প্রগতি-মানবতাবিরোধী ও প্রতিক্রিয়াশীল ঘাতকচক্র রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করে এবং মার্শাল ল’ জারি করে।।
।।__ উত্তরণ।।

মিথ্যাচারে দেশপ্রেম ও উন্নয়ন চেপে রাখা সম্ভব নয়

দেশ ভারতের কাছে বিক্রি করে দিবে আওয়ামী লীগ' এই মিথ্যে প্রোপাগান্ডা এখন আর বিশ্বাস করেনা বাংলার জনগণ। এখন আর বোকা ভাববেন না বাংলার মানুষকে। মিথ্যাচার আর প্রোপাগান্ডায় বাংলাদেশের উন্নয়ন চেপে রাখতে পারবেননা। আপনি স্বীকার না করলেও জনগণের চোখে দৃশ্যত আওয়ামী লীগ সরকারের দেশপ্রেম ও উন্নয়ন।

শুনেছি সত্তরের নির্বাচনে নির্বাচনের আগে মসজিদের ইমাম'রা নৌনায় করে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বঙ্গবন্ধুকে হিন্দু, ভারতের দালাল, পূর্ব বাংলাকে ভারতের অঙ্গরাজ্য বানানোর ষড়যন্ত্র করছে বলে অপপ্রচার চালানো হয়েছে। সেদিনও ঠেকাতে পারেননি আওয়ামী লীগের বিশাল বিজয়।

স্বাধীনতার পর থেকেও মানুষকে বিএনপি জামায়াত কর্তৃক বুঝানো হচ্ছে 'আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে ভারতের কাছে বিক্রি করে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে'!
অথচ বাংলাদেশ এখনও বাংলাদেশই আছে। তিল পরিমাণ জায়গা ছাড়েননি, বরঞ্চ বাংলাদেশের মানচিত্রে আয়তন (নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক সালিসি আদালতের (পিসিএ) রায়ে বিরোধপূর্ণ সমুদ্র সীমানার ১৯ হাজার ৪৬৭ বর্গকিলোমিটারের অধিকার পেয়েছে বাংলাদেশ। আর, ছিটমহলের ১৭ হাজার ১৬০ দশমিক ৬৩ একর ভূখণ্ড বাংলাদেশের মালিকানাভুক্ত হয়।) বাড়িয়েছে আওয়ামী লীগ'ই।

আওয়ামী লীগ ভারতের কাছে বাংলাদেশ বেচেনি, বরঞ্চ অধিকার আদায় করতে সফল হয়েছে, যা বিগত কোন সরকার করতে পারেনি, এই সরকার তা সুন্দর সসুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করেছেন, যাতে কোনপ্রকার দুর্নীতির অভিযোগ উঠেনি, আওয়ামী লীগের এই সফলতা কোনপ্রকার সমালোচনা ছাড়াই।

ভারতের কাছ থেকে বাংলাদেশের প্রাপ্য আদায় যতটুকু তার সবটুকুই আওয়ামী লীগের অবদান। বাংলার মানুষ বুঝে গেছে কে গোলামী করেছিল ভারতের।

কথায় কথায় বাংলাদেশে উন্নয়ন নিয়ে ঠাট্টাতামাসা করেন, স্বীকার করতে কষ্ট লাগে বা আপনাদের স্বভাবদোষ আওয়ামী লীগের উন্নয়ন ঢেকে রাখার ব্যর্থ চেষ্টা করা। তবে আকাশের সূর্যকে মেঘ সাময়িক আড়াল করতে পারলেও সূর্যের আলো ঢেকে রাখতে পারেনা। তেমনি যতই ঠাট্টাতামাসা করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের দেশপ্রেম দেশের উন্নয়নেই প্রকাশ পেয়ে চলছে, পাবেই। আসেন এক নজরে দেখে নেই আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক বাংলাদেশ ও জনগণের প্রাপ্ত উন্নয়নমূলক কিছু......

বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, প্রসবকালীন মৃত্যু হ্রাস, গড় আয়ু বৃদ্ধি, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, বৈশাখী ভাতা, ফেয়ার প্রাইজ কার্ড, ডিজিটাল করণ, ফাইবার অপটিকে বাংলাদেশকে যুক্তকরণ, পদ্মা সেতু, ফ্লাইওভার নির্মান, মেট্রোরেলের কাজ শুরু, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মান, বিনামূল্যে বই বিতরন, উপ বৃত্তি প্রদান, স্কুল-কলেজ ও মসজিদ মাদ্রাসা নির্মাণ, গ্রামীন রাস্তাঘাট উন্নয়ন, ইউনিয়ন তথ্য সেবা কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক, বিনোদন কেন্দ্র নির্মান, রাজাকারের বিচার, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমন, মাদক ও  দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ,  জেলেদের খাদ্য সহায়তা, রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, মোবাইলের গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি, ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি, স্বাক্ষরতার হার বৃদ্ধি, দারিদ্র্যতার হার নিম্ন পর্যায়, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, মাতৃত্বকালীন ছুটি বৃদ্ধি, জনশক্তি রপ্তানি বৃদ্ধি, শিশু মৃত্যু হার রোধ, পোষাক রপ্তানিতে বিশ্বে ২য় স্থান দখল, সমুদ্র সীমা জয়, শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি, বৈদেশিক মুদ্রার রির্জাভ বৃদ্ধি, খাদ্য উদ্বৃত, রাজস্ব বৃদ্ধি, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, খেলাধুলায় উন্নতি, নারীর ক্ষমতায়ন ও মর্যাদা বৃদ্ধি,   ভারতের সাথে  দীর্ঘ দিনের অমিমাংসিত  ছিটমহল সমস্যার সমাধান, পার্বত্য শান্তি চুক্তির বাস্তবায়ন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দান,  ২১ শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া, ৭ই মার্চের ভাষণ ওয়াল্ড হেরিটেজ ডকুমেন্ট রেজিস্ট্রারে স্হান পাওয়া, মহাকাশে  বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট প্রেরন, দেশকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত করা,  ইত্যাদি ইত্যাদি।

এগুলো যদি আপনার কাছে দেশ জনগণের প্রাপ্য না মনে হয় তাহলে আপনি কতটুকু পুরু টিনের চশমা পড়ে আছেন তা আপনিই জানেন।

আপনাদের ভাষ্যমতে বিএনপি তো ভারতের গোলামী করেনি, তবুও ভারতের কাছে বিএনপিই বাংলাদেশের স্বার্থ ছেড়েছে বহুবার, তার মধ্যে একটা বলি, জাপানি গাড়ি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ছিল কেবল মাত্র ভারতের সুজুকি মারুতি নামের সস্তা মানের গাড়ির এদেশে এক চেটিয়া মার্কেট পাইয়ে দেয়ার জন্যই, আর ফাইবার অপটিক সংযুক্তির অফার ফেরত দিয়ে ভারতকে পাইয়ে দেয়ার কথা তো আপনার জানার বাহিরে থাকার কথা নয়। এছাড়াও টাটা কোম্পানির জন্য ১০% রাষ্ট্রীয় শেয়ার নিজের বন্ধুর কোম্পানির নামে দাবী করার কথাও এখন জনগণ জেনে গেছে। গ্যাস দেয়ার চুক্তি করে ক্ষমতা বহাল রাখার কথাও চাপা নেই ভাইজান।
'হাওয়া ভবন' নামে দ্বিতীয় '১০% সংসদ'-এর কথা চেপে রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন, জনগণ সব জেনে গেছে।

বলবেন তিস্তা পানি চুক্তির বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ? এই ব্যর্থতা কিন্তু বিএনপি জাতীয় পার্টিরও। এটা ভারতের একান্তই নিজস্বতা, তাদের স্বার্থ তারা ছাড়বে কেন? তবুও জননেত্রী শেখ হাসিনা অনেক চেষ্টা করেছেন/ করছেন, এটাতেও সফল হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।

এই তিস্তাচুক্তি করতে ভারত সফরে গিয়ে দেশে ফিরে বলেছেন, 'ও হ! মনেই ছিল না তিস্তা পানি চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করার'!! হা হা হা আমাদের দুর্ভাগ্য এমন একজন নেত্রী এদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

সবশেষে, হিংসা প্রতিহিংসা ছেড়ে, দেশের জন্য রাজনীতি করেন, দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য কাজ করেন, জনগণ ঠিকই খুঁজে নিবে আপনাদের। মিথ্যা আর ভুল প্রচার করে বর্তমান জনগণকে আর বোকা বানাতে পারবেননা ভাই, বর্তমান জনগণ ঠিকই বুঝে কাদের মাধ্যমে দেশ জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন সম্ভব। আপনি স্বীকার না করলেও বিশ্ববাসী ঠিকই দেখছেন, বুঝছেন।

আসুন, দলমত নির্বিশেষ আমরা দেশকে ভালোবাসী, দেশের জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের চিন্তা করি, গড়ে তুলি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।

আমি গর্বিত আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সমর্থক

আমি গর্বিত আমি মুসলমান, আমি গর্বিত আমি বাঙালি, আমি গর্ববোধ করি আমি বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী ছিলাম।

আমার হৃদয়ের বিনম্র শ্রদ্ধা-ভক্তি দিয়ে স্বরণ করি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান'কে, যিনি আমাকে মুক্ত স্বাধীনভাবে চলার যোগ্যতা অর্জন করে দিয়ে গেছেন, যার জন্ম হয়েছিল বলেই বাঙালি জাতি পেয়েছিল শোষনের হাত থেকে মুক্তি, যিনি উপহার দিয়ে গেছেন মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশ। ইতিহাসের মহানায়ক, মুক্তি স্বাধীনতা যুদ্ধের অবিসংবাদিত নেতা মহান শেখ মুজিবুর রহমান, এই অভিনব ইস্পাত সমান দৃঢ চিত্তের মানুষটি আমাকে সদাই ভাবিয়েছে- তার আদর্শ আমাকে শিখিয়েছে দেশ প্রেম, নেতৃত্ব ও বাঙ্গালীর চেতনা। তাকে তো মৃত্যুর আগ পর্যন্ত রেখে যাবো আমার হৃদয়ের জায়নামাজে।

১৭৫৭ সালের ২৩ জুন বাংলার আকাশ থেকে স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়েছিল। সেই সূর্য উদিত করতে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়মী লীগের জন্ম। স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসের সাথে আওয়ামী লীগ ও শেখ মুজিবের ইতিহাস ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আওয়ামী লীগ বাঙালি জাতির ও দেশের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে বলিষ্ঠতার সহিত নেতৃত্ব দিয়ে এসেছে।

'৪৯ সালে জন্মের পর আওয়ামী লীগের শত শত নেতাকর্মীরা কারনে-অকারনে কারাবরণ করেছে, অত্যাচার নির্যাতনে অনেকে পরপারের বাসিন্দা হয়েছেন। ধর্ম-বর্ণ-নির্বিশেষে সকল মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনায় জাতি গঠনে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কাজ করে আসছেন। বঙ্গবন্ধু তথা আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন-সার্বোভৌমত্বের দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।

৫২ এর ভাষা আন্দোলন, '৫৪ তে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, '৬৬-এর ছয় দফাসহ প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে আওয়ামী লীগ অগ্রনী ভূমিকা পালন করেছে। আওয়ামী লীগের ইতিহাস বাঙালি জাতির অর্জনের ইতিহাস, ত্যাগ-তিতিক্ষার ইতিহাস।

যে মহান নেতার জন্য আমরা বাঙালি জাতি এত কিছু পেয়েছি, যেই মানুষটি দেশের মানুষকে ভালবেসে সারাটি জীবন সবকিছু বিসর্জন দিলেন তাকে আমরা বাঙালি জাতি হিসেবে, বাংলাদেশি হিসেবে কি দিতে পেরেছি? শুধুই লাঞ্ছনা। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে শেখ মুজিব হয়ে যায় রাজাকার আর বাঙালি জাতির কলঙ্ক বাংলাদেশের জাতীয় বেঈমান জিয়াউর রহমান হয়ে যায় স্বাধীনতার ঘোষক, শেখ মুজিবের ছবির জায়গাতে উঠে আসে জিয়ার ছবি। এই কি তাহলে আমাদের প্রতিদান?

আওয়ামী লীগ উপমহাদেশের প্রাচীনতম দল গুলোর মধ্যে একটি। জাতির পিতাকে হত্যার পর ইয়াহিয়া ইস্টাইলে আওয়ামী লীগ নিধন শুরু করেছিল মেজর জিয়া! শত প্রতিকূলতার মাঝেও আওয়ামী লীগ টিকে আছে, থাকবে। কোন জঙ্গি নেত্রীর জঙ্গিবাদকে আওয়ামী লীগ ভয় করে না। বঙ্গবন্ধুর মত মহান ব্যক্তিত্বের আদর্শের উপর ভিত্তি করে যে দল প্রতিষ্ঠিত সে দলকে কেউ ধ্বংস করতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।

শত প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাছ্ছেন গণতন্ত্রের মানসকন্যা দেশপ্রেমী নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা গ্রহনের পর থেকে দেশের উন্নয়নে আদর্শ, নীতি, অসাম্প্রদায়িকতা, ভবিষ্যৎ দৃষ্টি, দেশ ও জনগণের প্রতি মমত্ববোধ, গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতি অঙ্গীকার, সার্বোভৌমত্বের প্রশ্নে অটল অবস্থান এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া ও নিম্নআয়ের বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নিত করার জন্য নিরন্তর কাজ করে যাছ্ছেন। আজ বাংলাদেশ সর্বক্ষেত্রে সয়ংসম্পন্ন, বিশ্বের দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল। জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ও তার আইটি উপদেষ্টা সুপুত্র দেশের ভবিষ্যৎ সুযোগ্য রাষ্ট্রনায়ক সজীব ওয়াজেদ জয়'এর হাত ধরে বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে মাথা উচু করে দাড়াতে সক্ষম হয়েছে।

তাই উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে, জননেত্রী শেখ হাসিনা'র হাতকে আরও শক্তিশালী করতে 'বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ'-এর সাথেই থাকুন।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। জয় হোক এদেশের গরীব-দুঃখী মেহনতি মানুষের। পরিবর্তনের অগ্রদূত ডিজিটাল ও স্বাবলম্বী বাংলাদেশের রূপকার দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা'র হাত ধরেই বিশ্ব-দরবারে বাঙালি মাথা উঁচু করে দাঁড়াক।

বিএনপি-জামায়াতের মিথ্যাচার ও প্রোপাগান্ডায় আওয়ামী লীগের দেশপ্রেম উজ্জল নক্ষত্র

দেশ ভারতের কাছে বিক্রি করে দিবে আওয়ামী লীগ' এই মিথ্যে প্রোপাগান্ডা এখন আর বিশ্বাস করেনা বাংলার জনগণ। এখন আর বোকা ভাববেন না বাংলার মানুষকে। মিথ্যাচার আর প্রোপাগান্ডায় বাংলাদেশের উন্নয়ন চেপে রাখতে পারবেননা। আপনি স্বীকার না করলেও জনগণের চোখে দৃশ্যত আওয়ামী লীগ সরকারের দেশপ্রেম ও উন্নয়ন।

আওয়ামী লীগ'কে ভারতের গোলাম ভাবার আগে নিজের বিবেককে প্রশ্ন করুন, কে ভারতের গোলাম, বিএনপি নাকি আওয়ামী লীগ?

ভারতের কাছ থেকে বাংলাদেশের প্রাপ্য আদায় যতটুকু তার সবটুকুই আওয়ামী লীগের অবদান। বাংলার মানুষ বুঝে গেছে কে গোলামী করেছিল ভারতের।

নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক সালিসি আদালতের (পিসিএ) রায়ে বিরোধপূর্ণ সমুদ্র সীমানার ১৯ হাজার ৪৬৭ বর্গকিলোমিটারের অধিকার পেয়েছে বাংলাদেশ।

আর, ছিটমহলের ১৭ হাজার ১৬০ দশমিক ৬৩ একর ভূখণ্ড বাংলাদেশের মালিকানাভুক্ত হয়। এগুলো যদি আপনার কাছে প্রাপ্য না মনে হয় তাহলে আপনি কতটুকু পুরু টিনের চশমা পড়ে আছেন তা আপনিই জানেন।

আপনাদের ভাষ্যমতে বিএনপি তো ভারতের গোলামী করেনি, তবুও ভারতের কাছে বিএনপিই বাংলাদেশের স্বার্থ ছেড়েছে বহুবার, তার মধ্যে একটা বলি, জাপানি গাড়ি বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ছিল কেবল মাত্র ভারতের সুজুকি মারুতি নামের সস্তা মানের গাড়ির এদেশে এক চেটিয়া মার্কেট পাইয়ে দেয়ার জন্যই, আর ফাইবার অপটিক সংযুক্তির অফার ফেরত দিয়ে ভারতকে পাইয়ে দেয়ার কথা তো আপনার জানার বাহিরে থাকার কথা নয়। এছাড়াও টাটা কোম্পানির জন্য ১০% রাষ্ট্রীয় শেয়ার নিজের বন্ধুর কোম্পানির নামে দাবী করার কথাও এখন জনগণ জেনে গেছে। গ্যাস দেয়ার চুক্তি করে ক্ষমতা বহাল রাখার কথাও চাপা নেই ভাইজান।

স্বাধীনতার আগে থেকে মানুষকে বিএনপি জামায়াত কর্তৃক বুঝানো হচ্ছে 'আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে ভারতের কাছে বিক্রি করে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে', অথচ বাংলাদেশ এখনও বাংলাদেশই আছে।

আওয়ামী লীগ বাংলাদেশ বেচেনি, বরঞ্চ অধিকার আদায় করতে সফল হয়েছে, যা বিগত কোন সরকার করতে পারেনি, এই সরকার তা সুন্দর সসুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করেছেন, যাতে কোন দুর্নীতির কথা উঠেনি, আওয়ামী লীগের এই সফলতা কোনপ্রকার সমালোচনা ছাড়াই।

বলবেন তিস্তা পানি চুক্তির বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ? এই ব্যর্থতা কিন্তু বিএনপি জাতীয় পার্টিরও। এটা ভারতের একান্তই নিজস্বতা, তাদের স্বার্থ তারা ছাড়বে কেন? তবুও জননেত্রী শেখ হাসিনা অনেক চেষ্টা করেছেন/ করছেন, এটাতেও সফল হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।

এই তিস্তাচুক্তি করতে ভারত সফরে গিয়ে দেশে ফিরে বলেছেন, 'ও হ! মনেই ছিল না তিস্তা পানি চুক্তির বিষয়ে আলোচনা করার'!! হা হা হা আমাদের দুর্ভাগ্য এমন একজন নেত্রী এদেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

সবশেষে, হিংসা প্রতিহিংসা ছেড়ে, দেশের জন্য রাজনীতি করেন, দেশকে এগিয়ে নেয়ার জন্য কাজ করেন, জনগণ ঠিকই খুঁজে নিবে আপনাদের। মিথ্যা আর ভুল প্রচার করে বর্তমান জনগণকে আর বোকা বানাতে পারবেননা ভাই, বর্তমান জনগণ ঠিকই বুঝে কাদের মাধ্যমে দেশ জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তন সম্ভব। আপনি স্বীকার না করলেও বিশ্ববাসী ঠিকই দেখছেন, বুঝছেন।

আসুন, দলমত নির্বিশেষ আমরা দেশকে ভালোবাসী, দেশের জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের চিন্তা করি, গড়ে তুলি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
জয় হোক দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা'র, জয় হোক বাংলার মেহনতি মানুষের।