বুধবার, ৩১ মে, ২০১৭

কবিই কবির হবে বন্ধু

২০. ৩১ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৩৬১

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ভাল লাগল বন্ধুর হওয়ার জন্য আবেগী কবিতাটি পাঠে । 
এক অদ্ভুত আবেগী মোহে তাড়িত হয়ে 

কবিতা লিখে সবাই; অথচ ভুলেও 

আবেগের মুল কারণ করেনা কেও উচ্চারণ, 

পাঠককেই তা করে নিতে হয় অন্বেষন ।


কবি নিজেকে আবৃত রেখে 

অন্যের ভাবাবেগ দেখায়, কতোটা উদার হলে 

মানুষের চোখে চোখে নেচে ওঠা 

আঠালো অক্ষরের ক্ষত-নিরন্তর চোখাচোখি করে, 

তবে কবিতার মহাত্বতা কেউ কেউ ঠিকই জেনে যায় 

এবং কবিতার ভাব জেনে গেলে 

হয়তো অপাঙ্গে কেউ নিজকেই খুঁজে আবার, 

দেখে নিতে কবির নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা কতোটা অটুট এখনো। 

সংজ্ঞাহীন তুলনামূলক কবিতার কোন অবয়ব থাকে না,

তবে কবিতার ভেতরেও তার ছবি খুজে পাওয়া যায়,

তবে এটা ঠিক এক গাদা ব্যাখ্যাহীন স্বভাব নিয়ে

কবিদের করতে হয় নিরন্তর ছুটাছুটি। এখানে 

সামুর পাতায় কবিতা যা দেখি তাতে 

দেখতে পাই এখানে এসেছেন কবিতা নিয়ে সবাই,

পকেটে ভরে এনেছেন কিছু না কিছু, কেও নিয়ে 

এসেছেন জোনাকির গুঞ্জন, 

কারো বা পকেটে আছে ভাবাবেগ তৈরী 

কিংবা হত্যার বৈধ প্রত্যয়ন। 

কবিতায় কারো খুলে যায় অবারিত শৈশব, 

কিংবা অজান্তেই ফিরে যায় কোন এক ভুল কৈশোরে,

তারুণ্যের হৈ চৈ চোখে এসে লাগে সঙ্গী খোঁজে। 

কেও কেও আছেন নীজের কথা ভুলে 

নির্দ্বিধায় ঢুব দেন অন্য কারো রসালো জলে, 

আমার মত অকবিও কবিতার ভাবার্থ খুঁজে 

কাটায় সারাবেলা । 

আর যারা রয়েছেন কবিতার সুষ্ঠু রস 

আস্বাদন করেন এবং কবিতার মান বুজে 

তার ঝাঁপি খুলে চমকে দিয়ে যান কবি ও পাঠককে

অভুতপুর্ব দক্ষতায় মানুষের অনুভুতি অনুরনিত হয় তাতে। 

তবে যে করেই হোক সময়ের প্রবাহে হামাগুরি দিতে দিতে দৃপ্ত পদক্ষেপে কবিতার ঝাঁপি নিয়ে 

কবি যখন পুণরায় উঠে আসেন মঞ্চে, 

তখন একযোগে অবাক হয়ে সবাই দেখেন 

কোথায় যেন কবির বুকে রয়ে গেছে 

বিশাল ক্ষত চিহ্র একটি । তবে শান্তনা একটাই 

কবি আর পড়বেনা কোন গুঞ্জনের কবলে, 

কবির পরিচয় শুধু কবিই, কবিই কবির বন্ধু হবে। 

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন