_____আজ সকালে
আজ সকালে হবে কি সেই সূর্য দেখা
অনেক আশা স্বপ্ন সে যে মন বাসনা।
ইচ্ছে সকল হচ্ছে জড়ো তাকে ঘিরেই
আসবে কি সে আলোর মতো সুনয়না।
চন্দ্র হয়ে মনের ঘরে যে রইছে গাঁথা
সূর্যের মতো তাপ ছড়ায় সে অপরূপা।
আমার যতো গল্প কথা তাকে নিয়েই
মনের রাজ্যে রাণী সে যে আমি রাজা।
দেখে তারে অন্ধকারেও পাই যে দিশা
স্বর্গ যেন আমার কাছে তার ভালোবাসা।
অমৃত সুখ লাগে যেনো তার ছোঁয়াতেই
বিষাদে ভরে সুখের ভুবন তাকে ছাড়া।
নিশিত জেগে স্বপ্ন সাজাই ঘরেই একা
প্রভাত সুরুজ দেখবো নিয়ে প্রিয়তমা।
শিশির ভেজা ঘাস পাড়িব খালি পায়েই
স্বপন কথা বলে তারে ঘুচবে নীরবতা।
--------------------------------------------------------
____অন্তরে অসুখ
যে মুখে আমি দেখি অনন্ত পূর্ণিমা,
হাসিতে ভরে ওঠে আমার দুকূল ;
ওচোখে কেবল প্রেম ভালোবাসা,
নিত্য দেখেছি তাতে ছিল না ভুল।
হাসির শব্দে বয়ে যেতো ঝর্ণাধারা,
মুখের মধু-শব্দমালায় ছড়াতে মায়া;
ভেসে ওঠতো চাঁদ ওই বাঁকা ঠোটে,
আমার মন বাগানের সুবাসিত ফুল।
আজ তোমার মন আকাশ অশান্ত,
সর্বত্রই যেনো ঘন মেঘ আর ঝঞ্ঝা;
শ্রাবণ হয়ে ভাসাবে হৃদয়ের প্রান্ত,
দেখে কেমনে রবে শান্ত মন মোর।
আজ স্তব্ধ চারিধার অতৃপ্ত ভাবনা,
কেনো আজ ও'মনে এমন বিষণ্ণতা;
কেন'বা তোমার বুকে এমন দাহন,
কিসের এত কষ্টে ভরা হৃদয় কোণ!
বিশ্বাস কর, তোমার চিন্তিত মুখ,
আকাশের মতো উদার চোখ দুটি;
যখন দেখি স্থির করুণ সে চাহনি,
বিস্মিত করে তুলে অন্তরে অসুখ।
--------------------------------------------------------------
_______এ বড় কষ্ট সাধন
মনের অমৃত রূপ ভালোবাসা স্বর্গীয় প্রেমে,
সুখস্বপ্ন ছায়া রূপেই বিচরণ মন থেকে মনে।
এ'বড় কাঙ্ক্ষিত পাওয়া জোরে কভু না মিলে;
আত্মার আত্মীয় পাবে কেবলই ভালোবেসে।
ভালোবাসা কারো আশা কারো বা রয় দুরাশা,
কারো স্বপ্ন কারো বা স্বপ্ন ভাঙার কঠিন খেলা।
কষ্টের ঢেউ চেপে বুকে হাসি মুখেই পথচলা;
শ্রাবণ চোখে প্রেম তুলিতে স্বপ্নের ছবি আঁকা।
ভালোবাসা এক অদৃশ্য বন্ধন হৃদয়ের সাথে,
শত কষ্ট শত বেদনায় এই বাঁধন নাহি টুটে।
ঝড়ঝাপটা কভু না ডরে রাখে প্রেম অন্তরে;
তাই তো পুড়ে মানুষের হৃদয় প্রেম আগুনে।
পুড়ে পুড়ে নাকি খাঁটি হয় প্রেম ভালোবাসা,
নিঃশেষ পরিণামে প্রেমই একটু বাঁচার আশা।
হৃদয় পোড়ায়ে প্রেমের নামে দুঃখকে পোষা;
দুঃখের সাগরে সুখ নামক ভেলায় ভেসে চলা।
ভালোবেসে সুখ! হয়েছিল কি কোন কালে!!
সুখের আশায় ভালোবেসে অন্তর শুধুই পুড়ে।
সামান্য সুখ কিছু যদিও থাকে কষ্টের ভাঁজে;
এ'বড় কষ্ট সাধন দুঃখ জীবনের বাঁকে বাঁকে।
--------------------------------------------------------------
__আমি কিরে আর পাবো ক্ষমা
করছো কেন মন বড়াই মিছে,
সবকিছু'তেই নিজের ভেবে।
নিজের মন একবার চিনো'না,
ভবের মোহ আর'তো রবে'না।।
আসবার কালে আসছি একা,
যাইবার কালেও যাবো একা।
কিসের বড়াই করছো'রে মন,
কিছুই তোমার আপন হবে না।।
মিথ্যে মায়ায় রইলাম পড়ে,
আপন মনকে আঁড়াল করে।
জাত বেজাতের দোহাই দিয়া,
মানুষকে মানুষ না ভাবিয়া।।
অহংকারে রইল বিবেক হারা,
চোখেই দেখো অন্তরে কভু না।
বোধ বিচারে মারছিলাম তালা,
বাহির দেখেই রই আত্ম ভুলা।।
ভেদ বিচ্ছেদ এর জাল বুনিতে,
ভাবি সেরা আমি সবার থেকে।
সকাল দুপুর সন্ধ্যায় করি প্রার্থনা,
আমি কিরে আর পাবো ক্ষমা!!
-------------------------------------------------
___বিরহবিধুর
সময় যেনো স্থির ঠায় দাঁড়িয়ে,
কিছু নেই নিশ্বসিত শব্দ ছাড়া,
চারিদিকে শূন্যতল, নীরবতা
উম্মুক্ত বাতায়ন, বিরহবিধুর।
স্তম্ভিত দৃষ্টি দূর আকাশে-
বিরহিত হৃদয়ের প্রতিচ্ছবি
ভাসছে চোখে প্রতিক্ষণ।
দূর দিগন্তরেখা ছাপিয়ে আজ
মেঘ গুলো মেখেছে শুভ্রতা,
কোন জল নেই, সুদৃষ্ট সুদূর।
তোমা বিরহে চৈত্রিক মনোভূমি,
ফাগুন শুষ্কতায় শ্রাবণ প্রতীক্ষিত
এচোখে কোনো জল নেই, বিস্মিত
দুঃসহ শূন্যতায় ঘেরা উদাস দুপুর।
ছাপিয়ে দিগ ঘন বরিষণ ভাসিত শ্রাবণ,
দুঃসহ বিরহ কষ্টেসৃষ্টে ঝঞ্ঝাট হিয়া;
বাসনাপূরণে তরবারি বিদ্রোহানল,
বৈষম্যহীন ভৈরবীরাগ সমাহরণ।
উম্মুক্ত মম হৃদয় স্মরণে বিষ্ণুপ্রিয়া,
এ'প্রেমের তৃষিত বান খর অবিচল;
প্লাবিত মনোভূমি দেখো গো সুনয়না,
ঘোর অন্ধকার মহাপ্রলয়ের পূর্বক্ষণ।
তোমার প্রেম স্পর্শ, সুখপূর্ণ লগন
সুনীল আকাশ স্বপ্নিল রাত্রিদিন
এ'মনে সুখোদয় প্রেমময় শিহরণ।।
--------------------------------------------
_বীর বাঙালি জাতিরপিতা
অনেক বছর আগে আজকের এই দিনে ;
এই ভূখণ্ডে জন্মেছিল এক মহান নেতা।
দিশেহারা শোষিত এ'জাতির নেতৃত্ব দিয়ে;
দিয়ে গেছেন বীর উপাদি আর স্বাধীনতা।
কেঁপেছিল বিশ্বের বুক তাঁর বজ্র হুংকারে ;
বাঙালিরা পেয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।
শোষণকারী হায়েনাদের ভীতিগ্রস্ত করে ;
সংগ্রামশক্তি যোগাতে দিয়েছিলেন বক্তৃতা।
মানুষকে ভালোবাসার তিনি নজির বিশ্বে;
দুনিয়া জুড়ে উজ্জল স্বাধীনতার উপমা।
বুঝিয়ে দিয়েছেন ভালবেসে নিজ জাতিকে;
দেয়া যায় মুক্তি সর্বোত্তম সম্মান মর্যাদা।
বঙ্গবন্ধু, তোমায় স্মরি শ্রদ্ধায় শুভেচ্ছান্তে;
হৃদয় জায়নামাযে তোমার আসন পাতা।
'শেখ মুজিবুর রহমান' বিস্ময় এ'বিশ্বে ;
অহংকার মোর বীর বাঙালি জাতিরপিতা।
*********************************
তুমি এসেছো যুগে যুগে নতুন রূপে,
মানুষের এই ধরায় করেছো বিচরণ;
চিনতে পারিনি রয়েছি মুগ্ধ আপনে,
অনুতাপে তাই সমাজের রক্তক্ষরণ।
বুঝিনি চেয়েছো কতভাবে বোঝাতে,
হিংসায় নিয়েছিলাম ফিরিয়ে নজর ;
এ আমার মনের সংকীর্ণতা বিভাজনে,
তোমায় কখনো করতে পারিনি বরণ।
তুমি দেখেছো ভেদাভেদ বলে কাকে,
কিভাবে মানুষ মানুষকে করে শোষণ;
জাত বেজাতের মিথ্যা দ্বন্দ্বে ডুবে ডুবে,
কতো প্রাণের হয়ে গেল অকাল মরণ।
কতো মানুষ ভিটেমাটি হারাল সংসারে,
নিঃস্ব পরিবার, আকাশে বাতাসে ক্রন্দন
স্বজন হারানোর, নীরব ব্যথায় পুড়ে পুড়ে
নিঃশেষ, সমাজে চাপানো বৈষম্যের দহন।
কোন কিছুই তোমাকে পারেনি আটকাতে,
রয়েছো তুমি, বিলিয়েছো ধীর স্থির কিরণ;
রাঙিয়েছ সদা এই ভুবন নিত্যনতুন রূপে,
হে সভ্যতা, তুমি থাকবে এভাবে অগ্রগমন।
---------------------------------------------------
সেই জন্ম থেকেই চলছে জ্বলতে থাকা,
এখনও হলো না শেষ এই দুঃসহ দহন;
পোড়া মন নিয়ে আরও কত হবে চলা,
খোদা জানেন আমারও হয় ইচ্ছে ভীষণ।
মুক্তি চাই, সমাপ্ত হোক নিদারুণ যন্ত্রণা,
ঘুচে যাক সীমাবদ্ধতা মুক্ত হোক বচন;
সেখানেই লুকায়িত সকল ভালো লাগা,
আমার সুখ মন-ভাবের বিশ্লেষিত কথন।
মানুষ বিদ্বেষানলে ধ্বংসিত যে মানবতা,
বিবেকহীনতার উল্লাসে বিবেকের ক্রন্দন;
অসত্যের বেড়াজালে আটকানো সত্যতা,
সভ্যতার দমবন্ধ যেন স্তম্ভিত হৃদস্পন্দন।
ঊর্ধ গগনে তুলে হাত বলতে চাই- স্রস্টা,
আকাশ রূপেই রাখতে করলে সৃষ্টি যখন;
বুঝাতে পারতাম ভেদাভেদহীন উদারতা,
বৈষম্যবিহীন সমাজ কেমনে করবে গঠন।
আজন্ম জ্বলতে থাকা সূর্য করতে যদিবা,
দেখাতে পারতাম ভালোবাসা হয় কেমন;
আমার এই জ্বলন দহন পেতো সার্থকতা,
মানুষে মানুষে রাখতো আত্ম-সেতু বন্ধন।
___আপন তুমি চিনলা নারে
যাকে তুমি ভাবছো আপন,
সে তোমার তো আপন নয়রে;
আপন তাকে চিনলা না মন,
চলছো ভেসে কালের স্রোতে।
কতো সাধের ভুবন জীবন,
ভাবছো কি মন ছাড়তে হবে;
যেথায় তোমার রইছে আপন,
সেই ভাবনাই করো তবে।
থাকতে সময় করো সাধন,
কেমনে পাবে কোন সাক্ষাতে;
পাল্টাও মনের চিন্তা ধরণ,
দিন তো বেশি পাবে নারে।
আপন চিনে করো ভজন,
সেটাই সাধন এই সংসারে;
ভালোবাসাকে করো বরণ,
মুক্তি আছে প্রেম সাধনে।
শুদ্ধি করো চলন বলন,
মিছে বড়াই ভুবন জুড়ে;
আত্ম শুদ্ধি করবে যখন,
অহংকারের পতন হবে।
করছো মিছে আপন আপন,
আপন তুমি চিনলা নারে;
মনের মাঝেই করছে বসত,
সেই আপনকে চিনো আগে।
কাজল কালো ওই চোখে ভালোবাসার ছায়া।
মনভরে যায় দেখে তারে হাসিমুখে কলসি কাঁখে
রোজ দুপুরে আমার তরী যখন ভিড়ে সেই ঘাটে।
রুদ্র জিলিক রূপের আগুন দেখে না'পাই দিশা,
হৃদয় থাকে ঘাটেই পড়ে তাই তো ফিরে আসা।
কত আশা মনের ঘরে বলবো কথা হৃদয় খোলে,
ভুলেও যদি বন্ধু আমার একটু সময় বসে পাশে।
বলবো কি আর দুঃখের কথা মনের কতো ব্যথা,
এতো দিনেও বুঝলোনা সে আমার যাওয়া আসা।
দেখে আমায় একটু হাসে চোখ পড়ে যখন চোখে,
বুকের সাথে খালি কলস ধরেই থাকে শক্ত করে।
হয় তো বুঝে একলা মনে আমার চোখের ভাষা,
দেয়না বোঝতে আমায় কিছু হয়তো বুঝে খোদা।
রূপ কুমারীর রূপ সাগরে আমি বুঝি যাচ্ছি ডুবে,
হোক'না মরণ যদিনা সে টেনে তুলে হাতটি ধরে।
হও যদি গো মনের রাণী আমি হবো রাজা
ভালোবাসা দেবো তোমায় যেন বাধ্য প্রজা।
নিশি জেগে প্রতি রাতে চন্দ্রালোকে ভাসবো সুখে,
অমানিশা অন্ধকারে জোছনা রবেই আমার ঘরে।
---------------------------------------
আমার বুকের ভিতরে, অন্দর কঠোরে,
ভালোবেসে রেখেছি যাকে,
হৃদয় খুলিয়া বিছানা করিয়া
রাখিয়াছি যতন করে।।
আজ বিরহের আগুনে, একাকী গোপনে
দিবানিশি অন্তর শুধু জ্বলে...
জ্বলে শুধু অন্তর জ্বলে
ও মিনতি
ধিকিধিকি অন্তর জ্বলে।।
তোমাকে আমি ভালোবাসি
আমার অন্তর দিয়ে,
জীবন মরণে তোমাতেই আমি
রয়ে যাবো মিশে।।
আজ মনের বাসরে, তোমারি কারণে
অন্তর আমার কেঁদে মরে...
জ্বলে শুধু অন্তর জ্বলে
ও মিনতি
ধিকিধিকি অন্তর জ্বলে।।
চন্দ্র তারা বনের লতা
সাক্ষী করে তুমি,
আমার চোখে চোখ রাখিয়া
বলতে তোমারি আমি।।
আজ ভুলিয়া সে কথা, অন্যের ঘরে গেলা
ভাবতেই চোখ দুটি জলে ভরে....
জ্বলে শুধু অন্তর জ্বলে
ও মিনতি
ধিকিধিকি অন্তর জ্বলে।।
আমার বুকের......ঐ
গান:- ধিকিধিকি অন্তর জ্বলে
কথা ও সুর : নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন
বাড়ি বাড়ি ঘুরে ফেরে পাড়াগাঁয়ে সমান তালে।
ভয় নেই নির্ভয়ে কথা বলে তার উঁচু থাকে বুক,
সহজসরল বচনে বেড়ে ওঠা সে গ্রাম্য-কিশোর।
সারাদিন ছোটাছুটি নেই কোন স্বস্তি চলন কাজে,
ঝড়বৃষ্টির শ্রাবণ দিনেও থাকবেনা ঘরের কোণে।
জুটিয়ে খেলার সাথী কাদাজলে চলবেই হলুস্থুল,
যতো বাঁধাই থাকুক এখেলায় কভু হবে না ভুল।
বাবা-মায়ের শাসন কভু পারেনা তাদের দমাতে,
সুখ যতো গাঁয়ের সেপথে মাড়াতে আর খেলাতে।
বৈশাখী মেলা অষ্টমী বিকেলের সে'মজা হাডুডুর
মনে পড়ে আজো কিশোর স্মৃতিময় সে মুগ্ধ দুপুর।
ধূলো-বালি মাখা গাঁয়ের আঁকা বাঁকা মেঠো পথে,
নিত্য-দিনের যাওয়া আসায় সে মুগ্ধ মাটির ঘ্রাণে।
গানবাজনা আর লেখা-পড়া সেথায় গ্রামের স্কুল,
ভালোবাসা আর মনুষ্যত্ব গড়ে তুলাই লক্ষ্য মূল।
মমতায় ঘেরা পাড়া প্রতিবেশীর হৃদয়ের বন্ধনে,
ঝগড়া ফেসাদ কলহেও তার ভালোবাসা না টুটে।
ভাব-আবেগে থাকে সদা আনন্দ উল্লাসে মশগুল,
নয়নের বড়স্বাদ ফিরে পেতে সেই গ্রাম্য-কিশোর। ---------------------------------------------------------
কত অাশা দিলি মনে
ঘর বাঁধিবি আমার সনে।।
সবকিছু আজ ভুলে গেলি
করলি আমায় পর...
তোর প্রেমের এই,
বড় কঠিন ফল...
কষ্টে পুড়ে অন্তর আমার,
চোখে নীরব জল...।।
মনের যতো স্বপ্ন আশা
তোকেই ঘিরে...
মন ভেঙে গেলিরে তুই
পরেরি ঘরে...।।
মনে আমার দারুণ ব্যথা
এমন কষ্ট যায় কি ভুলা।।
তোকে ছাড়া আমি এখন
বাঁচি কেমনে বল...
একটি দিনও চলতো'না তোর
না দেখে আমারে
সেই আমাকে কেমন করে
থাকিস'রে ভুলে।।
কেমনে হলি এতো পাষাণ
কেড়ে আমার জাতি কূল মান।।
তোকে ভালোবেসে আমার
শূন্য মনের ঘর...
গান : চোখে নীরব জল....
কথা ও সুর : নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন
এই বৃষ্টির রিনিঝিনি ছন্দে
আজ মন নাচে আনন্দে।।
এই আনন্দ হাসি ভরা
গান আর উল্লাসে
তোমার ছোঁয়া আছে মিশে।।
এই বৃষ্টির রিনিঝিনি ছন্দে।।
আজ মন নাচে আনন্দে।
খোলা রাখো তোমার মনের দ্বার,
নেই আজ এই চোখে কোনই লাজ।।
ভালোবাসা আর প্রেমের ছোঁয়ায়
রাঙিয়ে দেবোই আজ মন তোমার।
ওগো মধু ভরা এই রাতে
অঙ্গে অঙ্গে
মিশে যাবো তোমাতে।।
এই বৃষ্টির রিনিঝিনি ছন্দে।।
আজ মন নাচে আনন্দে।
ওই চাঁদ হারালো মেঘের ভিড়ে,
আলো হয়ে আছো তুমি এই মনে।।
আলোকিত ভুবন তোমায় ভেবে,
মন বাতায়নে যেনো দোলা লাগে।
তুমি চাঁদ তারা সূর্য
পূর্ণিমা জোছনা
আমার মনের আকাশে।।
এই বৃষ্টির রিনিঝিনি ছন্দে।।
আজ মন নাচে আনন্দে।
গান : এই বৃষ্টির রিনিঝিনি ছন্দে
কথা ও সুর : নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন
বন্ধু তোমার কষ্ট গুলো
খরস্রোতা নদীর মতো,
ভাঙছে দুকূল ভাসছে আমার
হৃদয়ের ভূমি।।
তুষের আগুন বুকের ভিতর
চক্ষু জলে হয় না শীতল।।
মনের যতো স্বপ্ন আশা
সবি গেলো ভাসি।।
কত দিনের কত স্মৃতি
জমা আমার বুকে,
একবারও কি হয়'না তোমার
পাষাণ ওই মনে।।
ভাসি আমি চোখের জলে
নিত্যদিনি তোমায় ভেবে।।
মরণ ছাড়া কষ্ট আমার
শেষ হবে না জানি।।
দুঃখী যারা এই জীবনে
আমিই সবার সেরা,
লাভ কি বলো বেঁচে থেকে
বন্ধু তুমি ছাড়া।।
ওই দুটি হাত রেখে হাতে
বলেছিলে থাকবে সাথে।।
সব কিছুই কেমন করে
ভুলে গেলে তুমি।।
গান- বন্ধু তোমার কষ্ট গুলো খরস্রোতা নদীর মতো
কথা ও সুর : নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন
ওই আকাশ কাঁদে দেখো বৃষ্টি হয়ে
এ বাতাস কাঁদে দেখো শিশির হয়ে।।
ও পাহাড় যখন কাঁদে ঝর্ণা ঝরে...
আমার কান্না গুলো সব হৃদয়ে জমে।।
তোমার প্রেমের পরশ নিয়ে
রাঙিয়ে ছিলাম এই মনেরি ঘর,
শত জনমের কষ্ট দিয়ে
ভেঙে দিলে সব করলে পর।।
তোমার ঘরে আজ সুখের আলো
অন্ধ আমি যেনো কালো আঁধারে...
আমার কষ্ট গুলো সব হৃদয়ে জমে
আমার কান্না গুলো সব হৃদয়ে জমে।।
হৃদয় ভাঙার কঠিন খেলায়
ভেঙে গেলে এই মন অন্তর,
তোমার এমন প্রতারণায়
কাঁদতে হবে আমার জীবনভর।।
তোমার মুখে আজ সুখের হাসি
আমার মনোভূমি ভাসে শ্রাবণে...
আমার কষ্ট গুলো সব হৃদয়ে জমে
আমার কান্না গুলো সব হৃদয়ে জমে।।
ওই আকাশ..... (ঐ)
আমার কান্না গুলো সব হৃদয়ে জমে
কথা ও সুর : নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন।
তুমি কত দূরে - আমায় একা করে
সীমানা ছাড়িয়ে গেলে যে হারিয়ে।।
আছো কতই সুখে তুমি আজ,
বড় বেশি মনে পড়ে তোমায় প্রিয়া।।
তুমি কত দূরে - আমায় একা করে....
নীরব দুপুরবেলায় আজও তোমায় ভেবে
চোখের জলে কেন আমার এবুক ভাসে...।।
তুমি জানো না বোঝ না কত দুঃখে,
মন মাঝে আমার আজও আগুন জ্বলে।।
তুমি কত দূরে - আমার একা করে...
পূবাল হাওয়া কোন বিকেল বেলায়
চেয়ে দূর দিগন্তে তোমারি প্রতীক্ষায়...।।
বসে থাকি আশায় দেখো মন ভাসে,
তুমি ছিলে শোভা আমার এই হৃদয়ে।।
তুমি কত দূরে - আমায় একা করে...
আমি গরীব ছিলাম তাই দুঃখ পেলাম
ভালোবাসার দামে কষ্ট কিনে নিলাম...।।
যেনো আর কিছু নেই ভালোবাসা বলে,
সবই ব্যর্থ আমার এখন টাকার কাছে।।
তুমি কত দূরে - আমায় একা করে....
গান:- তুমি কত দূরে....
কথা ও সুর :- নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন
না দেখে একদিন বলতে না পারলে কথা-
আকাশ যেন পড়তো ভেঙে মাথায়,
হন্নে হয়ে খুঁজতে আমাকে, করতে দেখা
চোখের সামনে যাকেই পেতে পরিচিত,
তাকেই আকুতি ভরা চোখে বলতে,
তোমরা কি দেখেছো আমার নয়ন'কে...?
চোখের চাহনিতে থাকতো কালো মেঘেরঘটা,
যেন অল্প বাতাসেই ঝরবে বৃষ্টি, অবিরত।
বড় উদাসী হয়ে ঘুরতে, হয়তো কাঁদতে,
হারিয়ে যেতো তোমার মনের স্থিরতা।
একদিন পর দেখা হতেই ছলছল চোখে বলতে
কোথায় ছিলে এতদিন...বলো'তো...!
কার সাথে ঘুরেছো-
কেন পুড়িয়েছো আমাকে বিরহানলে...?
কত যে কষ্ট...কত যন্ত্রণা আর
কত যে ব্যাকুলতা তোমাকে দেখার!
তা'কি তুমি বুঝো না....!
আমাকে না দেখে কেমনে ছিলে তুমি...!
আজও চোখে ভাসে তোমার সেই ব্যাকুলতা,
ভালোবাসায় সেই মগ্নচৈতন্য চাহনি...
মায়ায় ভরা ও'চোখে থাকতো প্রেমের শূন্যতা।
ভিজে ওঠে আজও দু'চোখের কোণা অনুভবে,
তখন একবুক দীর্ঘশ্বাসের সাথে বেরিয়ে আসে
মনের সকল ঝঞ্ঝা, একটাই যেন প্রশ্ন-জিজ্ঞাসা,
তুমি কি সেই মিনতি....?
যে আমার পথচেয়ে প্রতীক্ষার প্রহর গুনতো,
একদিন না দেখেই যেন হয়ে যেতো পাগলি!
প্রতিক্ষণ মনের ঘরে আমারি ছবি আঁকতো,
যার অমিত-প্রেমে সারাক্ষণ এই মন ভাসতো।
তুমি কি সেই মিনতি...?
নাহ! তমি সে নও...!
সেই মিনতি মরে গেছে...!
সে অন্যের বুকে মাথা রাখতে পারেনা কখনো!
এরচেয়ে যে তার মরণ ভালো, সে বলেছিলো।
সে আছে আমার অনুভূতিশীল ইন্দ্রীয়তে মিশে,
আমার মনের ঘরে বড়ই যতনে তার বসবাস!!
এতটা বেঈমান নয়- যে মিনতি আমার ছিলো,
আমি রোজ তাকে দেখি...
কথা বলি রোজ তার সাথে....।
সে যে বড্ড বেশি ভালোবাসে আজও এই আমাকে...
অনুক্ষণে বৃন্দাবনে
নীরব কথন,
ভুলতে নাহি পারি
হয় গো স্মরণ।
প্রেমালাপে হয়ে মত্ত
কতশত ক্ষণ,
ভেসেছি স্বপ্নলোকে
ঘুরেছি গগন।।
ভুলে যেও প্রিয়া, মোর
স্মৃতি করোনা স্মরণ,
অহর্নিশ ভাবনা, প্রেম
যতো আশা স্বপন।
হৃদয়ে জমানো, ভালোবাসা
তোমার প্রিয়তম,
বাতাসে দিও ছড়ায়ে
খুঁজে নেবে এই মন।।
-------------------------------------------------------
______পূর্ণতা পাবে মন
যদি সকাল না কভু আসে,
পৃথিবীকে ঢেকে রাখে অন্ধকার।
চন্দ্র-তারা যদি নিবে যায় সবে,
ভয় চেপে বসে পথ হারাবার।
মাঝি কভু না আসুক এ ঘাঁটে,
বন্ধ হয়ে যাক খেয়া পারাপার।
শুধু মনে রেখো-আঁধার ভেদ করে,
আমি আসবো তোমারি ওপার।
তোমার বাতায়ন রেখো খুলে,
দেখতে দিও চাঁদ মুখটি একবার।
চন্দ্র হয়ে রবে মোর-হৃদয় আকাশে,
তোমাতেই মিশে হবো একাকার।
যদি তোমায় পাই'গো আমার মাঝে,
চাই না সকাল-আলো নেই দরকার।
তোমারই রবো আমি জীবন-মরণে,
পূর্ণতা পাবে মন, ঘুচবে সকল আঁধার।।
________অতৃপ্ত
আমি যতবার সাজাতে চেয়েছি-
জরাজীর্ণ এলোমেলো এই জীবনটাকে,
পেয়েছি নতুন কোন সুখ-উপলক্ষ্য।
ততবার আমার সাজানো জীবনটা-
আরও বেশি অগোছালো হয়ে গেছে,
সবকিছুই ভেস্তে হয়েছি লক্ষ্যচ্যুত।।
আমি যতবার তোমাকে নিয়ে,
নতুন কোনো স্বপ্নে ভেসেছি-
সুখে রাঙাতে চেয়েছি ভুবন,
ভালোবাসার হিসেব করেছি সুক্ষ্ণ।
ততবার আমার সকল স্বপ্নগুলো
কাঁচের গ্লাসের মতোই ভেঙে-
টুকরো টুকরো হয়ে গেছে।
কোন টুকরো-তেই বহু কাঙ্ক্ষিত
সুখ নামের শব্দটি খুঁজে পাই'নি,
আমি হয়েছি কেবলই ব্যর্থ।।
সুখের আশায় ভালোবেসে ছিলাম,
ভেবেছি দুনিয়ার সবচেয়ে প্রিয়,
তোমার প্রেমের মুগ্ধতায়- মনটাকে
কানায়-কানায় করেছিলাম পূর্ণ।
সব স্বপ্ন আশা'ই আজ যেন মিথ্যে-
সবগুলো চাওয়া'ই হয়ে গেছে নিঃস্ব,
তুমিহীনা আমার পৃথিবীটাই আজ শূন্য।।
কোনো আশা নেই, নির্বাক ভাষা
অন্ধকারে যেন ছেয়ে আছে আজ
আমার আলোকিত সুখের পৃথিবী,
চোখে যেনো মহাসাগরের বসবাস,
চলছে, মন আর বিবেকের নীরব-যুদ্ধ।
হৃদয় ভাঙনের এই নিঠুর খেলায়
আমি'ই কি বোকা-না'কি তুমি মিথ্যে?
এই একটি প্রশ্নই আজ যেন বারবার
এলোমেলো করে দিচ্ছে আমার ভুবন
বিষিয়ে তুলছে জীবন-করছে অতৃপ্ত।।
_________প্রেমের ছলনা
তোর পিরিতে আমি মরা
দেহ অন্তর আমার পুড়া।।
পাইলাম শুধু প্রেমের ছলনা!!
জীবন গেল দুঃখ সয়ে
সুখের দেখা নাই।
আমার মতো রইলাম আমি
দিবানিশি শুধুই ভাবি।
কিসের সুখে তোর আশাতে
এই জীবন কাটাই।।
পাইলাম শুধু প্রেমের ছলনা!!
আকাশ কান্দে, বাতাস কান্দে
ভাসিস'রে তুই প্রেম-তরঙ্গে।
আমার ব্যথা বোঝার কেহ নাই।।
দুঃখ আমার গলার মালা
দিন-রজনী বাড়ায় জ্বালা।
কি সুখ পাইলে আমারে কান্দাই।।
কত দিনের কত কথা
বাড়ায় কেবল বুকের ব্যথা।
ভুলতে গিয়েও ভুলতে নাহি পাই।।
নিশি জেগে স্মৃতির পাতা
তোর প্রেমেরি ছোঁয়ায় ভরা।
আমার মাঝেই রেখে দিতে চাই।।
___________অসহায়
তোমার খেলা তুমি-ই বুঝ
অন্যের বোঝা দায়।
কখন ভাঙো কখন গড়ো
ভাঙা গড়ার খেলা খেলো।।
ভাঙনের এই নিঠুর খেলায়
আমি অসহায়।
চোখ বুজিয়া রইলে কেনো
দেখো গো আমায়।।
ভালোবাসায় দিলা ভরে
আমার এই ভুবন।
সবকিছু'ই আজ মিথ্যে যেন
বিষাক্ত সব-লগন।।
পুড়ছি আমি প্রেম আগুনে
তুষের মতো শুধু'ই জ্বলে।
গন্ধ কি আর পাও না তুমি
এই অন্তর পুড়ায়!!
চোখ বুজিয়া রইলে কেনো
দেখো গো আমায়।।
মন ভাঙিয়া মনের সাথে
বাঁধো অন্য মন।
ভিখারি'কে সাজাও রাজা
দিয়ে সম্মান ধন।।
সকাল দেখি নিত্যদিনি
রাত্রি আসে ঠিক তেমনি।
জগৎ সংসার চলছে সবি
তোমারই কৃপায়।।
চোখ বুজিয়া রইলে কেনো
দেখো গো আমায়।।
________অতৃপ্ত-আত্মা
হয়তো মরে গেলেই সব চুকে যাবে...!
তোমার দেওয়া অহেলা
প্রেমের নামে মিথ্যে ছলনা
সামান্য ভালোবাসা, আর
এই নিষ্ঠুর পৃথিবীর সকল নির্মমতা
সব কিছু একদিন ঠিকই ফুরিয়ে যাবে।
আমি নিঃশেষ হয়ে যাবো-
কোনোএক সময় এই পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে,
কিছুই আর অবশিষ্ট থাকবেনা আমার।
তুমিও ভুলে যাবে আমাকে...! ভুলে যাবে,
আমি কোনোদিন ছিলাম- তোমার জীবনে।
হয়তো, মনে মনে তৃপ্তির শ্বাস ছেড়ে
বলবে-যাক, একটা ঝামেলা বিদায় হলো...!
হইনি অবাক, তোমাকে শুধু শুধুই
ঝামেলায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছি।
বলেছি ভালোবাসি! পারিনি বুঝতে-
তোমার যোগ্য আমি নই, গরীব আমি,
গরীবের ভালোবাসতে নেই! বুঝিইনি!
তুমি মুখে মিষ্টি হাসি ফুটিয়ে রেখেছিলে,
আর অন্তরে ভেবেছো- অসহ্য'
কিভাবে এই ঝামেলা যাবে ছাড়ি।
বলেছি- তোমাকে ছাড়া আমার জীবনে
ঘিরে থাকবে শুধুই অন্ধকার।
তুমি ঠোটের কোণায় সামন্য হাসি জমিয়ে
হয়তো ভেবেছো মনে মনে- আশ্চার্য্য'
জীবনটাকে এই বুঝি করে দিবে- ছারখার!
আমি তোমার অন্তরের কথা বুঝতে পারিনি,
তোমার মনের ভাবনা আমি খুঁজে পাই-ই-নি।
মুখ আর ঠোটের হাসিতে হেরে গেছি বারবার।
তোমার মিথ্যে ছলনায় গেছি ডুবে-
হৃদয়ের সবটুকু দিয়ে ভালোবেসেছি
অন্তর থেকে তোমাকে চেয়েছি আপন করে
চেয়েছি সুখের ঘর বাঁধতে দু'জনে। পারিনি
তোমার সাথে ভালোবাসার ঘর সাজাতে।
আমি হেরে গেছি- নয়তো
হারিয়ে দিয়েছি তোমাকে- ভালোবাসায়।
আমি ব্যর্থ হয়েছি-মনের অতৃপ্ত বাসনায়
তোমাকে পোড়াতে পারিনি কামনার আগুনে।
বাঁধা ছিল হৃদয়ের, বিবেক সাঁই দেয়-নি।
আমার কামনা-বাসনা ইচ্ছা সব স্বপ্ন
তোমার কাছে রেখেছিলাম-আমানত হিসেবে,
তুমি সেই আমানত ধরে রাখতে পার-নি।
আমার সাথে করেছো বেঈমানী...
প্রতারণা করেছো আমার বিশ্বাস নিয়ে,
আমার ভালোবাসাকে তুমি করে গেছো তুচ্ছ।
তাই বুঝি আজ আমার বিবেকের ধ্বংসনে
তিল তিল করে এগিয়ে যাচ্ছি মৃত্যুর দিকে....!
কেন ভুল করলাম তোমাকে বিশ্বাস করে,
কেন তোমাকে ভাবতে পারলাম না শুধুই পুষ্প।।
আজিকে তাই, নয়নে ভর করেছে শ্রাবণ,
মনের ভুবন ভাসিয়ে চলেছে ভরি বরিখন্তিয়া।
ভালোবেসে আজও এ'হৃদয় করে নিবে বরণ,
দরশনে তোমার, তৃপ্ত হতে চায় অতৃপ্ত-নয়ন।
তাই বুঝি অনুভবে-বিরহের এই জ্বালা দারুণ,
স্মরিয়া তোমাকে যেন- ফাটি যাওত এই ছাতিয়া।।
তুমি তো দেখবে না কখনো, বুঝবেনা-
ফাটিতে চাহে এ বুক আজও তোমারে স্মরিয়া।
জমুক মেঘ আকাশে, ভাসুক হৃদয় শ্রাবণে
ঝরুক বৃষ্টি যতো মনের জমিনে, বুঝবেনা কেউ,
হয়'তো তুমিও তা- কখনওই জানবে না।
মরেই যাবো। ভাবি-না, নিঃশেষ হয়ে যাবো
এই প্রেমের ভুবন থেকে কখনওই আমি!
একদিন হয়'তো জীবনের অমোঘ নিয়মে
হবেই আমার মৃত্যুর পথে-যাত্রা।
ভুলেই থেকো তুমি, ভুলে যাক নিঠুর পৃথিবী,
শেষ হবে না কভু আমার এই ভালোবাসা।
ভেবো না কখনো- এই প্রেমের হবে মরণ,
না, মিটবে না কখনওই পাওয়ার এ'তৃষ্ণা।
শুধু জেনে রেখো, মানো চাই-বা না মানো
তোমাকে ঘিরেই থাকবে আমার- অতৃপ্ত-আত্মা।।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন