সোমবার, ১৮ মে, ২০১৫

মধুর রহস্যময় সৌন্দর্য তোমার

যেদিন সে প্রথম দেখিনু-
      সে তখন প্রথম যৌবন।
প্রথম জীবনপথে বাহিরিয়া এ জগতে
     কেমনে বাঁধিয়া পেল নয়নে নয়ন।।

তখন উষার আধো আলো
     পড়েছিল মুখে দু-জনার।
তখন কে জানে কারে,কে জানিত আপনারে।
     কে জানিত সংসারেরর বিচিত্র ব্যাপার।

কে জানিত শ্রান্তি তৃপ্তি ভয়
      কে জানিত নৈরাশ্য যাতন!
কে জানিত শুধু ছায়া যৌবনের মোহমায়া,
       আপনার হৃদয়ের সহস্র ছলনা।

আঁখি মেলি যারে ভালো লাগে,
       তাহারেই ভালো বলে জানি।
সব প্রেম,প্রেম নয়,  ছিল- না তো সে সংশয়,
    যে আমারে কাছে টানে তারে কাছে টানি।

অনন্ত বাসরসুখ যেন
        নিত্যহাসি প্রকৃতি বধূর-
পুষ্প যেন চিরপ্রান, পাখির অশ্রান্ত গান,
বিশ্ব করেছিল ভান অনন্ত মধুর!

তাই সেই আশার উল্লাসে
  মুখ তুলে চেয়েছিনু মুখে।
সুধাপাত্র লয়ে হাতে কিরণকিরীট মাথে,
তরুন দেবতাসম দাঁড়ানো সম্মুখে।

পরিপূর্ণ পূর্ণিমারাত মাঝে
  উর্ধ্বমুখে চকোর যেমন
আকাশের ধারে যায়,ছিড়িয়া দেখিতে চায়
অপাধ-স্বপন ছাওয়া জ্যোৎস্না-আবরণ-

তেমনি সভয়ে প্রান মোর
     তুলিতে যাইত কত বার
একান্ত নিকটে গিয়ে সমস্ত হৃদয় দিয়ে
    মধুর রহস্যময় সৌন্দর্য তোমার।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন