মঙ্গলবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১৮

ভাবিনি ইংরেজি ভার্সন

I lost you
Not a failure ...!
Still seeing the moon in the sky-
Why do you cry?
To say that-
If you're next to ...!
How fun it was
Nightlife is cut in both sides.

Because of you lost, but-
I tear
My alone prawn-
Increases the pain,
Sesame sesame made me-
What is the trouble of-
Breaking the dream kingdom!
Only I know it-
You never understand.

Because you are not tied with the house-
I did not break!
Rather, make me happy
Your happy face ...!
I was ineligible.
You have a great deal ...!
Only love with someone-
Do not be happy, do not think !!

Did not think

ভাবিনি

আমি তো তোমাকে হারিয়ে-
ব্যর্থ হইনি...!
তবুও আকাশের চাঁদটাকে দেখে-
কেন যেন মনটা কেঁদে ওঠে,
বলতে থাকে-
যদি পাশে থাকতে তুমি...!
কতই না মজা হতো....
দু'জনের একসাতে কাটতো নিশি।

তোমাকে হারিয়েছি বলেই কিন্তু-
আমি কাঁদিনি!
আমার একাকী প্রহর গুলোই-
বাড়িয়ে তুলে যন্ত্রণা,
তিল তিল করে গড়া আমার-
স্বপ্নরাজ্য ভাঙার কষ্ট কি!
তা কেবল আমিই জানি
তুমি তো কখনওই বুঝনি...।

তোমার সাথে ঘর বাঁধা হয়নি বলেই-
ভেঙে পড়িনি...!
বরঞ্চ, আমাকে সুখী করে তুলে
তোমার সুখী মুখটা...!
আমি তো অযোগ্য ছিলাম-
তোমার জন্য বড্ড অশনি...!
শুধু ভালোবাসা দিয়েই কাউকে-
সুখে রাখ যায় না, ভাবিনি!!

৩০ অক্টোবর ২০১৬ইং

বৃহস্পতিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১৮

শুভ সকাল Good Morning

শীতল হাওয়ার স্রোতোবহা আজ প্রভাতের-গায়ে।
আহ! কি মিষ্টি পরশে বারবার নেচে উঠছে হিয়া! 
সারারাত সুখনিদ্রা শেষে শিহরণ জাগানিয়া ভোর,
তোমারই জন্য অপেক্ষমাণ স্নিগ্ধ বাতাসের স্পর্শ।

বেরিয়ে এসো ওই ঘর থেকে- দেখো মুক্ত আকাশ, 
কতই'না সুমিষ্ট কণ্ঠে গেয়ে যাওয়া পাখিদের গান;
পাশের বাগানে জেগে উঠা জুঁই আর বকুলের গন্ধে
মাতাল হবেই আজ মুগ্ধতায়-উষ্ণ চঞ্চল বেসামাল।

কেমন আছো বন্ধু...? 
মুছে ফেল ঘুম ও'চোখ থেকে, 
চেয়ে দেখো- কতনা উচ্ছ্বল-চঞ্চলা মধুকুঞ্জ,
পাঠিয়েছি স্বর্ণাভ-ভালোবাসা ভরে রক্তমাখা সূর্য।

প্রভাতের মত রঙিন আর ভোরের বাতাসের মতই
বিশুদ্ধ-কোমলতায় ভরে উঠুক ওই হৃদয় তোমার, 
প্রেমানন্দে ভরুক পৃথিবী-জয় হোক ভালোবাসার; 
শুভকামনায় নিরন্তর-তোমা-তরে এই শুভ সকাল।

Cold air flow today morning-on-the-wall,
Ah! What is going on dancing in the sweet!
At dawn awakening at the end of the night,
The touch of the warm air waiting for you.

Come out from that house - see the sky,
How many songs are sung in a happy voice;
Jasmine and bacul's smell awakened in the nearby garden
Today will be drunk-in the heart of the fierce frenzy.

How are you friends ...?
Wipe out of the eyes,
Look at how much lavish-sprayed honey-place
Sent the gold-filled love blood filled with sun.

Colorful like morning,
And pure-softness as the morning wind-
The heart is filled with pureness,
The world overflows with love- win love;
Best wishing continues- this good morning on your side.

কেউ বোঝেনি

When the silent, the nights in the night
Depth gradually increases,
Cover with a blank shadow around me;
The dark tops
One of the two stars in the sky,
Dazzled with the smell of heart
Short walking direction
Rudder on the ground,
Dahooqi's shouted shout,
Interrupted stone hearts
Feeling like the incense smoke;
Turned around the gate at the door
There is no shelter anywhere,
Milan peace,
Standing like a lamppost from couldn't.

Uncomfortable time of uncontrolled heart
Going to die,
Standing on the verge of the monsoon
My whirlwind life long;
Loneliness and loneliness
I'm a comet-star,
The sky is in the night of zero in the sky
Million years silent
How grateful, filled with gratitude
How many thirsty offerings,
Nobody understood, said the traveler
Come to sleep in the dream;
I have been going on the path of the world alone
Nevertheless, the day comes to the night-back,
Slow morning, not surprisingly, it is not surprising
That was before I was.
(Translated by Google)
_______________________________
কেউ বোঝেনি _নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন

যখন নীরব, নিঝুম রাত্রির গভীরতা বাড়ে ধীরেধীরে,
নিকষকালো আঁধারের চাদরে ঢাকা আমার চারিদিক;
অন্ধকার ছাপিয়ে একটা দুটি তারা জ্বলে ঐ আকাশে,
ঝলসান হৃদয়ের গন্ধে মাতাল ছোটে চলি দিক্বিদিক।

মাটির বুকচেরা রোদ্দুর,
ডাহুকীর চিৎকারে কাঁপে বুক,
বিরহতাপে পাথর অন্তর-
ধূপের ধোঁয়ার মত উঁড়ছে মন;
ঘুরেছি দ্বারেদ্বারে সন্ধ্যা সাজে-
কোথাও মিলেনি আশ্রয়, মিলেনি শান্তি,
পারিনি হতে ল্যাম্পপোষ্টের মতো স্থির..!

অশাসনীয় হৃদয়ের অস্বস্তিকর সময়-
যাচ্ছে কেটে দিনযামিনী,
মহাপ্রলয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়ানো-
আমার ভবঘুরে জীবনব্যাপী;
নিঃসঙ্গতা আর একাকীত্বে গড়া-
আমি ধূমকেতু-নক্ষত্রপতি,
জ্বলছি শূন্যময় রাতের আকাশে-
সহস্রাধিক বছর নীরবচারী।
কত আকুতি, মিনতি ভরা নয়নে-
তৃষ্ণার্ত নিবেদন কতজনে,
কেউ বোঝেনি,
বলেনি পথিক- এসো স্বপ্নে মোর ঘুমো-ঘরে;
যুগের পথে চলেছি একাই...
তবুও দিন যায় রাত্রি আসে-ফিরে,
নির্ঘুম সকাল, হইনা অবাক নিজ দেখে
যেমনি ছিলাম আগে।
______

When the silence of the night, the depth of the night increases gradually,
I am surrounded by a dark blue cover;
One of the two stars in the sky,
The scent of the chest of the heart is drunk in the lower direction.

Rudder on the ground,
Dahooqi's shouted shout,
Interruptions
Feeling like the incense smoke;
Turned the door to the door-
There is no shelter, peace, peace,
Standing like a lamppost from couldn't ..!

Uncomfortable time of uncontrolled heart-
Going to die,
Standing on the verge of the monsoon
My whirlwind life long;
Loneliness and loneliness
I'm a comet-star,
Blinking in the night sky -
Million years silent.

How grateful, filled the gratitude
How many thirsty offerings,
Nobody understood, Said the traveler
Come to sleep in the dream;

I've been on the path of the world alone ...
Nevertheless, the day comes to the night-back,
Slow morning, not surprisingly, it is not surprising
That was before I was.

মঙ্গলবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৮

মিনতি

শুধুই তোমার জন্য- লক্ষ কোটি বছর ধরে-
অনন্ত কষ্টের প্রতিযোগিতায় পারি টিকতে।
বিষণ্ণ শূন্যতায় স্তব্ধ, তবুও রক্ত-কণিকা জুড়ে
এক নাম-ভালোবাসা প্রবাহিত, তুমি অস্তিত্বে।

দুনিয়াময় যতো সুন্দর- সুখ তোমাতে'ই ভাবী-
আমার আনন্দ বিশ্বাস মসজিদ মন্দির গির্জা।
চাঁদমুখ আর হাসি জেনো জীবনের চেয়ে দামি,
ভুলে যেতে পারি অনন্ত-দহন পৃথ্বী'র, তুমি ছাড়া।

কতো স্বপ্ন! তিল তিল করে সাজান প্রেম, ঘর
বাঁধিবার অপ্রতিরোধ্য সাধ-বিশ্বাস এ'বুকে ছিল!
আভিজাত্যের অহমিকায় মাড়িবে, করবে পর
ভাবিনি! কি আমার অপরাধ, কতটুকু দোষ বল!

বুকের ভিতর নিত্য জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরির দহন,
কারণ-অকারণে অতৃপ্ত মন-চোখে লাভা নিঃসৃত।
দেখতে পায়'না কেউ-নেই'তো বুঝবে কষ্ট-বেদন,
সেইদিন থেকে নীরব-পুড়ন অনুভূতিহীন-অর্ধমৃত।

কতভাবে কতদিন করেছি ভালোবাসার মিনতি,
বোঝতে চাওনি হৃদয় চিরে বেরিয়ে আসা সেকথা!
বেঁচেই তো আছি! তুমিহীনা মরুময় মনের ভূমি
নয়ন জুড়ে অবাধ্য শ্রাবণ, অনুভবে দুঃসহ যন্ত্রণা।

____

Just for you - for millions of years -
In the competition of eternal suffering, we can survive.
Still stuck in a depressing emptiness, nevertheless, throughout the bloodstream
A name-love flowing, you exist.

The beauty of the world is so beautiful - happiness is yours.
My pleasure is to believe the Mosque Temple Church.
Moon face and smile are worth more than life,
You can forget about eternal burning of the earth, except you.

How many dreams Sesame sesame love love, house
Cordless superfine beliefs were there!
The euphemism of the nobility, will be done after that
Did not think! What is my crime, what a mistake!

Burning of burning volcanic eruptions inside the chest,
The reason is lacrative in the mind of an unconscious mind.
You can see 'no-one', pain and pain,
Since that day, silence burns unheard-free.

How long have I prayed for love,
I did not want to understand the way out of the heart!
I'm sure! You are the land of the dead zodiacal mind
Unobtrusive audition across the eyes, depressed sadness.

তোমার জন্য

তোমার জন্য'ই হয়তো এসেছিলাম পৃথিবীতে,
সেজন্য বুঝি হয়েছিল দেখাসাক্ষাৎ দুজনাতে।
কতনা অসাধ্য ছিল, কমতো ছিলনা অপবাদ,
মিশেছি তবুও-মিটিয়েছি জীবনের যতো-স্বাদ।
বুঝেছি প্রেম-ভালবাসার আবদার যতো-ইচ্ছে,
স্বর্গীয় সব মুহূর্ত'ই আজ যেন রূপকথা-কিচ্ছে।

যখন ডুবে যাই নীরবতায় দ্বার খুলে ভাবনার,
ভেসে উঠে স্মৃতিপট দুই চোখে স্রোত কান্নার।
কেন কোন আশা মিছে বেঁচে থাকা-যুক্তিহীন,
বিষাদের কারণ হয়েছি সবার-যেন ভিত্তিহীন।
ভেসে গেল সবই আমার, বুকে ব্যথা চিনচিন,
ফিরবে না আর ভাবলে জ্বালা বাড়ে দিনদিন।

নিজেকে পুড়িয়ে-ও খুঁজে পেয়েছি সুখ তখন,
অনুভূতি দেখেছি তোমাতে-আমার প্রয়োজন।
ভেবেছিলাম সার্থক জন্ম হে-প্রিয়জন শোনো,
তোমা ছাড়া বড্ড একা-প্রয়োজন নাই কোনো।
অথচ দেখো ভাগ্যের পরিহাস-কী অমানবিক!
বৃথাই হলো জন্ম-নিষ্ফল ছুটে চলি দিক্বিদিক।

৪-৬-২০১৮ইং সকাল ৯.৪০ মিঃ

______

You've probably come here on earth,
That's why I realized I was seen in the world.
How impossible it was, never wasted,
Nevertheless, the taste of life - the taste of life
Understand love and affection as much as you want,
All the moments of heaven are the fairy tales of today.

When you drown in silence,
Breathe in the memories of the two eyes, the tears of weeping
Why there is no hope of living-irrational,
The cause of the depression has been all-baseless.
It was all my chest, cheek pain,
Do not come back and think that irritation increases day by day.

I found myself burnt and burnt, then,
I have seen the feeling in you-I need it.
I thought it was the perfect birth, listen to the dear ones,
Without you alone, there is no need to be alone.
But look at the mockery of what is inhuman!
Futility is a birthless and runny path.

সোমবার, ২২ অক্টোবর, ২০১৮

আপনি নৌকায় ভোট দিয়ে কি পেয়েছেন..? -নয়ন

আপনি নৌকায় ভোট দিয়ে কি পেয়েছেন....?

এমন প্রশ্ন তো আপনার মনে জাগতেই পারে বা কেউ আপনাকে হুট করে প্রশ্ন করে বসলেন 'নৌকায় ভোট দিয়ে আপনি কি পেয়েছেন...?' তখন আপনার পক্ষে কিছুনা কিছু তো বলতেই হবে, যেহেতু নৌকায় ভোট দেন/চান, আওয়ামী লীগের কর্মী/নেতা বলেও দাবী করেন নিজেকে। আসেন আমরা আলোচনা করে দেখি 'নৌকা' বা 'আওয়ামী লীগ' আমাদের ও দেশকে কি দিয়েছেন।

@১) আপনি নৌকায় ভোট দিয়ে "ভৌগলিক স্বাধীনতা ও লাল সবুজ পতাকার মানচিত্র" পেয়েছেন। এটা তো অস্বীকার করতে পারেন না, কি বলেন? পেয়েছেন তো?

@২) আপনি নৌকায় ভোট দিয়ে বাংলা ভাষাকে "আন্তজার্তিক মাতৃভাষা" করে গৌরবের অধিকারী হয়েছেন। সেই আওয়ামী মুসলিম লীগের কথাটা স্মরণ করতে পারেন এক্ষেত্রে, বা ছাত্রলীগ।

@৩) আপনি নৌকায় ভোট দেওয়ার কারনে পাবত্য অঞ্চলে দিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে "শান্তি প্রতিষ্ঠা" করা সম্ভব হয়েছে। এবং এর ফলে আপনার মতো পার্বত্য অঞ্চলের জনগণেরও নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। ১৯৯৬ সালে নৌকায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে জয়ী করার সুফল, মনে করুন একবার পুরনো সেই পার্বত্য অঞ্চলের কথা তবেই বুঝতে পারবেন সেই শান্তি চুক্তির সুফল কতটা বিশাল।

@৪) আপনি নৌকায় ভোট দেওয়ার কারনে ভারত-বাংলাদেশ "সিট মহল বিনিময়" করে পারস্পরিক সমস্যাগুলি কোনপ্রকার সমালোচনা ছাড়াই সমাধান করার কারনে আপনার দেশের ভৌগলিক সীমানা বৃদ্ধিসহ সিটমহলবাসীরা নব্য উন্নয়নশীল দেশের নাগরিক অধিকার ভোগ করতে করছেন। এটা সিটমহল-বাসীর অনেক পুরনো দিনের একটা দাবী বা অধিকার ছিলো, যা আওয়ামী লীগ সরকারের সুদক্ষ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা'র জন্যই সম্ভব হয়েছে। এটা অস্বীকার করবেন কিভাবে!!

@৫) আপনি নৌকায় ভোট দেওয়ার কারনে মায়ানমারের কাছ থেকে  আন্তজার্তিক আদালতে মামলা করে "বিশাল সমুদ্রসীমার অধিকার" অর্জন  করা হয়েছে। যাতে আপনি আপনার দেশের প্রাপ্য ভৌগলিক সমুদ্রসীমা নিশ্চিত করণে নাগরিক গৌরবের অধিকারী হয়েছেন।

@৬) আপনি নৌকায় ভোট দিয়ে প্রয়োজনীয় বিদ্যূৎ উৎপাদনের সুযোগ দেওয়ায় "লোডশেডিং মুক্ত বাংলাদেশের" পথে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এখন আর আগের মতো বিদ্যুৎ হারিয়ে যায় না, হারালেও কিছুক্ষণ পরেই ফিরে পাচ্ছেন। অথচ দেখেন প্রতিটি শহর নগর জেলা উপজেলা অজপাড়াগায়ের পথে কোটি কোটি রিক্সা/অটোরিকশা ব্যাটারির মাধ্যমে চালিত হচ্ছে! ভাবুন একবার, নিজের বিবেকটাকে জাগ্রত করেই ভাবুন সুনাগরিক হিসেবে।

@৭) আপনি নৌকায় ভোট দেওয়ার কারনে বাংলার মানুষের  আজীবন লালায়িত "সপ্নের পদ্মা সেতু" দেশি-বিদেশী কতপ্রকার শত্রুদের মুখে জুতার বারি দিয়ে 'পদ্মা সেতু' আজ বাস্তবায়নের পথে, যাতে দেশ এবং আপনি নাগরিক হিসেবে বিশ্বময় গৌরবের অধিকারী হয়েছেন। যে সেতু চালু হলে আপনার দেশের প্রবৃদ্ধি দশে গিয়ে দাঁড়াবে দ্রুত, ভেবেছেন একবার...? ভাবুন, ভাবতে থাকুন.....।

@৮) আপনি নৌকায় ভোট দেওয়ার কারনে কর্ণফুলি নদীর নিচে "সপ্নের টানেল" বাস্তবায়নের পথে যা বাস্তবায়িত হলে আপনি চিনের সাথে তুলনা করে বলতে পারবেন 'আমাদেরও নদীর নিচে রাস্তা আছে, গাড়ি চালিয়ে পারাপার হয় নদীর নিচ দিয়ে! এতে সুনাগরিক হিসেবে দেশ নিয়ে আপনার সপ্নকে আরও একধাপ বাড়িয়ে দিল...!!

@৯) আপনি নৌকায় ভোট দিয়ে" ঢাকা-চট্টগ্রাম এবং গাজীপুর-ময়মনসিংহ রোড "চার লাইনে রুপান্তিত" করার মাধ্যমে আপনি/সেসব-অঞ্চলের জনগণ যথোপযুক্ত নাগরিক সুবিধা ভোগ করতে করছেন।

@১০) আপনি নৌকায় ভোট দিয়ে "পতেঙ্গা হতে সীতাকুণ্ড পর্যন্ত রিং রোড নির্মাণ সহ পর্যটন নগরী নির্মাণ" করে আপনার ও আপনার দেশের জনগণের সপ্নের পরিধি বাড়িয়ে তুলেছেন।

@১১) আপনি নৌকায়  ভোট দিয়ে দেশের গর্ব "সেনা-নৌ-বিমান বাহিনীর জন্য আধুনিক সরঞ্জাম সংযুক্ত করে" দেশকে শক্তিশালী বা দেশরক্ষা জন্য উপযোগী বাহিনী হিসাবে গড়ে তোলতে সম্ভব করে দিয়েছেন। যাতে দেশের নাগরিক হিসেবে আপনি ও গৌরবের অধিকারী হয়েছেন বিশ্বময়।

@১২) আপনি নৌকায় ভোট দেওয়ার কারনে "আন্তজার্তিক জাতিসংঘ শান্তিমিশনে" বাংলাদেশের বিভিন্ন বাহিনী সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করে দেশের সুনাম বাড়িয়ে চলেছে এবং বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছে, যাতে দেশের নাগরিক হিসেবে আপনিও লাভবান হচ্ছেন কোননা কোনভাবে।

@১৩) আপনি নৌকায় ভোট দিয়েছিলেন বলেই "কম দামে মোবাইল" ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছেন। ইন্টারনেট কি জিনিস তা আজ অজপাড়াগায়ের মুক্ষসুক্ষ ছেলেটিও বুঝতে পারছে, বিদেশে বসে দেশের মানুষের সাথে কিংবা পরাণের বৌয়ের মুখ দেখে কথা বলতে পারতেছেন, যেখানে ছেলে লেখাপড়া করতে শহরে থাকলেও বাবা-মা সন্তানের মুখ দেখার জন্য অধীর আগ্রহে বসে থাকতেন গ্রামের বাড়িতে। এই ইন্টারনেট কানেকশন আওয়ামী লীগ সরকার তথা আপনার নৌকায় ভোট দেয়ার করণেই সম্ভব হয়েছে। নয়তো দেশের তথ্য চুরি(যদিও মূলত উদ্দেশ্য ছিলো ভারতকে আইটি সেকশনে এগিয়ে দেয়া)হওয়ার অজুহাতে বিনে পয়সায় পাওয়া 'ফাইবার অপটিক' অফারে বাংলাদেশকে যুক্ত হতে দেয়নি বিএনপি সরকার ১৯৯১ সালে ক্ষমতায় এসে। আপনি ১৯৯৬ সালে নৌকায় ভোট দিয়েছিলেন বলেই দেশের ভবিষ্যৎ চিন্তাভাবনা করে সেই বিনে পয়সায় পাওয়া 'ফাইবার অপটিক' বাংলাদেশে যুক্ত করতে পেরেছিলেন সুদূরপ্রসারী চিন্তাভাবনাকারী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সুদক্ষ দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা, যদিও এই সংযুক্তির জন্য বাংলাদেশকে গুনতে হয়েছিল "সাড়ে সাত মিলিয়ন ডলার"। সেজনই গর্বকরে বলতে পারেন আমাদের বাংলাদেশ আজ 'ডিজিটাল বাংলাদেশ'।

@১৪) আপনি নৌকায় ভোট দিয়েছিলেন বলেই প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে স্বাস্থ্যকেন্দ্রসহ প্রতিটি ওয়ার্ডে স্যাটেলাইট ক্লিনিকে "স্বাস্থ্য সেবা" পেয়ে যাচ্ছেন আপনার দেশের জনগণ সম্পূর্ণ বিনে পয়সায়।

@১৫) আপনি নৌকায় ভোট দিয়েছিলেন বলেই ইউনিয়ন পর্যায়ে "ডিজিটাল সেবা"(রেমিটেন্স,আইডি,নাগরিক তথ্যাদি,ইত্যাদি) পাচ্ছেন। বিশ্বের সাথে পাল্লা দিয়ে সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে আপনার দেশ।

@১৬) আপনি নৌকা ভোট দিয়েছিলেন বলেই আপনার দেশের জনগণ আশানুরূপ 'ব্রিজ-ওভারব্রীজ-কালভার্টসহ বিভিন্ন উন্নত যোগাযোগব্যবস্থা'র সুযোগ ভোগ করছেন।

@১৭) আপনি নৌকায় ভোট দিয়ে নিত্য প্রয়োজীয় পণ্যের 'স্থিতিশীলতা'র সুযোগ ভোগ করছেন। আপনার দেশের সবজি এখন বিদেশেরও চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে।

@১৮) আপনি নৌকায় ভোট দিয়েছিলেন বলেই মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে দেশমাতৃকা ও দেশের মা-বোনদের উপর নির্যাতনের বিরুদ্ধে যাঁরা রুখে দাড়িয়েছিলেন, বাংলার সেইসব সূর্য সন্তান "বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানিত" করতে পেরে নিজের জাতিগত কৃতজ্ঞতা ভোগ করছেন। যা বিগত কোন সরকারের সময়ে কল্পনাও করেননি হয়তো!!

@১৯) আপনি নৌকায় ভোট দিয়ে 'ভাসমান মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রসহ, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, সামাজিক নিরাপত্তা'র জন্য বিভিন্ন ভাতার প্রচলন করে সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনীকে আরো সুদৃঢ় করার কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন, যাতে কিছু অসহায় মানুষ সুন্দর ভাবে বাচাঁর সপ্ন দেখছেন, এখানেও দেশের নাগরিক হিসেবে আপনি গৌরবের অধিকারী।

@২০) আপনি নৌকায় ভোট দিয়েছিলেন বলেই দেশের গরীব বাবা-মায়ের সন্তানের জন্য প্রতি বছর ১লা জানুয়ারি'তে বিনামূল্যে "নতুন বই" পাওয়ার ব্যবস্থা হয়েছে। যাতে আপনার সন্তানও লাভবান হচ্ছেন।

@২১) আপনি নৌকা ভোট দিয়েছিলেন বলেই "মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিট বাড়িয়ে" আপনিসহ দেশের জনগণের সন্তানদের জন্য 'উন্নত শিক্ষা এবং চিকিৎসা' নিশ্চিতের সুযোগ পেয়েছেন।

@২২) আপনি নৌকায় ভোট দিয়েছিলেন বলেই আপনিসহ দেশের মানুষ উন্নত দেশের মতো "নাগরিক পরিচয় পত্র"(স্মার্ট  কার্ড) এর অধিকারী হয়েছেন।।

@২৩) আপনি নৌকায় ভোট দিয়ে অনেক গৃহহীন পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে "গৃহ নির্মাণ" করে দিয়ে ঘরের মালিক হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন।।

@২৪) আপনি নৌকায় ভোট দিয়েছিলেন বলেই মহাকাশের আকাশে স্যাটেলাইট(বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট) পাঠানোর সুযোগ সৃস্টি হয়েছে। যে কাজে আপনি দেশের নাগরিক হিসবে বিরল গৌরবের অধিকারী হয়েছেন।

@২৫) আপনি নৌকায় ভোট দিয়ে দেশের মানুষকে আশানুরূপ টিভি চ্যানেলসহ ডিজিটাল পদ্ধতিতে "তথ্যপ্রবাহের অবাধ সুযোগ" ভোগ করতে সহযোগিতা করছেন।

@২৬) পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম হত্যাকান্ড 'জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান'সহ তাঁর পরিবারের সকল শহীদদের নৃশংস হত্যাকাণ্ড'-এর জন্য ব্যক্তিগত বা জাতিগতভাবে আপনি আপসোস থেকে হতাশা বা অপরাধ-বোধ করতেন বিচার না পেয়ে, আপনি নৌকায় ভোট দিয়েছিলেন বলেই "বাংলার মাটিতে সেই নৃশংস হত্যাকান্ডের বিচার" বিশ্ববাসীসহ বাংলার মানুষ দেখার সুযোগ পেয়েছেন, আপনি দেখেছেন।

@২৭) আপনি নৌকায় ভোট দিয়েছিলেন বলেই '৭১-এর দালাল আলবদর আলশামস "রাজাকারদের বিচার" বিশ্ববাসীর সাথে আপনিও নিজচোখে দেখে তৃপ্তির শ্বাস ছেড়েছেন, যা জাতিগতভাবে আপনার সকল  অপরাধবোধ'কে নিরুৎসাহিত করে আপনার আগামী দিনের নাগরিক অধিকার কে নিশ্চিত করেছে।

@২৮) আপনি নৌকায় ভোট দিয়েছিলেন বলেই আপনার দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করে তুলে "ডিজিটালিস বাংলাদেশ"-এ রুপান্তর করার মাধ্যমে আপনার ও দেশের সপ্নের আওতাকে আরো একধাপ বাড়িয়ে তুলেছেন।

@২৯) আপনি নৌকায় ভোট দিয়েছিলেন বলেই এলএমজি তরল গ্যাসের মাধ্যমে গ্যাস সংকট দুর করে "গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানিসহ আপনার ও দেশের জনগণের নাগরিক সেবা" নিশ্চিত বাস্তবায়নের ধারপ্রান্তে এগিয়ে গিয়েছে আপনার প্রিয় বাংলাদেশ।

@৩০) আপনি নৌকায় ভোট দিয়েছিলেন বলেই দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন নিশ্চিত করে আপনি ও দেশের মানুষ দিনদিন 'বেকারত্বের অভিসাপ' মুক্ত হচ্ছেন। দিনদিন বেড়েই চলেছে সোনার বাংলা গড়ার কর্মযজ্ঞ।

@৩১) আপনি নৌকায় ভোট দেওয়ার কারনে কৃষিখাতের বৈপ্লবিক পরিবর্তনে "খাদ্যে স্বয়ং সম্পুর্ণ" হয়েছে আপনার আমার প্রিয় বাংলাদেশ।। বহিঃ বিশ্বে প্রাকৃতিক দুর্যোগকালে আমাদের দেশও এখন খাদ্য সহায়তাদানের গৌরব অর্জন করতে পেরেছেন।

@৩২) আপনি নৌকায় ভোট দেওয়ার কারনে আন্তজার্তিক পরিমন্ডলে "দুর্নীতির সূচক হ্রাস" ও নন্দিত এবং "উন্নয়ন বান্ধব প্রধানমন্ত্রী" হিসাবে আপনার দেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা'র নামের সাথে আপনার আমার প্রিয় 'বাংলাদেশ' বিশ্বের মধ্যে একটি আলোচিত দেশের নাম। যা আপনার সাথে দেশের মানুষ তথা সমগ্র বাংলা-ভাষীকে গৌরবের অধিকারী করে।

@৩৩) আপনি নৌকায় ভোট দেওয়ার কারনেই আজ "মাদক মুক্তের পথে এবং জঙ্গি দমনে বিশ্বের কাছে অনুকরণীয় হয়ে ওঠেছে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ।।

@৩৪) আপনি নৌকায় ভোট দিয়েছিলেন বলেই পার্শ্ববর্তী বন্ধুদেশ সমুহের সাথে কুটনৈতিক সমস্যাদির সাধারণ ও 'রোহিঙ্গা ইস্যু'তে আন্তজার্তিক সম্প্রদায়ের সুদৃস্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়েছে আপনার আমার প্রিয় বাংলাদেশ, এখানে দেশের সাথে নাগরিক হিসেবে আপনিও গর্বিত ও লাভবান।

@৩৫) নৌকায় ভোট দিয়ে আপনি নাগরিক সুবিধাদি যেমন- 'অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা'সহ যাবতীয়  নাগরিক সুবিধাদি বাস্তবায়নের দিকে প্রত্যাশাতীতভাবে এগিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছেন আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ'কে।।

সামগ্রিকভাবে এইসব প্রাপ্তির প্রতি ভরসা রেখে দেশ ও দেশের জনগণের ভাগ্য উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় এবং বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন প্রকল্পগুলো সুন্দর-সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন করে প্রিয় 'বাংলাদেশ'কে উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছে দিতে সামনের জাতীয় নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে ভোট প্রদান করে প্রিয় বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় বাংলার মানুষের শেষ-আশা ও একমাত্র ভরসাস্থল দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার পাশেই থাকুন।।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, জয় হোক বাংলার মেহনতি মানুষের।

উন্নত'দেশ-গড়ার শপথ নিন নৌকা মার্কায় ভোট দিন,
এগিয়ে চলুক দুরন্তর গতিতে প্রিয় বাংলাদেশ সুদক্ষ ও সুপ্রিয় দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা'র হাত ধরে। এটাই হোক একজন সুনাগরিকের কর্ম ও কাম্য।। 

_______________________________________
[লেখাটি Md Amarot ভাইয়ের ইনবক্সে পাঠানো লেখা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে লেখা।]

নৌকায় ভোট দিয়ে কি পেয়েছেন -Amarot

আপনি নৌকায় ভোট দিয়ে কি পেয়েছেন???
১) আপনি নৌকায় ভোট দিয়ে "ভৌগলিক স্বাধীনতা ও লাল সবুজ পতাকার মানচিত্র " পেয়েছেন।
২) আপনি নৌকায় ভোট দিয়ে বাংলা ভাষাকে "আন্তজার্তিক মাতৃভাষা" করে গৌরবের অধিকারী হয়েছেন।
৩) আপনি নৌকায় ভোট দেওয়ার কারনে পাবত্য অঞ্চলে দিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে "শান্তি প্রতিস্টা" করা সম্ভব হয়েছে।এবং ফলে আপনার নাগরিক অধিকার নিশ্চিত হয়েছে।।
৪)আপনি নৌকায় ভোট দেওয়ার কারনে ভারত-বাংলাদেশ" সিট মহল বিনিময় "করে পারস্পরিক সমস্যাগুলি সমাধান করার কারনে আপনি নাগরিক অধিকার  ভোগ করছেন।
৫) আপনি নৌকা ভোট দেওয়ার কারনে মায়ানমারের কাছ থেকে  আন্তজার্তিক আদালতে মামলা করে" বিশাল সমুদ্রসীমার অধিকার" অর্জন  করা হয়।যা আপনি গৌরবের অধিকারী হয়েছেন।
৬)আপনি নৌকায় ভোট দিয়ে প্রয়োজনীয় বিদ্যূৎ উৎপাদনের সুযোগ দেওয়ায় "লোডশেডিং মুক্ত বাংলাদেশের" পথে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
৭)আপনি নৌকায় ভোট দেওয়ার কারনে বাংলার মানুষের  আজীবন লালায়িত সপ্নের"পদ্মা সেতু" বাস্তবায়নের পথে,যা আপনি গৌরবের অধিকারী।
৮) আপনি নৌকায় ভোট দেওয়ার কারনে কর্ণফুলি নদীর  নিচে সপ্নের "ট্যানেল" বাস্তবায়নের পথে যা আপনার সপ্নকে আরও একধাপ বাড়িয়ে দিল।
৯) আপনি নৌকায় ভোট দিয়ে" ঢাকা-চট্টগ্রাম রোড চার লাইনে রুপান্তিত "করে আপনি নাগরিক সুবিধা ভোগ করছেন।
১০) আপনি নৌকায় ভোট দিয়ে" পতেঙ্গা হতে সীতাকুণ্ড পর্যন্ত রিং রোড নির্মাণ সহ পর্যটন "নগরী নির্মাণ করে আপনার সপ্নের পরিধি বাড়িয়ে তুলেছেন।
১১) আপনি নৌকায়  ভোট দিয়ে দেশের গর্ব "সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, ও বিমানবাহিনী জন্য আধুনিক সরঞ্জাম সংযুক্ত করে" শক্তিশালী দেশরক্ষা জন্য উপযোগী বাহিনী  হিসাবে গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে।যা আপনি ও গৌরবের অধিকারী।
১২) আপনি নৌকায় ভোট দেওয়ার কারনে "আন্তজার্তিক জাতিসংঘ শান্তিমিশনে " বাংলাদেশ বিভিন্ন বাহিনী  সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করে দেশের সুনাম বাড়ানো ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন  করছে।যা আপনি ও লাভবান হচ্ছেন।
১৩) আপনি নৌকায় ভোট দিয়ে "কম দামে মোবাইল" ব্যবহার করার সুযোগ পাচ্ছেন।
১৪) আপনি নৌকায় ভোট দিয়ে প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে "স্বাস্থ্য সেবা" পাচ্ছেন।
১৫)আপনি নৌকায় ভোট দিয়ে ইউনিয়ন পর্যায়ে "ডিজিটাল সেবা"( রেমিটেন্স,আইডি,নাগরিক তথ্যাদি,ইত্যাদি) পাচ্ছেন।
১৬) আপনি নৌকা ভোট দিয়ে আশানুরূপ  "ব্রিজ, কালভার্ট,উন্নত যোগাযোগব্যবস্থার "সুযোগ ভোগ করছেন।
১৭) আপনি নৌকায় ভোট দিয়ে নিত্য প্রয়োজীয় পণ্যের "স্থিতিশীলতার পরিবেশের" সুযোগ ভোগ করছেন।
১৮) আপনি নৌকায় ভোট দিয়ে" মুক্তিযোদ্ধা সন্মানী বাড়ানো ও আনুষঙ্গিক সুবিধাদি" ভোগ করছেন।যা কোন সরকার বিগত সময়ে করেনি।।
১৯) আপনি নৌকায় ভোট দিয়ে "বয়স্ক ভাতা,বিধবা ভাতা,প্রতিবন্ধী ভাতা সহ সামাজিক নিরাপত্তার" জন্য বিভিন্ন ভাতার প্রচলন করে সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনীকে আরো দৃঢ় করায় কিছু অসহায় মানুষ সুন্দর ভাবে বাচাঁর সপ্ন দেখছে,যা আপনি গৌরবের অধিকারী।
২০) আপনি নৌকায় ভোট দিয়ে আপনার সন্তানের জন্য প্রতি বছর ১লা জানুয়ারি তে "নতুন বই" পাচ্ছেন।যা আপনার সন্তান সহ আপনি লাভবান হচ্ছেন।
২১) আপনি নৌকা ভোট দিয়ে "মেডিকেল কলেজ সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সিট বাড়ানো" সহ আপনার সন্তানের জন্য উন্নত শিক্ষা নিশ্চিতের সুযোগ পেয়েছেন।
২২) আপনি নৌকায় ভোট দিয়ে উন্নত দেশের মতো "নাগরিক পরিচয় পত্র" "স্মার্ট  কার্ড " এর অধিকারী হয়েছেন।।
২৩) আপনি নৌকায় ভোট দিয়ে অনেক গৃহহীন পরিবার কে সরকারপক্ষ  থেকে "গৃহ নির্মাণ " করে ঘরের মালিক হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন।।
২৪) আপনি নৌকায় ভোট দিয়ে "বংগবন্ধু স্যাটেলাইট " মহাকাশে পাঠানোর সুযোগ সৃস্টি করেছেন।যা আপনি বিরল গৌরবের অধিকারী হয়েছেন।
২৫) আপনি নৌকায় ভোট দিয়ে আশানুরূপ টিভি চ্যানেল সহ ডিজিটাল পদ্ধতিতে" তথ্যপ্রবাহের অবাধ সুযোগ"ভোগ করছেন।
২৬) আপনি নৌকায় ভোট দিয়ে,  যে মুজিক হত্যাকান্ড নিয়ে আপনি আপসোস ও হতাশায় ভোগতেন,সেই "জাতির জনকের হত্যাকান্ডের বিচার" বাংলার মাটিতে দেখেছেন।
২৭) আপনি নৌকায় ভোট দিয়ে" ৭১ এর দালাল রাজাকারদের বিচার" নিজচোখে দেখলেন,যা আপনার সকল  অপরাধ কে নিরুৎসাহিত করে আপনার নাগরিক অধিকার কে নিশ্চিত করবে।
২৮) আপনি নৌকায় ভোট দিয়ে দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করে" ডিজিটালিস বাংলাদেশে রুপান্তর"আপনার সপ্নের আওতাকে আরো একধাপ বাড়িয়ে দিল।
২৯) আপনি নৌকায় ভোট দিয়ে এলএমজি তরল গ্যাসের মাধ্যমে গ্যাস সংকট দুর করে আপনার "নাগরিক সেবাসহ গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানি" নিশ্চিত সেবা বাস্তবায়নের ধারপ্রান্তে প্রিয় বাংলাদেশ।
৩০) আপনি নৌকায় ভোট দিয়ে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন নিশ্চিত করে আপনি ও" বেকারত্বের  অভিসাপ" মুক্ত হচ্ছেন।
৩১) আপনি নৌকায় ভোট দেওয়ার কারনে কৃষিখাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনে দেশ খাদ্যে" স্বয়ং সম্পুর্ণের" পথে প্রিয় বাংলাদেশ।।
৩২) আপনি নৌকায় ভোট দেওয়ার কারনে আন্তজার্তিক পরিমন্ডলে" দুর্নীতির সূচক হ্রাস" ও নন্দিত ও" উন্নয়ন বান্ধব  প্রধানমন্ত্রী" হিসাবে জননেত্রী  শেখ হাসিনার  নাম ও বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে আলোচিত  নাম।যা আপনি গৌরবের অধিকারী।
৩৩) আপনি নৌকায় ভোট দেওয়ার কারনে  আজ "মাদক ও জংগীবাদ" মুক্তের পথে  প্রিয় বাংলাদেশ।।
৩৪) আপনি নৌকা ভোট দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশ সমুহের সাথে সমস্যাদি সহ "রোহিঙ্গা  ইস্যু "আন্তজার্তিক সম্প্রদায়ের দৃস্টি আকর্ষণ সহ উক্ত  সমস্যার স্থায়ী সমাধানের পথে প্রিয় বাংলাদেশ। যা আপনি লাভবান।
৩৫) নৌকায় ভোট দিয়ে আপনি নাগরিক সুবিধাদি যেমন- অন্ন,বস্ত্র,বাসস্থান,চিকিৎসা সহ যাবতীয়  নাগরিক সুবিধাদি বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাবে প্রিয় বাংলাদেশ।।
উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষারর জন্য বাস্তবায়নাধীন প্রকল্প গুলো সমাপ্ত করার স্বার্থে নৌকা ও   বাংলার আশা ভরসার প্রতীক জননেত্রী  শেখ হাসিনার পাশে থাকুন।।
"উন্নয়নের শপথ নিন
নৌকা মার্কায় ভোট দিন"।। Md Amarot, ফেসবুক ইনবক্সে পাঠিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৮

Your Lips

When you see
the sweet smile on your lips,
In this mind then love shines.
I am just surprised to see you
with an impressive eye,
Dreaming of dreams dream of dreams
dream Build me over the clouds,
Two stars in the moon light;
Bliss of eyes,
Keep your head on your chest.
I have a dream in my eyes,
I do not just talk to you.
How sweet that honey smiled,
I love to say love loved ones.
I wish you were in front of me in the morning,
See again love the ankle heart.
Walkways Talk takes good,
If you can think of a relative;
If you want to open your heart,
if you want to keep it open.
Keep it in the cage of happiness, Earth,
I can bet for you, my life.

The Pain Does Not End Here

At the beginning of youth
My relationship with you grew.
I do not understand love,
I do not understand who is the bond of heart ....
Day by day meeting with you
Growing up in the heart a great love sea.
In addition to the biological demands of the heart
Baraababatha tormented time in the house.
It was a long time, the moments of that time,
I never understood you,
Keeping it laugh,
You do not even want to understand,
Your greedy minda may not understand ...

Today i am you
When I say, how the eyes become tangled;
The pain of death, the pain of death,
You do not understand the unbearable pain.

I got to be yours
Lost me,
If not, you are mine,
I do not find myself ..!

When people need extra or not
Absolutely freezing,
Then people stoop,
To find the way to salvation.

I-
Destroyed me
There is no sorrow in it,
However,
Give you
Could not keep ...
I'm surviving ...?
This is not the end of pain.

মঙ্গলবার, ১৬ অক্টোবর, ২০১৮

এখানেই বেদনার শেষ নেই

যৌবনারম্ভের শুরুতেই
তোমার সাথে আমার সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল।
না বুঝতাম ভালোবাসা,
না বুঝতাম কাকে বলে হৃদয়ের বন্ধন...।
দিনে দিনে তোমার সাথে সাক্ষাতে সাক্ষাতেই
বেড়ে উঠে মনের ভিতর এক মহা-প্রেমের সমুদ্র।
হৃদয় গহীনে জৈবিক চাহিদার পাশাপাশি
ঘর বাঁধে বিরহব্যাথা যন্ত্রণা কাতর সময়গুলো।
বড্ড বেরসিক ছিল সেই সময়ের মুহুর্ত গুলো,
তোমাকে বুঝতে দেইনি কখনো,
তা চেপেই রেখেছিলাম হাসির আড়ালে,
তুমিও বুঝতে চাওনি,
তোমার লোভী মনটা হয়তো বুঝতেই পারেনি...।

আজ আমি তুমি-হারা...
বলতে গেলেই চোখদুটো কেমন ছলছলে হয়ে ওঠে;
হৃদয়ের গহীনে বয়ে চলে মহাপ্রয়াণের কষ্ট,
কি যে অসহ্য যন্ত্রনা তুমি তা বুঝবেনা কিছুতেই।

আমি তোমার হতে গিয়ে
হারিয়েছি আমাকে,
না হতে পারলে তুমি আমার,
না খুঁজে পাই আমি নিজেকে..!

মানুষের প্রয়োজন যখন অতিরিক্ত কিংবা
একেবারেই শূন্যে নেমে আসে,
তখন মানুষ স্তব্ধ হয়ে যায়,
এর থেকে মুক্তির পথ খুঁজতে থাকে।

আমি-
আমাকে ধ্বংস করেছি
তাতে দুঃখ নেই,
কিন্তু,
তোমাকে দেয়া কথা
রাখতে পারিনি...
আমি বেঁচেই আছি...?
এখানেই বেদনার শেষ নেই।।

শুক্রবার, ১২ অক্টোবর, ২০১৮

মন বলে ভালোবাসি

তোমারওকি মাঝ রাতে ভেঙে যায় ঘুম...?
ভেসে ওঠে কি ওই চোখের পাতায় আমার মুখটি,
চোখের কোণ বেয়ে গড়িয়ে পড়ে কি নীরব অশ্রুজল..?
পুরনো স্মৃতির নীরব কষাঘাতে-
তোমারওকি ক্ষতবিক্ষত হতে থাকে অন্তর..?
মনের বোবা কথাগুলো বলে চলো বালিশের কানে,
বিষাদে ভরে ওঠে কি বিছানা....?
বেরিয়ে আসো কি কোন চাঁদনি রাতে বারান্দায়..?

আমি বারান্দায় বসে রাতের নীরবতা ভাঙা
ঘেউ ঘেউ করে চলা কুকুরটির কথা ভাবি-
কি যেন কি দেখিয়া আপন মনে চিৎকার করতে থাকে,
একটু দূরেই বসে থাকা আরেকটি কুকুরের
কান্নার সুর আমাকে খুবই বেদনাহত করে তুলে!
নীরব রাতে সাথী হারা কুকুরটি আপন মনে কাঁদতে থাকে;
বড়ই কষ্টের সেই কান্নার সুর,
আমাকেও ভাসিয়ে যায় বেদনার শ্রাবণে।
সাথী হারানোর কষ্ট,
বিষণ্ণতা ভরা জীবনের সাথে যে আমারও খুব জানাশোনা।

আচ্ছা, কোন শ্রাবণ সন্ধ্যায়
বাতায়ন খুলে দাঁড়িয়ে থেকেছো কি কখনও,
দেখেছো কি ভেজা গাছের ডালে
ঝিমঝাম বসে আছে কোন পাখি...?
হয়তো মিলিয়ে দেখছে জীবনের হিসেব,
নয়তো হারানো সাথীর জন্য বেদনাহত হৃদয় নির্বাক...?
দেখে থাকলে ভেবে নিও তবে আমাকে একবার,
ভেবে নিও হৃদয়ের শ্রাবণ ঝড়ে দিশেহারা এই মন,
নীড় নেই, স্থায়িত্ব নেই, কোন জোর নেই মনের;
চোখ দুটোয় যে বেদনার উত্তাল ঢেউ,
চঞ্চল মনটা আজ নিথর স্তব্ধ যন্ত্রণায় কাতর জীবন্ত পাথর।

বিকেলের গোধূলী রাঙা আকাশে
স্বর্ণালী সূর্যটা কার না মনে সুখ এনে দেয়...!
আমাকেও বিমোহিত করে,
মুগ্ধ মনে দেখি নদীর জলে সূর্যের প্রতিচ্ছবি,
তৃপ্ততায় ভরে উঠে মন অন্তর,
অনুভব করি হৃদয় নাচন...।
সেই তৃপ্ততা বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেনা,
মিলিয়ে যায় তোমাকে মনে হতেই।
বেদনার কষাঘাতে ক্ষতবিক্ষত হৃদয়টাকে প্রশ্ন করি, কেন...?
প্রতিউত্তরে মন বলে ভালোবাসি-
ভালোবাসি তাকেই সবচেয়ে বেশি এখনও!!

ধন বেচে সিনেমা, আহ গরম!

প্রচন্ড গরম, দুপুরে পড়ে গেছে সময়, সূর্যটা যেন ঘরের চালের উপরেই মনে হচ্ছে নয়নের, নিচে ধান ভিজে যাচ্ছে শরীরের ঘামে। নূরভাই কালাম ভাই বিছানায় শুয়ে গল্প শুরু করে দিয়েছে। নয়ন ধানের বেড়ে আটকা পড়ে গরমের শাস্তি ভোগ করছে। মনে মনে ভাবছে আল্লাহ তুমি রহম করো, নূর ভাইকে বাহিরে নিয়ে যাও, আমি একটু এই অসহ্য গরমের হাত থেকে রেহাই পাই, ধান চুরি করার সময় মেলা মিলবো। না কিছুতেই আল্লাহ নয়নের কথা আজ শুনছেন না। নূরভাই আর কালাম ভাই গল্প করেই চলেছে তো চলছেই। ধানের বেড়ের ছিদ্র দিয়ে চেয়ে দেখে কালম ভাই বসে আছে আর নূর ভাই হাতে দেড়ফিট কলমটা পায়ের উপর পা তুলে কলমটা আস্তে আস্তে বাইড়াইতাছে।

শেরপুর শহরে তখন ছয়টি সিনেমার হল ছিল, নতুন সিনেমা মুক্তি পেলে শেরপুর ছয়টির মধ্যে একটিতে মুক্তি পেতোই, তাছাড়া প্রতিটি হলেই সপ্তাহ সপ্তাহ সিনেমা বদলাইতো, তবুও ভরপুর থাকতো সিনেমার হলগুলো। এতো জনপ্রিয় ছিল সিনেমা দেখা তা এখনকার ছেলেমেয়েরা বুঝতেই পারবেনা। কারণ হলগুলোর অবস্থা দেখলে মনে হয় না পেরে সিনেমা চালায়। ছয়টি হলের মধ্যে এখন মাত্র তিনটি সিনেমার হল তবুও চলেনা ঠিকমত শুনি। অনেকদিন হলে বসে সিনেমা দেখা হয় না, প্রায় ১৯ বছর পেরিয়ে যাচ্ছে সিনেমার নেশা কেটেছে আমার মনে থেকে। এই ১৯ বছরে মনে হয় চারটি সিনেমা দেখেছি হলে, তবে শেষ ছবিটি কতবছর আগে দেখেছি তাও বলতে পারবো না। অথচ একটা সময় গেছে প্রতিটি সিনেমা দুই তিন বা চারবারও হয়ে গেছে দেখা!!

নতুন একটা সিনেমা মুক্তি পেয়েছে সত্যবতী হলে, ছবিটি নাকি দারুণ, এমন গল্প শুনে নয়নের আর ভালো লাগছে না কবে দেখবো সিনেমা। কিন্তু পকেটে টাকাও নেই। আম্মার কাছে গতকালই একশ টাকা নিয়েছি, চাওয়াই যাইবো না, নূর ভাইয়ের কাছে চাইলেও না পাওয়ার চান্সই বেশি, কারণ দুই দিন আগেই পঞ্চাশ টাকা দিয়েছে। এখন কি করবে নয়ন, কিভাবে টাকা জোগাড় করবে, মাথার মধ্যে কঠিন চিন্তা।

আব্বা আজ সকাল সকাল শহরে চলে যাওয়ায় নয়ন স্কুল ফাঁকি দিয়ে দুপুরের দিকে মাচা থেকে ধরা চারেক ধান চুরি করবে এই চিন্তাভাবনা করছে। আম্মা তো দশটার আগেই অফিস চলে যাবে, ছোট ভাই মনি স্কুলে চলে গেছে, নূরভাই ছেম ভাইয়ের বাড়ির দিকে গেছে দেখে স্থির করলো আজই সুযোগ বেড় থেকে ধান চুরি করার। তাই নিজের রুমে শুয়ে ভাবছে নয়ন।

বাহিরে রাস্তায় মন্জুর কথা শুনতে পেয়ে তাকে ঢেকে ঘরে বসে গল্প করছে।
আজ স্কুলে যাবি না নয়ন....? আম্মা অফিসে যাওয়ার জন্য রেড়ি হয়ে বড় ঘরের দরজা চাপিয়ে রেখে উঠোন থেকে বলছে যাওয়ার সময় দরজা বন্ধ করে যাইস।
যাবো আম্মা, একটু পরে যাই কেবল দশটা বাজে, আচ্ছা বন্ধ করে যাবোনি। নয়ন নিজের রুম থেকেই উত্তর দিয়ে শুয়ে রইল।
মন্জুর সাথে নয়নের কথা হয়েছে সে ধানটি মাথায় করে কালাম ভাইয়ের দোকানে পৌঁছে দিবে। কিন্তু নয়নকে তার ঘর থেকে বেরে করে তার ঘরের পিছন পর্যন্ত নিয়ে দিতে হবে।

এর মধ্যে আলামিন এসে ঢুকলো ঘরে, কিরে স্কুলে গেলি না আজ, আমিও যাইনি আজ। আলামীনের সাথে গল্প শেষ করে যখন আলামীন চলে গেল তখন প্রায় সাড়ে এগারোটা বাজে। নয়ন মনে করছে এখনই কাজটি করে ফেলবে। তাই নিজের রুম থেকে বেরিয়ে বড় ঘরে এসে বস্তা খুঁজছে। মাচার দরজা খুলেই দেখে কয়েকটি বস্তা, নয়ন একটা বেছে নিয়ে মাচার ভিতর ঢুকে পড়লো। মন্জুকে বললো তুই ফিরু ভাবির সাথে আলাপ করতে থাক, দরজাটা চাপিয়ে রেখে যা।
মন্জু দরজা চাপিয়ে রেখে চলে গেল, নয়ন একটা ধান তোলার মত একটা ভোল নিয়ে ধানের বেড়ে নেমে পড়লো। নেমেই ঝটপট বস্তা ভরার কাজে ব্যস্ত। অর্ধেক বস্তা ভরে বস্তার মোখ বেঁধে বেরোতে যাবে এমন সময় উঠনো নূর ভাইয়ের কথা শুনতে পেল, এখন কি করবে নয়ন! নে আসলে শরীরের গাম দেখে সন্দেহ করবে, তারচেয়ে বরং বেড়েই বসে থাকি, কিছুক্ষণ পরতো চলেই যাবে, তখন বেড়িয়ে পরবো।

কিন্তু কপাল যে এতটা খারাপ হবে তা কে জানে, নূরভাই কিছুক্ষণ একা একা শুয়ে থেকে দরজা খুলে বাহিরে গেল, নয়ন ভাবছে যাক বেরিয়ে পড়বো এখন। তখনই আবার কালাম ভাইকে ডেকে আনলো, ঘরে ঢুকে শুয় শুয়ে গল্প করতে থাকে। আমি বেড়ের ফটো দিয়ে তাদের গল্প করা দেখছি, মাঝেমধ্যে কালম ভাই বলছে চল বাইরে যাই, আর মুচকি মুচকি হাসছে দেখে আমার এবার পুরোপুরিই ব্যাপারটা মাথায় ক্যাচ করলো যে নূরভাই কারো কাছে জেনেই ঘরে ঢুকেছে। তখন চিন্তা আরো বেড়ে গেল, এমনিতেই প্রচন্ড গরম, ডরভয় মিলে নয়ন প্রচুর ঘামতে লাগলো। শরীর ভিজে গেছে, লুঙ্গিটাও ভিজে গেছে। একবার ভাবছে বেরিয়ে আসি যা হবার হবে, কিন্তু নূরভাইয়ের হাতে দেড়ফিট কলম দেখে সাহস পাচ্ছি না। কারণ ওটা দিয়ে বারি খেলে অনেক জ্বলবে, তারচেয়ে বরং এখানেই থাকি।

অনেকক্ষণ পরে কালাম ভাই জোর করে নূর ভাইকে বাহিরে নিয়ে যায়, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া করে নয়ন বেড়ে দাঁড়িয়ে দেখছে ঘর ফাঁকা। নয়ন ধানের বস্তাটা বেড় থেকে নামিয়ে মাচার দরজার কাছে রেখে মাচা থেকে নেমে দরজার ফাঁক দিয়ে উঠোন খালি দেখে চুপিচুপি ঘর থেকে বেরিয়ে দৌড়ে কালাম ভাইয়ের ঘরের কোনায় দাড়িয়ে শ্বাস নিচ্ছে। তাছাড়া ঘরের ফাঁক দিয়ে ঠান্ডা বাতাস আসছে তাই সেখানেই দাঁড়িয়ে শরীর ঠান্ডা করছে, আহ! প্রায় দুই ঘন্টা গরমের ভিতর, এখন অনেক শান্তি পাচ্ছে শরীরে। কিন্তু মনে টাকা, বস্তা কেমনে বের করবো, নূরভাই কই গেল এসব ভাবতে ভাবতে নূর ভাইয়ের ঘরে উকি দিয়ে দেখি সে নেই, বাহির গিয়ে দেখি দূরে মন্জু, ওকে ডেকে আনলাম, মন্জু ব্যাপারটা বুঝে ভাগছিল, নূর ভাই কই গেছে, কালম ভাইয়ের দোকানে। কথাটা শুনেই নয়ন এক দৌড়ে ঘরে ঢুকে মাচার দরজার কাছ থেকে ধানের বস্তা নিয়ে সোজা কালাম ভাইয়ের ঘরে রেখে দরজা বেঁধে চলে গেল কফিল ভাইদের বাড়ির দিকে।

সিনেমা আমাকে দুই ঘন্টা গরমের যে সাজা দিয়েছে তা ভুলতে পারি না আজও। মাঝেমধ্যে মনে হলে একা একাই হেসে উঠি। ধান বেচে সিনেমা আহ গরম! বিশাল শাস্তি হিসেবে।