বুধবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৫

ব্যর্থ এই জীবন....!

M/নীড়হীন পাখিকে দেখেছো কখনো কোন সন্ধায় রোদ বৃষ্টি বা শীতের কোন রাতে..... আপনজন হারা নিঃস্ব। সারা দিনের ছুটাছুটি শেষে সন্ধায় একাকিত্ব জীবনের আশা নিরাশায় কোন গাছের ডালে স্তব্ধ পাখিটি যেমন হতাশায় ডুবে ডুবে ফেলে আসা জীবনের স্মৃতিতে বিভোর থাকে-
তোমাকে হারিয়ে অবস্থা সেই নিঃস্ব পাখির মতোই.... গন্তব্যহীন অনিশ্চিত ভবিষ্যতের হতাশায় একাকী মনের হাজারো প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুঁজতে অামি আজ বড়ই ক্লান্ত.....!
তোমার মিথ্যে ভালবাসার বিষে আমার অঙ্গ জড়জড়িত, মনের ভিতর হাজারো ক্ষত যা আমাকে নিত্য কষ্টের চুড়ায় নিয়ে যায়.... কি যে অসহ্য....  কতটা যন্ত্রণার তা তুমি বুঝতে যদি আমাকে ভালোবাসতে......!

M/তুমি তো আমার ছিলেনা কখনো.... মিথ্যে বিষ ছলনায় হৃদয় করেছো ক্ষত...!  তবুও এতো বছর পর তোমার ভালোবাসা আমাকে কাঁদায়, পুঁড়ায়- আমাকে কষ্টের সাগরে ভাসায়.... আমি আজ ব্যর্থ জীবনের কাছে পরাজিত....!!?

M/কেমনে ভুলেছ সবি..... এতো ভালোবাসা এতো স্বপ্ন....
দু'জনে সাজাবো ঘর....
যা আজ শূণ্য.......!
জানো তুমি চলে যাওয়ার পর
কত রাত ভোর করেছি তোমাকে ভেবে ভেবে....
দু'চোখের লোনা জলে বালিশ ভিজিয়েছি কত.....
শত কষ্ট হাজারো যন্ত্রণার মাঝেও অনুভব করেছি
তোমার প্রতিটি স্পর্শ ছিল অমৃত....
মুহুর্তেই কান্না ভুলে আকাশের চাঁদটাকে বলেছি
হে চাঁদ তুমি সুন্দর নও নেই তোমার এত আলো
এই অন্ধকারময় হৃদয় আকাশে প্রিয়ার মুখটি উজ্জল সূর্য
তোমাকে ম্লান করে মন আকাশে ছড়ায় আলো....।

M/তোমাকে হারিয়েছি হারায়নি তোমার আমার মধুর স্মৃতিগুলো।
তুমি নিজেকে বদলে নিয়েছ অামি পারিনি বদলাতে নিজেকে- আমার অতৃপ্ত মনকে.... তোমার জন্য অন্তর কাঁদে অবিরত ।
তুমি সুখটাকে করেছ অাপন সাজিয়েছ অন্যের ঘর -
আমি দুঃখি আজ নিঃস্ব.....
ঘরের মাঝে ঘর নেই-
মনের মাঝে মন-
ব্যর্থ এ জীবন.......

বুধবার, ৫ আগস্ট, ২০১৫

তবুও চোখ জুড়ে খেলাকরে তপ্ত অশ্রুবিন্দু-'এ জীবনে সুখ কোথায়'?

বুকের মধ্যে যে ব্যথা লুকিয়ে রেখেছি তা কাউকে বলা হয়নি। মাসের পর মাস যে যন্ত্রণা আমার পাঁজর জুড়ে অসহনীয় কষ্টের জন্ম দিয়েছে তা বরণ করেছি ঝিনুকের বুকে মুক্তা বিন্দুর মতোই। ভাবি অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয় অতীত শেষ রাতের স্বপ্ন, রঙহীন আল্পনা। তার পর দিন-ক্ষণ-মাস কাটে। তবুও আমি প্রভাবিত হই না।

চলতে গিয়ে পায়ের তলায় কাঁটা বিঁধে, তবুও কষ্ট হয় না। রাতের শেষ প্রহরে, বুকের মধ্যে যখন ব্যথা হয়, তখন যেন আর সইতে পারি না। বৈরাগী মন কাঁদে। তারই মাঝে পদ্মাসনে বসে ধ্যানমগ্ন মিনতী। মনে হয় সীমাহীনভাবে একা। কিন্তু এ নিয়ে ভাবা হয়নি কখনো 'এ জগতে সুখ কোথায়'?

জানি আমার পথচলা একদিন মিলিয়ে যাবে অন্ধকারের গলিতে। প্রেয়সী হারানোর নির্মম কষাঘাতে দুমড়ে মুচড়ে যাবে বুকের প্রতিটি পাঁজর। তবুও কী এক অনিশ্চিত ভয়ে আমি স্থির হই। জানি এ পৃথিবীতে হারাবার তেমন কিছুই নেই আমার। তবুও কী এক অবাস্তব স্বপ্ন আমাকে বেঁচে থাকার প্রেরণা জাগায়।

 দুর থেকে দেখি মিনতীর বুকের মধ্যে অনেকগুলো কষ্টের চারা জন্ম নিয়েছে। মিনতী প্রতি সকালে সেগুলোর পরিচর্যা করে। কোলজুড়ে থাকা সন্তানের মতো আগলে রাখে।
তবুও আমার চোখ জুড়ে খেলা করে তপ্ত অশ্রুবিন্দু'!! 'এ জীবনে সুখ কোথায়'?
___________________অতৃপ্ত নয়ন

বৃহস্পতিবার, ২৮ মে, ২০১৫

যেদিন আমায় খুঁজবে-বুঝবে সেদিন বুঝবে!!

অভিশাপ!
কাজী নজরুল ইসলাম।

__যেদিন আমি হারিয়ে যাবো
বুঝবে সেদিন বুঝবে!
অস্তপারের সন্ধাতারায় আমার খবর পৌছবে-
বুঝবে সেদিন বুঝবে!

ছবি আমার বুকে বেধে-
পাগল হয়ে কেদে কেদে,
ফিরবে মরু কানন গিরি-
সাগর আকাশ বাতাস চিরি-
যেদিন আমায় খুঁজবে-
বুঝবে সেদিন বুঝবে!

স্বপন ভেঙে নিশুর রাতে-
জাগবে হঠাৎ চমকে-
কাহার যেন চেনা- ছোওয়ায়,
উঠবে ও'বুক ছমকে-
জাগবে হঠাৎ চমকে!

ভাববে বুঝি আমিই এসে-
বসুম বুকের কূলটি ঘেষে,
ধরতে গিয়ে দেখবে যখন-
শূন্য শয্যা! মিথ্যে স্বপন!
বেদনাতে চোখ বুজবে-
বুঝবে সেদিন বুঝবে!

গাইতে বসে কণ্ঠ ছিড়ে-
আসবে যখন কান্না,
বলবে সবাই সেই যে পথিক-
তার শেখানো গান না?
তখন আসবে ভেঙে কান্না!
পড়বে মনে আমার সোহাগ,
কণ্ঠে তোমার কাদবে বেহাগ,
পড়বে মনে অনেক ফাঁকি-
অশ্রু হারা কঠিন আঁখি-
ঘন ঘন মুছবে-
বুঝবে সেদিন বুঝবে!

আবার যেদিন শিউলি ফুটে-
ভরবে তোমার অঙ্গন,
তুলতে সে ফুল,গাথতে মালা-
কাপবে তোমার কঙ্কণ-
কাদবে খুকীর অঙ্গন!
শিউলি ঢাকা মোর সমাধি,
পড়বে মনে, উঠবে কাদি!
বুকের মালা করলে জ্বালা
চোখের জলে সেদিন বালা-
মুখের হাসি ঘুচবে-
বুঝবে সেদিন বুঝবে!!

____________অতৃপ্ত নয়ন

বুধবার, ২৭ মে, ২০১৫

বধু মিটিল না সাধ ভালবাসিয়া তোমায়...

বধু মিটিল না সাধ ভালবাসিয়া তোমায়
তাই আবার বাসিতে ভালো আসিবো ধরায়
আবার বিরহে তব কাদিব
আবার প্রণয় ডোরে বাধিব
বধি নিমেষের তরে আঁখি দুটি ভরে
তোমায় দেখিয়া ঝড়ে যাব অবেলায়।

যে গোধূলি লগ্নে নববধূ হয় নারী
সেই গোধূলি লগ্নে বধু দিলে আমারে  গোরায়া শাড়ী

বধু আমার বিরহ তব গানে
সুর হয়ে কাদে প্রানে প্রানে
আমি নিজে নাহি ধরা দিয়ে
সকলের প্রেম নিয়ে দিমু তব পা'য়ে।।

বধু মিটিল না সাধ ভালবাসিয়া তোমায়...

বধু মিটিল না সাধ
ভালবাসিয়া তোমায়
তাই আবার বাসিতে ভালো
আসিবো ধরায়
আবার বিরহে তব কাদিব
আবার প্রণয় ডোরে বাধিব
বধি নিমেষের তরে
আঁখি দুটি ভরে
তোমায় দেখিয়া
ঝড়ে যাব অবেলায়।

যে গোধূলি লগ্নে
নববধূ হয় নারী
সেই গোধূলি লগ্নে
বধু দিলে আমারে 
গোরায়া শাড়ী

বধু আমার বিরহ তব গানে
সুর হয়ে কাদে প্রানে প্রানে
আমি নিজে নাহি ধরা দিয়ে
সকলের প্রেম নিয়ে
দিমু তব পা'য়ে।।

ফিরে এসো সমুদ্রের ধারে
ফিরে এসো প্রান্তরের পথে
যেখানে ট্রেন এসে থামে
আম নিম ঝাউয়ের জগতে
ফিরে এসো;
একদিন নীল ডিম করেছ বুনন
আজও তারা শিশিরের নীরব;
পাখির ঝর্না হয়ে কবে-
আমারে করিবে অনুভব।

নজরুল + জীবনানন্দদাস
__________অতৃপ্ত নয়ন

সোমবার, ২৫ মে, ২০১৫

আকাশের নীল দেখেছো কখনো,কতোটা গভীর আর কতোটা কষ্টের...

মিথিলা, আকাশের নিল দেখেছো কখনো-
কতটা গভীর আর কতটা কষ্টের,,,,,
ঐ নীলের মধ্যেই-
লুকিয়ে আছে ভালবাসাতে না পারার কষ্ট..
ভালবেসে কাঁদতে না পারার কষ্ট,মিথিলা।
আছ্ছা মিথিলা, সমুদ্রের নীল কখনো দেখেছ তুমি?
কতো গভীর সে নিল,
কতো কষ্টের সে বিশালতা....
ঐ বিশালতার ভালবাসায় বাধতে না পারার কষ্ট,
ভালবেসে ভাসিয়ে নিয়ে যেতে না পারার কষ্ট।
ঐ বিশালতায় ধারন করে জলজ সব আবেগ
সন্তর্পণে হয়তো প্রেমও...
মিথিলা, দেখো ঐ যে লাল গোলাপ
ঐতো, ওখানে সবুজের উপর টুকটুকে কুড়ি-
ওর রংটা দেখেছো?
টুকটুকে লাল আমার একদম ভালো লাগে না, অনন্ত।
ওটা লাল নয় মিথিলা, ওটা আগুন
ওটা রক্তরাঙা বারুদ।

'মেহেদি পাতা' মিথিলার লেখা সেই বিখ্যাত বিরহের কবিতা

অনন্ত, মেহেদি পাতা দেখেছ নিশ্চয়?
উপরে সবুজ, ভেতরে রক্তাক্ত ক্ষত-বিক্ষত-
নিজেকে আজকাল বড় বেশি মেহদি পাতার মতো,
মনে হয় কেন?

উপরে আমি অথচ ভিতরে কষ্টের যন্ত্রণার-
এমন সব বড় বড় গর্ত যে-
তার সামনে দাড়াতে নিজেরই  ভয় হয়,অনন্ত।
তুমি কেমন আছো?
বিরক্ত হছ্ছ না তো?

ভালবাসা যে মানুষকে অসহায়ও করে তুলতে পারে-
সেদিন তোমায় দেখার আগ পর্যন্ত-
আমার জানা ছিল না।
তোমার উদ্দাম ভালবাসার দূতী-
জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ছারখার করে ফেলেছে আমার
ভিতর-
আমার বাহির-
আমার হাতে গড়া আমার পৃথিবী।

অনন্ত, যেই মিথিলা সুখী হবে বলে-
ভালবাসার পূর্ণ চন্দ্র গিলে খেয়ে-
ভেজা মেঘের মতো উড়তে উড়তে চলে গেল,
আজ অন্য শূন্য, অনন্তকে আরো শূন্য করে দিয়ে-
তার মুখে এসব কথা মানায় না,
আমি জানি-
কিন্তু আমি আর এভাবে এমন করে পারছি না
আমার চারিদিকের দেয়াল জুড়ে থই থই করে-
আমার স্বপ্ন খুনের রক্ত।

উদাস দুপুরে বাতাসে শিষ দেয়
তোমার সেই ভালবাসা
পায়ে পায়ে ঘুরে ফেরে ছায়ার মতোন-
তোমার স্মৃতি।
আমি আগ্লাতেও পারি না,
আমি ফেলতেও পারি না।
সুখী হতে চেয়ে এখন দাড়িয়ে আমি-
একলা আমি-
কষ্টের তুষার পাহাড়ে।

অনন্ত তোমার সামনে দাড়ানোর কোন-
যোগ্যতাই আজ আর আমার অবশিষ্ট নেই।
তবুও,
তবুও তুমি একদিন বলেছিলে-
ভেজা মেঘের মতো-
অবুঝ আকাশে উড়তে উড়তে-
জীবনের সুতয় যদি টান পড়ে কখনো?
চলে এসো, চলে এসো-
বুক পেতে দেব-আকাশ বানাবো
আর হাসনা হেনা ফুটাবো।

সুতয় আমার টান পরছে অনন্ত,
তাই আজ আমার সবকিছু,
আমার এক রুখা জেদ,
তুমি হীনা সুখী অনেক স্বপ্ন!
সব, সবকিছু জলান্জলী দিয়ে-
তোমার সামনে আমি নতজানু-
আমায় তোমাকে আর একবার ভিক্ষে দাও।
কথা দিছ্ছি- তোমার অমর্যাদা হবে না কোন দিন।

অনন্ত, আমি জানি-
এখন তুমি একলা পাষাণ কষ্ট নিয়ে ঘুরে বেড়াও,
প্রচন্ড এক অভিমানে-
ক্ষনে ক্ষনে গর্জে উঠে আগ্নিগিরি।
কেউ জানে না,  আমি জানি-
কেন তোমার মনের মাঝে মন থাকে না,
ঘরের মাঝে ঘর থাকে না,
উঠোন জোরার উপুর কলস-
তুলসি তলের ঝড়া পাতা,
কুয়ো তলার শূন্য বালতি-
বাসন-কোসন, পূর্ণিমা-অমাবর্ষা,
একলা ঘরে এই অনন্ত-
একা শোয়ে থাকা।

কেউ জানে না, আমি জানি-
কেন তুমি এমন করে কষ্ট পেলে-
সব হারিয়ে বুকের তলের চিতানলে-
কেন পুড়ছো?
কেন তুমি নষ্ট হলে?
কার বিহনে চুপি চুপি, ধীরে ধীরে-
কেউ জানে না, আমি জানি-
আমিই জানি।

আগামি শনিবার ভোরের ট্রেনে তোমার
কাছে আসছি।
অনন্ত, আমায় আর কিছু না দাও-
তোমাকে ভালো করে দেখার সুযোগ দিও-!
ভালো থেকো!
তোমারি হারিয়ে যাওয়া মিথিলা।

♥♥♥__________অতৃপ্ত নয়ন

মঙ্গলবার, ১৯ মে, ২০১৫

ও নয়ন, তোমার বুকে এত দুঃখ কেন....

ও নয়ন___তোমার মনে এত দুঃখ কেন-?
কখনো বা ঝড় তোল-কখনো অশান্ত ঢেউ-
তোমার মনের খবর জানলো না কেউ।।
শুনেছি তুমি না কি বড়ই উদার-
তাই তো তোমার কাছে প্রশ্ন আমার।।
তোমার লোনা জলে,কষ্ট যে মুছে ফেলে-
নিজের দুঃখ কেন নাওনা মুছে-!
আমারও মনে আছে কষ্টের ঢেউ-
আমার মনের কথা জানলো না কেউ!!
ও নয়ন___তোমার মনে এত কষ্ট কেন-!
বেসেছি ভাল-যারে আপন করে-
সেই তো দিল ব্যাথা সই কি করে-!!
কষ্টের ধাবানলে জ্বলে পুড়ে তিলে তিলে-
ছাই হলো এ হৃদয় বুঝলো না কেউ-!
তবুও তাকেই ভাল-বেসে যাবো-
মানবো না হার কবু মরন এলেও-!!
_______________অতৃপ্ত নয়ন

মিনতি ছিলো তার নাম-!!

আমাদের স্কুলে অষ্টম পাশ করে -
নবম শ্রেণীর তঅন ছাত্র ছিলামম।
সেই ক্লাশের একটি মেয়ে-বাসতো আমায় ভাল-
মিনতি ছিলো তার নাম-
মিনতি ছিলো তার নাম।।

বাবা মা'র চাপে পড়ে একদিন এসে বলে-
চলো যাই দুজনে ছাড়ি বাড়ি-
পথ চেয়ে দিন গোনে আমার সে মিনতি,
অভিমানে পরলো বিয়ের শাড়ী!!
মিনতি_____ও আমার মিনতি!!

পৃথিবীর কাছে আমি আজ বড় অসহায়,
কেউ তো রাখেনা আর আমার খবর-!
বিধাতার কাছে করি একটাই মিনতি-
শান্তিতে কাপে যেন তার জীবন।।
মিনতি_______ও আমার মিনতি।
মিনতি_______ও আমার মিনতি।।

_____________অতৃপ্ত নয়ন।

সোমবার, ১৮ মে, ২০১৫

কোথাও মেলেনি, লেম্পপোষ্টের ন্যায় নিরব স্থিরতা....!

♥রাত হলেই রোজ আমি-ঝলসানো স্বপ্নের গন্ধ পাই-!
শোন্তে পাই অজানা অচেনা মানবের কান্নার সুর-
কোথাও শান্তি মেলেনি_________
মেলেনি লেম্প পোষ্টের ন্যয় স্থিরতা-!

অজনা এ কষ্টের কান্নার উৎস কোথায়-
কেন্দ্র কোথায় আমারই মতো কেউ জানে না-!
তবুও ফিরে আসা হলো না_____
ফিরে আসা হলো না ঘরহীন ঘরে-!
উনুনের ধোয়ার মতই গুরেছি শালিকের বেশে-
কোথাও মেলেনি আমার বিষিত মনের শান্তি-!!

কেন এমন হলো আমার-পুষ্প বিরাগী মন-
কেন পূজারী হলো খরা মানুষীর-
কি এমন প্রাপ্তি এ শালিকের জীবনে-?
তবুও জেগে রয় সরব স্বপ্নের খোঁজে-
জেগে রয়-আমার অতৃপ্ত নয়ন!!

কখনো দেবদারু কখনো হিজলের তলে-
কেটেছে কত কাল_____!
সময় করে কেউ বলেনি-"এসো মোর ঘুমো ঘোরে-!
এসো পথিক আগামীর স্বপ্নের ঘরে-!
তাবুও ঝলসানো স্বপ্নের সুরভী হারায় নিই-
ঘরহীন ঘরে সে পরাজয় মানে নিই-!!

_________________অতৃপ্ত নয়ন 

ভালোবাসার হৃদপিণ্ড

প্রিয় মানুষের দেয়া কোন অপ্রত্যাশিত আঘাতে-
 ভালবাসার হৃদপিন্ড যখন এফোঁড়-ওফোঁড় হয়ে যায়,
নির্বাক কোন দুপুরে ডাহুকীর গলাফাটা চিৎকার-
সর পড়া পুকুরের পানি যেন  একটু কেপে উঠে।

থেকে থেকে গুমোটি বর্ষণ হয় আমার মনে-
কষ্টের তিক্ততার সেই বৃঁষ্টিতে -
প্লাবিত হয় আমার সুপ্ত ভালবাসা।

স্তব্ধীভূত আমার মধ্যে কেউ যেন-
হঠাৎ ক্ষেপে উঠে,
গলাফাটা নিস্তব্ধ শব্দে-
মুহুর্তেই হিংস্র হয়ে উঠে।

ভালবাসা নষ্ট হওয়ার-কষ্ট নিয়ে বেচে থাকা-
এ যেন আদি ও অকৃত্রিম ধ্বংস স্তুপের উপর-
নিজেকে সপে দিয়ে কষ্টের প্রহর গোনা।

________________অতৃপ্ত নয়ন



মধুর রহস্যময় সৌন্দর্য তোমার

যেদিন সে প্রথম দেখিনু-
      সে তখন প্রথম যৌবন।
প্রথম জীবনপথে বাহিরিয়া এ জগতে
     কেমনে বাঁধিয়া পেল নয়নে নয়ন।।

তখন উষার আধো আলো
     পড়েছিল মুখে দু-জনার।
তখন কে জানে কারে,কে জানিত আপনারে।
     কে জানিত সংসারেরর বিচিত্র ব্যাপার।

কে জানিত শ্রান্তি তৃপ্তি ভয়
      কে জানিত নৈরাশ্য যাতন!
কে জানিত শুধু ছায়া যৌবনের মোহমায়া,
       আপনার হৃদয়ের সহস্র ছলনা।

আঁখি মেলি যারে ভালো লাগে,
       তাহারেই ভালো বলে জানি।
সব প্রেম,প্রেম নয়,  ছিল- না তো সে সংশয়,
    যে আমারে কাছে টানে তারে কাছে টানি।

অনন্ত বাসরসুখ যেন
        নিত্যহাসি প্রকৃতি বধূর-
পুষ্প যেন চিরপ্রান, পাখির অশ্রান্ত গান,
বিশ্ব করেছিল ভান অনন্ত মধুর!

তাই সেই আশার উল্লাসে
  মুখ তুলে চেয়েছিনু মুখে।
সুধাপাত্র লয়ে হাতে কিরণকিরীট মাথে,
তরুন দেবতাসম দাঁড়ানো সম্মুখে।

পরিপূর্ণ পূর্ণিমারাত মাঝে
  উর্ধ্বমুখে চকোর যেমন
আকাশের ধারে যায়,ছিড়িয়া দেখিতে চায়
অপাধ-স্বপন ছাওয়া জ্যোৎস্না-আবরণ-

তেমনি সভয়ে প্রান মোর
     তুলিতে যাইত কত বার
একান্ত নিকটে গিয়ে সমস্ত হৃদয় দিয়ে
    মধুর রহস্যময় সৌন্দর্য তোমার।

তোমার মনে পাইনি কখনো ঠাই...মিনতি...

এ কেমন জীবনের গতি-
যে জীবনের কোন মুহুর্ত কাটে না
 বিষন্যতা ছাড়া...!
আমার ভালবাসা.....
 আমার স্বপ্নের পৃথিবী আজ বিতৃষ্ণায় ভরা...!
 আমি ভাবতে পারিনা নিজেকে সুখি 
কোন মুহুর্তে....!
সব কিছুর মূলে কি শুধুই তুমি...?
 সব কিছুই কি তোমাকে গিরে...? 
এর উত্তরও তো জানা নেই আমার....! 
আমার চারিদিকে যেখানে তাকাই 
শুধুই অন্ধকারময় এক বিষন্যতার ছায়া....!
 এ কেমন জীবন আমার......মিনতি...?
কত চঞ্চলতায় ভরা ছিল-
আমার  নিজস্ব পৃথিবী.....
অথচ আজ জড়সড়ভাব 
কোন গতি নেই....
 মনে ভালবাসা হারানোর আর্তনাত....
তোমায় দোষ আর দেইনা এখন-
নিজেকেই দোষি...। 
আমারি তো দোষ....
তুমিতো শুধু প্রতারনাই করেছ 
আমিই দোষি....
কেন এতো বিস্বাস এতো ভক্তি
 এতো উল্লাসে মেতেছি 
তোমার সামান্য মিষ্টি হাঁসি দেখে...
 বুঝতে পারিনি কেন  
তোমার হাঁসিতে লোকিয়ে ছিল-মিথ্যে
ছিল- আমাকে কাদানোর প্রয়াস....!

আজ বুঝে গেছি.... মিনতি 
 তোমার মনে পাইনি কখনো ঠাই....!
তুমি সুখে থেকো ভালোই থেকো
বিধাতার দরবারে এই.... মিনতি।
____________________অতৃপ্ত নয়ন।

রবিবার, ১৭ মে, ২০১৫

সে যেন আমার পাশে....

সে যেন আমার পাশে- আজও বসে আছে
চলে গেছে দিন তবু- আলো রয়ে গেছে
সে যেন আমার পাশে-আজও বসে আছে

ভেঙে যাওয়া____পাখির বাসার মতো মন,
কিছু নেই তার বুকে আজ তো এখন।
ডানা মেলে ফিরে কেন।।
আসা তার কাছে!

যেখানে আলো ছিল- সেখানে আধার
নয়নের জল হয়ে ফিরে এলো সে আবার।।

কোন তারা নেই আজ আকাশের গায়
আলেয়ার আলো এসে আলো দিয়ে যায়।
জোনাকিরা কালো রাত।।
ভরে দিয়ে গেছে।
সে যেন আমার পাসে আজও বসে আছে।।

__গানটি ভাল লাগে তাই, রেখে দিলাম... নয়ন


তোমার জন্যই আজও অতৃপ্ত নয়ন...!

অতৃপ্ত নয়ন আজ তোমারই কারনে-!
তুমি ছলনাই করেছ-
 আমি বুঝতে পারিনি,বড় বিশ্বাস ছিল-
তুমি নিষ্ঠুর, সবি ভেঙ্গেছ-!

আমি আজ অসহায় এক পাখি হয়ে-
 ঘুরছি সীমাহীন অতৃপ্ত ভাসনা নয়নে ভরে-!
 মেহেদি পাতা দেখেছ কখনো? 
উপরে সবুজ ভেতরে রক্তাক্ত ক্ষত-বিক্ষত! 

নিজেকে আজ বড্ড মেহেদি পাতা মনে হয়!
 মিনতি কেমন আছো? 
বড় দেখতে ইছ্ছে করে তোমাকে-!
মনের ভিতরে কি এক অজনা কষ্ট বুঝিনা-
ভালবাসা এমনই হয় বুঝি? 

কতদিন হয় গেল-
তুমি তো সুখেই ঘর করছো-
আমার কেন নিজেকে মনে হয় পরাজিত?  
কেন ভুলতে পারিনা তোমাকে? 

তুমিতো বড়ই প্রতারক ছিলে-
তবু কেন পারি না-
 ঘৃনায়  তোমায় ভুলে থাকতে? 
তোমার মুখটি দু'চোখ থেকে সরাতে ?
কেন পারি না তোমার স্মৃতিগ্রন্থ মুছতে 
আমার অতৃপ্ত হৃদয়ের কাব্য হতে...?
তবে কি আজও ভালোবাসি তোমাকে...!

হাজারো কষ্ট আর প্রশ্নে ভরা আমার ভুবন 
 তোমার জন্যই আজও অতৃপ্ত নয়ন-!!?

_______________অতৃপ্ত নয়ন 

অতৃপ্ত নয়নে স্বাগতম

স্বাগতম রইল সকলের প্রতি। আমার অনলাইনের এই ব্লগ সিস্টেম এ একেবারেই নতুন। অনেক কষ্টেই বলতে গেলে এই ব্লগটি তৈরি করতে পারলাম।সেজন্য প্রথমে গুগলকে অভিনন্দন দিতেই হয় কারন গুগল এর মাধ্যমেই অতৃপ্ত নয়ন তৈরি করতে পেরেছি।
আমার কাউকে কষ্ট দেয়া উদ্দেশ্য নয়।তবুও কেউ আমার লেখায় কষ্ট পেয়ে থাকলে আগেই ক্ষমা চেয়ে নিছ্ছি।
অতৃপ্ত নয়ন একান্তই ব্যক্তিগত ইছ্ছা,আকাঙ্খা,পাওয়া না পাওয়া বিষয়ের প্রকাশ।আমি অতি সাধারন একজন মানুষ।