মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৭

আগের সেই আমি

যখন নীরব, নিঝুম রাত্রির গভীরতা বাড়ে ধীরেধীরে,
নিকষকালো আঁধারের চাদরে ঢাকা আমার চারিদিক;
অন্ধকার ছাপিয়ে একটা দুটি তারা জ্বলে ঐ আকাশে,
ঝলসান হৃদয়ের গন্ধে মাতাল ছোটে চলি দিক্বিদিক।

মাটির বুকচেরা রোদ্দুর, ডাহুকীর চিৎকারে কাঁপে বুক,
বিরহতাপে পাথর অন্তর ধূপের ধোঁয়ার মত উঁড়ছে মন;
ঘুরেছি দ্বারেদ্বারে সন্ধ্যা সাজে কোথাও মিলেনি আশ্রয়,
মিলেনি শান্তি পারিনি হতে ল্যাম্পপোষ্টের মতো স্থির!

অশাসনীয় হৃদয়ের অস্বস্তিকর সময় যাচ্ছে কেটে দিনযামিনী,
মহাপ্রলয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়ানো আমার ভবঘুরে  জীবনব্যাপী;
নিঃসঙ্গতা আর একাকীত্বে গড়া আমি ধূমকেতু নক্ষত্রপতি,
জ্বলছি শূন্যময় রাতের আকাশে সহস্রাধিক বছর নীরবচারী।

কত আকুতি, মিনতি ভরা নয়নে তৃষ্ণার্ত নিবেদন কতজনে,
কেউ বোঝেনি, বলেনি পথিক এসো স্বপ্নে মোর ঘুমো-ঘরে;
যুগের পথে চলেছি একাই তবুও দিন যায় রাত্রি আসে-ফিরে,
নির্ঘুম সকাল হইনা অবাক নিজ দেখে যেমনি ছিলাম আগে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন